11:42 pm, Sunday, 1 December 2024

মধুবন চক্রবর্তী দুটি কবিতা

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ১২:২৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • 57 ভিউ
শেয়ার করুন

পাঠ

যখনই তোমার ভেতরের গাছটাকে পাঠ করতে গেছি
কবিতা মুখোমুখি বসেছে গরম কফি হাতে
কুয়াশার বারান্দায় কফিতে চুমুক দিতে দিতে তোমার বিষন্নতা পাঠ করেছি
প্রেমের বাতিঘরে স্বপ্ন জ্বালিয়েছি পুড়িয়েছি
ছাই হয়ে পড়ে রয়েছি তোমার অস্ট্র্যেতে
গেরুয়া রঙে রামধনু আখ্যান হতে চেয়েছি তোমার রোদ পোড়া পাণ্ডুলিপিতে
যতবার কবিতা পাঠ করতে গেছি
কবিতা হাওয়ায় হাওয়ায় উড়েছে
পরিযায়ীর দেশে পারিজাত হয়েছে
উষ্ণতা কুড়িয়েছে
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছে যুবতী চাঁদ
তোমার আমি তখনও ময়ূরাক্ষী হয়ে ঢুকে বসে আছি কফির ভেতর
মনে আছে জিভ পুড়ে যাওয়ার ভয়ে ঠান্ডা কফি পছন্দ ছিল তোমার

 

প্রত্যাখ্যান

একজন কবির প্রেমকে
প্রত্যাখ্যান করেছ
তার শাস্তি তুমি পাবে
না, সংশোধনাগারে যেতে হবে না
জেলের ঘানিও টানতে হবে না
দিতে হবে না কোনোও মাশুল
সারাদিন সারারাত একই নামতা
পাঠও করতে হবে না
হাতজোড়া দড়ি দিয়ে বেঁধে
পিঠে চাবুকও মারা হবে না
এতটাও নৃশংস নয় আমাদের রাষ্ট্র
তবে একজন কবির প্রেমকে
শুধু প্রত্যাখ্যান নয়,
দেশদ্রোহিতার ছোবলে
পিষে মেরেছো
আগামীর বসন্তকে ধুলিস্যাৎ করেছো”

বিশ্বাসভাজনের বিশ্বাস খুইয়ে”…..
কবির স্বপ্নকে তুচ্ছ করেছ তুমি
যে কবির প্রেমের আলোতেই
আলোকিত হয়েছিলে একদিন
যে কবি ভেঙেছে জীবনের জড়তা
বাজিয়েছে যুদ্ধের দামামা
ফুটিয়েছে শান্তির গোলাপ
যে কবির কলমে জন্ম নিয়েছে
প্রেমের ঐতিহাসিক অধ্যায়
ধ্বংসস্তুপ থেকে জেগে উঠেছে প্রাণ সংগীত
যে কবি পেরেছে স্বৈরাচারী রাজাকে
বধ করে স্বপ্নের রাষ্ট্র গড়ে তুলতে
তুমি সেই কবির প্রেমকে
বলেছো পাগলের প্রলাপ “…
তুমি বোকা নির্বোধ অহংকারী
স্বেচ্ছাচারীতাকে ভালোবাসা বোঝ___
রাষ্ট্রকে ভেঙে টুকরো করেছো
সেই টুকরোগুলো জুড়েই তো আজ
গোলাপ ফোটাচ্ছেন নির্জনের এক কবি

#
জনপ্রিয়

মধুবন চক্রবর্তী দুটি কবিতা

আপডেটের সময় : ১২:২৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
শেয়ার করুন

পাঠ

যখনই তোমার ভেতরের গাছটাকে পাঠ করতে গেছি
কবিতা মুখোমুখি বসেছে গরম কফি হাতে
কুয়াশার বারান্দায় কফিতে চুমুক দিতে দিতে তোমার বিষন্নতা পাঠ করেছি
প্রেমের বাতিঘরে স্বপ্ন জ্বালিয়েছি পুড়িয়েছি
ছাই হয়ে পড়ে রয়েছি তোমার অস্ট্র্যেতে
গেরুয়া রঙে রামধনু আখ্যান হতে চেয়েছি তোমার রোদ পোড়া পাণ্ডুলিপিতে
যতবার কবিতা পাঠ করতে গেছি
কবিতা হাওয়ায় হাওয়ায় উড়েছে
পরিযায়ীর দেশে পারিজাত হয়েছে
উষ্ণতা কুড়িয়েছে
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছে যুবতী চাঁদ
তোমার আমি তখনও ময়ূরাক্ষী হয়ে ঢুকে বসে আছি কফির ভেতর
মনে আছে জিভ পুড়ে যাওয়ার ভয়ে ঠান্ডা কফি পছন্দ ছিল তোমার

 

প্রত্যাখ্যান

একজন কবির প্রেমকে
প্রত্যাখ্যান করেছ
তার শাস্তি তুমি পাবে
না, সংশোধনাগারে যেতে হবে না
জেলের ঘানিও টানতে হবে না
দিতে হবে না কোনোও মাশুল
সারাদিন সারারাত একই নামতা
পাঠও করতে হবে না
হাতজোড়া দড়ি দিয়ে বেঁধে
পিঠে চাবুকও মারা হবে না
এতটাও নৃশংস নয় আমাদের রাষ্ট্র
তবে একজন কবির প্রেমকে
শুধু প্রত্যাখ্যান নয়,
দেশদ্রোহিতার ছোবলে
পিষে মেরেছো
আগামীর বসন্তকে ধুলিস্যাৎ করেছো”

বিশ্বাসভাজনের বিশ্বাস খুইয়ে”…..
কবির স্বপ্নকে তুচ্ছ করেছ তুমি
যে কবির প্রেমের আলোতেই
আলোকিত হয়েছিলে একদিন
যে কবি ভেঙেছে জীবনের জড়তা
বাজিয়েছে যুদ্ধের দামামা
ফুটিয়েছে শান্তির গোলাপ
যে কবির কলমে জন্ম নিয়েছে
প্রেমের ঐতিহাসিক অধ্যায়
ধ্বংসস্তুপ থেকে জেগে উঠেছে প্রাণ সংগীত
যে কবি পেরেছে স্বৈরাচারী রাজাকে
বধ করে স্বপ্নের রাষ্ট্র গড়ে তুলতে
তুমি সেই কবির প্রেমকে
বলেছো পাগলের প্রলাপ “…
তুমি বোকা নির্বোধ অহংকারী
স্বেচ্ছাচারীতাকে ভালোবাসা বোঝ___
রাষ্ট্রকে ভেঙে টুকরো করেছো
সেই টুকরোগুলো জুড়েই তো আজ
গোলাপ ফোটাচ্ছেন নির্জনের এক কবি