7:02 pm, Monday, 16 September 2024

ফিক

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ১০:২৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 207 ভিউ
শেয়ার করুন

শুরুকথা
সত্তর দশকের মাঝামাঝি, বিদ্যালয়ে পড়ি। ছড়া লিখতে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার ঝোঁক তৈরি হয়। সাধারণ প্রকরণে ছড়া লেখার পাশাপাশি অন্ত্যমিলে চমক সৃষ্টির ইচ্ছে জাগে। মহাবিদ্যালয় পর্যায়ে এসে ছন্দ ঠিক রেখে অন্ত্যানুপ্রাসহীন বা অন্ত্যমিলবিহীন ছড়া লিখি। বিশ^বিদ্যালয়ে এসে সব প্রচলিত প্রকরণকে বাতিল করে মানুষের মুখের ভাষার কাছাকাছি গদ্যভাষায় ছড়া লেখার ঝোঁক আসে, যা পরবর্তীতে কথনছন্দ বলে অভিহিত করি। এসব আজও চলছে। তবে অন্ত্যমিলের চমক দারুণ সাড়া পায়।
বাংলা কাব্য ও ছড়াসাহিত্যের অগ্রজ কিংবদন্তি অনেকেই অন্ত্যমিলে বৈচিত্র্যের নিদর্শন রেখেছেন; তবে কোথাও তা রীতির পর্যায়ে দাঁড়ায়নি। দু চার লাইন কিংবা অল্প কিছু লেখায় চমক দৃষ্ট হয়। বাংলাভাষার বিশাল শব্দের ভাণ্ডারকে বরাবর চমক অন্ত্যমিলের আকর বলে খুঁজে পেয়েছি। এই চমকমিলে কৈশোর থেকেই লিখছি একের পর এক ছড়া, কিশোর কবিতা, কবিতা ও পদ্য। এই গ্রন্থের লেখায় অন্ত্যমিলচমক ব্যবহার করা হয়েছে।
‘অন্ত্যমিলচমক’ বলে কার্যকর (ঙঢ়বৎধঃরড়হধষ) সংজ্ঞায়নে যা বোঝাতে চাই তা প্রচলিত ‘অন্ত্যমিল’ ধারণা থেকে কিছুটা পৃথক; এখানে শব্দের ভাঙন ও জুড়ন খেলাটি বিশেষত্বপূর্ণ ও মনকাড়া! যাই-খাই, বলছে-চলছে, গান-পান, করিয়াছি-গড়িয়াছি ইত্যাদি অন্ত্যমিল বটে, অন্ত্যমিলচমক নয়। কিংবা কোনো ছড়া কবিতায় ব্যবহৃত দু একটি চমকপ্রদ অন্ত্যমিলও এই সংজ্ঞা-ধারণায় ‘অন্ত্যমিলচমক’ নয়; কোনো ছড়া, কবিতা বা পদ্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে কোনো ছন্দপ্রকরণে ব্যবহৃত কমপক্ষে ৩ মাত্রার ধারাবাহিক চমকপ্রদ অন্ত্যমিল বা ধ্বনিসাম্যই ‘অন্ত্যমিলচমক’।
শব্দালঙ্কারের (অনুপ্রাস ও যমক) অঙ্গনে কাজ করা ৩ মাত্রা থেকে শুরু করে তদূর্ধ্ব ধারাবাহিক অন্ত্যমিলচমক-যুক্ত আমার ছড়া, কিশোরকবিতা ও পদ্যের নাম রেখেছি ‘ফিক’। শব্দটি হাসিখুশি, সুখ বা আনন্দ রসের সাথে সম্পর্কিত। এই গ্রন্থে ৮ মাত্রা পর্যন্ত এই মিল ব্যবহৃত হয়েছে। স্পষ্টতই এই মিল প্রচলিত অন্ত্যমিল নয়। ছড়া, কবিতা ও পদ্যের নান্দনিকতার সঙ্গে প্রাকরণিক বৈচিত্র্যের এক শৈলীবিশেষ হচ্ছে ‘ফিক’। সাধারণভাবে ‘ফিক’-এর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
