কারুবাক ডেস্ক :
মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৭ জানুয়ারি)। ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২০১৪ সালের এই দিনে শেষ বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল বেলভিউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সুচিত্রা। রেখে যান একমাত্র মেয়ে অভিনেত্রী মুনমুন সেন এবং নাতনি রাইমা ও রিয়া সেনসহ অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী।
সুচিত্রা সেনের জন্ম বাংলাদেশের পাবনায় ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল। তাঁর শৈশব কেটেছে পাবনায়। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ও মা ইন্দিরা দেবীর পঞ্চম সন্তান ছিলেন সুচিত্রা সেন। তিন মেয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ সালে কলকাতার বিশিষ্ট বাঙালি শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দীবানাথ সেনকে বিয়ে করেন তিনি।
১৯৫২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে পদার্পণ হয় সুচিত্রার। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি ‘শেষ কোথায়’। তবে ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। ১৯৫৩ সালে মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান সুচিত্রা।
বাংলার পাশাপাশি হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি ‘দেবদাস’। সুচিত্রা সেন ১৯৭৮ সালে ‘প্রণয় পাশা’ ছবি করার পর লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। এর পর আর জনসমক্ষে আসেননি। মাঝে একবার ভোটার পরিচয়পত্রে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ছবি তুলতে ভোটকেন্দ্রে আসেন। সুচিত্রা সেন ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ভক্ত। তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যাওয়ার পরও কয়েকবার বেলুর মঠের রামকৃষ্ণ মিশনে গেছেন গোপনে কালো কাচ দিয়ে ঢাকা গাড়িতে। একবার তিনি গোপনে গিয়েছিলেন কলকাতা বইমেলায়ও।
বহু পরিচালক সুচিত্রা সেনকে নিয়ে ছবি করতে চাইলেও তিনি তাতে সম্মত হননি। এমনকি দেশ-বিদেশের কোনো পরিচালক, অভিনেতা বা অভিনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎও দেননি তিনি। সেই থেকে তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালেই থেকে যান। যদিও তাঁর বাসভবনে তিনি শুধু কথা বলেছেন তাঁর একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন এবং দুই নাতনি রিয়া ও রাইমার সঙ্গে।