ক. যে কোন ছন্দবৃত্তে কমপক্ষে ৩ মাত্রার অক্ষর কেন্দ্রিক (ঝুষষধনরপ) অন্ত্যমিল বা ধ্বনিসাম্য।
খ. এর চরণসংখ্যা কমপক্ষে ৬ যা ধারাবাহিক ৩ জোড়া অন্ত্যমিলচমক ধারণ করে।
গ. শব্দ ও শব্দাবলীর অক্ষর (ঝুষষধনষব) ভাঙা-গড়ায় সৃষ্ট অন্ত্যমিলের নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য। এই ভাঙা-গড়া কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহা যে/ডাহা যে, তাহারা/যাহারা, উনি তো/শুনি তো, ঘর দেখে/বর দেখে ইত্যাদি ‘ফিক’ সমর্থিত অন্ত্যমিল নয়। বরং এক্ষেত্রে তাহা যে/জাহাজে, তাহারা/পাহারা, উনি তো/শুনিত, ঘর দেখে/অর্ধেকে ইত্যাদি মিল সমর্থিত।
ঘ. লেখার বক্তব্য, গড়ন ও বিকাশের সাথে সৃষ্ট অন্ত্যমিলের সংহতি।
ঙ. চলতি ক্রিয়াপদের পারস্পরিক এবং সাধু ক্রিয়াপদের পারস্পরিক অন্ত্যমিল পরিত্যাজ্য। যেমন ছড়াচ্ছি/পড়াচ্ছি, চেয়েছে/পেয়েছে, ছুটিয়ে/উঠিয়ে, চলিয়াছি/বলিয়াছি ইত্যাদি।
চ. প্রয়োজনে বাক্য ও অন্ত্যমিলে আঞ্চলিক, বিদেশি ও প্রচলিত উচ্চারণ ও আলাপধরন গ্রহণযোগ্য। শব্দের নির্মাণ ও আধুনিকায়ন সমর্থিত।
ছ. অত্যাবশ্যক না হলে একই ছড়ায় ব্যবহৃত অন্ত্যমিলচমকের পুনরাবৃত্তি বর্জনীয়।
জ. ‘ফিক’ মৌলিক কর্মপ্রয়াস; গঠন বিশিষ্টতা ও শব্দালঙ্কারের প্রাধান্যের কারণে পুনরুৎপাদনযোগ্য (জবঢ়ৎড়ফঁপবধনষব) নয়।
বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দৈনিকের শিশুকিশোর পাতা, জাতীয় পর্যায়ের শিশুকিশোর মাসিক বিশেষত গোল্লাছুট, কিশোর আলো, ঘাসফড়িং, শিশু, কচি-কাঁচার আসর, আলোর নাচন, ঘটাংঘট, ইষ্টিকুটুম, খেলাঘর, আগডুম বাগডুম, টুনটুন টিনটিন এবং বিভিন্ন সাময়িকী ও যৌথ প্রকাশনায় প্রকাশিত ছড়া ও কিশোর কবিতাসহ অপ্রকাশিত কিছু ছড়া-কবিতা এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হলো। পত্রিকায় প্রকাশিত ছড়া-কবিতাগুলোতে প্রয়োজনে কিছু সংস্কার করা হয়েছে। ছড়া, পদ্য ও কিশোরকবিতার প্রয়োজনীয় সাহিত্য উপকরণ (খরঃবৎধৎু ফবারপবং), আধুনিকতা আর অন্ত্যমিল বৈচিত্র্যে গড়ে উঠেছে ‘ফিক’।
বাংলাভাষার বিচিত্র ও সমৃদ্ধ শব্দভাণ্ডারে বহমান অন্ত্যমিলচমকের আকর ও এর সোনালি হাতছানির প্রতি এক আন্তরিক ও সচেতন সাড়া দেয়ার প্রয়াস ‘ফিক’। বাংলা ছড়া, কিশোরকবিতা, কবিতা ও পদ্যকে তা নতুন মাত্রা দেবে আশা করি।
শফিক ইমতিয়াজ

সূচিপাতা
বিড়ালের অভিযোগ : ১১
গরম সিঙাড়া ও বিনয় কাকা : ১২
প্রতিদিন ও ছুটিদিন : ১৪
স্বপ্নময় কিশোর : ১৬
বিশ^কাপের স্মৃতি : টন্টন ভেন্যুতে টাইগার : ১৮
বারো ভূত : ১৯
বাদলধারায় : ২১
আম্মা : ২২
চুমুক : ২৩
দুষ্টুদের পাঠশালা : ২৪
মন্টু মামা অঙ্কে কাঁচা : ২৬
স্বপ্নগুলো নির্মাণে : ২৭
পয়লা রোজার দুপুর বেলায় : ২৮
গুড়-মিঠোলা : ৩০
আমার বন্ধু স্যুন লি : ৩২
লিপা গ্রামে গিয়েছিল : ৩৩
শীতের গান : ৩৪
পিন্টু দাদু নস্যি টানা ও ধূমপান ছেড়ে দিল : ৩৫
প্রিয় বন্ধুদের আড্ডা : ৩৭
আন্তর্জাল : ৩৮
বাঘা মীর মতিয়ার : ৪০
এসো মানুষ, প্রকৃতিকে ভালোবাসি : ৪২
চাই সুযোগের সমতা : ৪৪
টপকে দেযাল : ৪৫
চুল-অলার নাম চু লা : ৪৬
পণ : ৪৭
জাদুর বাড়ি : ৪৮
জাঁ রেনে ও সেরা চায়ের গল্প : ৫০
গানের শিল্পী : ৫২
জ¦র : ৫৪
ছায়ানীড় : ৫৫
বিশ^কাপ ফুটবল ২০১০ ও খুশির রঙ : ৫৬
সুকুমার রায় শ্রদ্ধাস্পদেষু : ৫৭
বকুল শহর : ৫৯
কাঁপাকাঁপি : ৬১
মহাতর্ক : ৬৩
হাক্কা ও মাক্কা : ৬৫
আরজু নামের তুখোড় ছেলেটি : ৬৭
চলছে গাধা সব দিকে! : ৬৮
জেব্রা : ৬৯
এই দেশ : ৭০
উৎবুনো : ৭১
চাকরি : ৭২
বড় মামা ও আর্দালি : ৭৩
গাড়ি : ৭৪
ধাওয়া : ৭৫
বৃষ্টি : ৭৬
ক্রিকেট-কীট : ৭৭
চার হাবা : ৮০
দানবীর মিশ খাঁ : ৮১
অবদানবিষয়ক গবেষণা : ৮৩
ফুটপাথ : ৮৫
শীত : ৮৭
রূপক মিয়া : ৮৮
শান্ত নদীর দুই তীরে : ৮৯
হাম্বা : ৯০
হায় ঢাকা : ৯১
এক যে বিরাট দৈত্য : ৯২
গরম! গরম! টাট্টু-গরম : ৯৩
মুখছড়া : ৯৪
লোটি খাঁ : ৯৬

#
জনপ্রিয়

ফিক

আপডেটের সময় : ১০:২৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

শুরুকথা
সত্তর দশকের মাঝামাঝি, বিদ্যালয়ে পড়ি। ছড়া লিখতে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার ঝোঁক তৈরি হয়। সাধারণ প্রকরণে ছড়া লেখার পাশাপাশি অন্ত্যমিলে চমক সৃষ্টির ইচ্ছে জাগে। মহাবিদ্যালয় পর্যায়ে এসে ছন্দ ঠিক রেখে অন্ত্যানুপ্রাসহীন বা অন্ত্যমিলবিহীন ছড়া লিখি। বিশ^বিদ্যালয়ে এসে সব প্রচলিত প্রকরণকে বাতিল করে মানুষের মুখের ভাষার কাছাকাছি গদ্যভাষায় ছড়া লেখার ঝোঁক আসে, যা পরবর্তীতে কথনছন্দ বলে অভিহিত করি। এসব আজও চলছে। তবে অন্ত্যমিলের চমক দারুণ সাড়া পায়।
বাংলা কাব্য ও ছড়াসাহিত্যের অগ্রজ কিংবদন্তি অনেকেই অন্ত্যমিলে বৈচিত্র্যের নিদর্শন রেখেছেন; তবে কোথাও তা রীতির পর্যায়ে দাঁড়ায়নি। দু চার লাইন কিংবা অল্প কিছু লেখায় চমক দৃষ্ট হয়। বাংলাভাষার বিশাল শব্দের ভাণ্ডারকে বরাবর চমক অন্ত্যমিলের আকর বলে খুঁজে পেয়েছি। এই চমকমিলে কৈশোর থেকেই লিখছি একের পর এক ছড়া, কিশোর কবিতা, কবিতা ও পদ্য। এই গ্রন্থের লেখায় অন্ত্যমিলচমক ব্যবহার করা হয়েছে।
‘অন্ত্যমিলচমক’ বলে কার্যকর (ঙঢ়বৎধঃরড়হধষ) সংজ্ঞায়নে যা বোঝাতে চাই তা প্রচলিত ‘অন্ত্যমিল’ ধারণা থেকে কিছুটা পৃথক; এখানে শব্দের ভাঙন ও জুড়ন খেলাটি বিশেষত্বপূর্ণ ও মনকাড়া! যাই-খাই, বলছে-চলছে, গান-পান, করিয়াছি-গড়িয়াছি ইত্যাদি অন্ত্যমিল বটে, অন্ত্যমিলচমক নয়। কিংবা কোনো ছড়া কবিতায় ব্যবহৃত দু একটি চমকপ্রদ অন্ত্যমিলও এই সংজ্ঞা-ধারণায় ‘অন্ত্যমিলচমক’ নয়; কোনো ছড়া, কবিতা বা পদ্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে কোনো ছন্দপ্রকরণে ব্যবহৃত কমপক্ষে ৩ মাত্রার ধারাবাহিক চমকপ্রদ অন্ত্যমিল বা ধ্বনিসাম্যই ‘অন্ত্যমিলচমক’।
শব্দালঙ্কারের (অনুপ্রাস ও যমক) অঙ্গনে কাজ করা ৩ মাত্রা থেকে শুরু করে তদূর্ধ্ব ধারাবাহিক অন্ত্যমিলচমক-যুক্ত আমার ছড়া, কিশোরকবিতা ও পদ্যের নাম রেখেছি ‘ফিক’। শব্দটি হাসিখুশি, সুখ বা আনন্দ রসের সাথে সম্পর্কিত। এই গ্রন্থে ৮ মাত্রা পর্যন্ত এই মিল ব্যবহৃত হয়েছে। স্পষ্টতই এই মিল প্রচলিত অন্ত্যমিল নয়। ছড়া, কবিতা ও পদ্যের নান্দনিকতার সঙ্গে প্রাকরণিক বৈচিত্র্যের এক শৈলীবিশেষ হচ্ছে ‘ফিক’। সাধারণভাবে ‘ফিক’-এর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
ক. যে কোন ছন্দবৃত্তে কমপক্ষে ৩ মাত্রার অক্ষর কেন্দ্রিক (ঝুষষধনরপ) অন্ত্যমিল বা ধ্বনিসাম্য।
খ. এর চরণসংখ্যা কমপক্ষে ৬ যা ধারাবাহিক ৩ জোড়া অন্ত্যমিলচমক ধারণ করে।
গ. শব্দ ও শব্দাবলীর অক্ষর (ঝুষষধনষব) ভাঙা-গড়ায় সৃষ্ট অন্ত্যমিলের নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য। এই ভাঙা-গড়া কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহা যে/ডাহা যে, তাহারা/যাহারা, উনি তো/শুনি তো, ঘর দেখে/বর দেখে ইত্যাদি ‘ফিক’ সমর্থিত অন্ত্যমিল নয়। বরং এক্ষেত্রে তাহা যে/জাহাজে, তাহারা/পাহারা, উনি তো/শুনিত, ঘর দেখে/অর্ধেকে ইত্যাদি মিল সমর্থিত।
ঘ. লেখার বক্তব্য, গড়ন ও বিকাশের সাথে সৃষ্ট অন্ত্যমিলের সংহতি।
ঙ. চলতি ক্রিয়াপদের পারস্পরিক এবং সাধু ক্রিয়াপদের পারস্পরিক অন্ত্যমিল পরিত্যাজ্য। যেমন ছড়াচ্ছি/পড়াচ্ছি, চেয়েছে/পেয়েছে, ছুটিয়ে/উঠিয়ে, চলিয়াছি/বলিয়াছি ইত্যাদি।
চ. প্রয়োজনে বাক্য ও অন্ত্যমিলে আঞ্চলিক, বিদেশি ও প্রচলিত উচ্চারণ ও আলাপধরন গ্রহণযোগ্য। শব্দের নির্মাণ ও আধুনিকায়ন সমর্থিত।
ছ. অত্যাবশ্যক না হলে একই ছড়ায় ব্যবহৃত অন্ত্যমিলচমকের পুনরাবৃত্তি বর্জনীয়।
জ. ‘ফিক’ মৌলিক কর্মপ্রয়াস; গঠন বিশিষ্টতা ও শব্দালঙ্কারের প্রাধান্যের কারণে পুনরুৎপাদনযোগ্য (জবঢ়ৎড়ফঁপবধনষব) নয়।
বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দৈনিকের শিশুকিশোর পাতা, জাতীয় পর্যায়ের শিশুকিশোর মাসিক বিশেষত গোল্লাছুট, কিশোর আলো, ঘাসফড়িং, শিশু, কচি-কাঁচার আসর, আলোর নাচন, ঘটাংঘট, ইষ্টিকুটুম, খেলাঘর, আগডুম বাগডুম, টুনটুন টিনটিন এবং বিভিন্ন সাময়িকী ও যৌথ প্রকাশনায় প্রকাশিত ছড়া ও কিশোর কবিতাসহ অপ্রকাশিত কিছু ছড়া-কবিতা এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হলো। পত্রিকায় প্রকাশিত ছড়া-কবিতাগুলোতে প্রয়োজনে কিছু সংস্কার করা হয়েছে। ছড়া, পদ্য ও কিশোরকবিতার প্রয়োজনীয় সাহিত্য উপকরণ (খরঃবৎধৎু ফবারপবং), আধুনিকতা আর অন্ত্যমিল বৈচিত্র্যে গড়ে উঠেছে ‘ফিক’।
বাংলাভাষার বিচিত্র ও সমৃদ্ধ শব্দভাণ্ডারে বহমান অন্ত্যমিলচমকের আকর ও এর সোনালি হাতছানির প্রতি এক আন্তরিক ও সচেতন সাড়া দেয়ার প্রয়াস ‘ফিক’। বাংলা ছড়া, কিশোরকবিতা, কবিতা ও পদ্যকে তা নতুন মাত্রা দেবে আশা করি।
শফিক ইমতিয়াজ

সূচিপাতা
বিড়ালের অভিযোগ : ১১
গরম সিঙাড়া ও বিনয় কাকা : ১২
প্রতিদিন ও ছুটিদিন : ১৪
স্বপ্নময় কিশোর : ১৬
বিশ^কাপের স্মৃতি : টন্টন ভেন্যুতে টাইগার : ১৮
বারো ভূত : ১৯
বাদলধারায় : ২১
আম্মা : ২২
চুমুক : ২৩
দুষ্টুদের পাঠশালা : ২৪
মন্টু মামা অঙ্কে কাঁচা : ২৬
স্বপ্নগুলো নির্মাণে : ২৭
পয়লা রোজার দুপুর বেলায় : ২৮
গুড়-মিঠোলা : ৩০
আমার বন্ধু স্যুন লি : ৩২
লিপা গ্রামে গিয়েছিল : ৩৩
শীতের গান : ৩৪
পিন্টু দাদু নস্যি টানা ও ধূমপান ছেড়ে দিল : ৩৫
প্রিয় বন্ধুদের আড্ডা : ৩৭
আন্তর্জাল : ৩৮
বাঘা মীর মতিয়ার : ৪০
এসো মানুষ, প্রকৃতিকে ভালোবাসি : ৪২
চাই সুযোগের সমতা : ৪৪
টপকে দেযাল : ৪৫
চুল-অলার নাম চু লা : ৪৬
পণ : ৪৭
জাদুর বাড়ি : ৪৮
জাঁ রেনে ও সেরা চায়ের গল্প : ৫০
গানের শিল্পী : ৫২
জ¦র : ৫৪
ছায়ানীড় : ৫৫
বিশ^কাপ ফুটবল ২০১০ ও খুশির রঙ : ৫৬
সুকুমার রায় শ্রদ্ধাস্পদেষু : ৫৭
বকুল শহর : ৫৯
কাঁপাকাঁপি : ৬১
মহাতর্ক : ৬৩
হাক্কা ও মাক্কা : ৬৫
আরজু নামের তুখোড় ছেলেটি : ৬৭
চলছে গাধা সব দিকে! : ৬৮
জেব্রা : ৬৯
এই দেশ : ৭০
উৎবুনো : ৭১
চাকরি : ৭২
বড় মামা ও আর্দালি : ৭৩
গাড়ি : ৭৪
ধাওয়া : ৭৫
বৃষ্টি : ৭৬
ক্রিকেট-কীট : ৭৭
চার হাবা : ৮০
দানবীর মিশ খাঁ : ৮১
অবদানবিষয়ক গবেষণা : ৮৩
ফুটপাথ : ৮৫
শীত : ৮৭
রূপক মিয়া : ৮৮
শান্ত নদীর দুই তীরে : ৮৯
হাম্বা : ৯০
হায় ঢাকা : ৯১
এক যে বিরাট দৈত্য : ৯২
গরম! গরম! টাট্টু-গরম : ৯৩
মুখছড়া : ৯৪
লোটি খাঁ : ৯৬