6:38 am, Monday, 23 December 2024

কাজী ইমরুল কবীর সুমনের কবিতা

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 126 ভিউ
শেয়ার করুন

মাশা আমিনি’র প্রেম

[ আমার স্বপ্নের দেশ ইরানের প্রতিবাদী ও সাহসী নারী “মাশা আমিনি”কে।]

 

মৃত সুন্দরীরা কি প্রেম নিবেদন করে?

মৃত ব্যক্তিরা কি প্রতিবাদ জানাতে পারে?

শাসকরা ভেবেছিল সেটা।

মাশা আমিনি ইরানে প্রাণ দিয়েও জীবিত,

সারা বিশ্বে প্রতিবাদের অগ্নিশিখায় প্রীত।

রক্ষচক্ষু উপেক্ষার জ্বলন্ত ‘ডাটা’।

নেকাব আর হিজাবের তর্ক বিতর্ক শেষে,

ইরানী নারী নেমেছে রাস্তায় বীরের বেশে,

অন্ধকারের গল্প, পড়ছে কাটা।

 

পর্দায় ঢাকা ‘মাশা’, খুঁজে ফেরা প্রাণশক্তি,

মৌলবাদী জবাবে মেয়েটি এনেছে ভক্তি।

‌প্রতিবাদী জনতা, বিলাচ্ছে জানটা।

শত পদ্ম না আনা আমি,ওর প্রেমে মশহুর

রক্তে লিখি হৃদয় কবিতা, মনকথা বহুদূর।

প্রেম দিওয়ানা, বাঁধা পড়া ‘সু’ এ ‘মন’ টা।

 

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা

এ কথায় ধর্মশাসিত রাষ্ট্রে পাবে না দিশা।

জনপদে শৃংখলিত নারী জীবনটা।

গৃহবন্দী নারী-পুরুষ কট্টর ধর্মীয় শাসনে,

নিজ দেশে পরবাসী, হাসি নেই মনেপ্রাণে।

মরে-ই, বেঁচে যাচ্ছে শেষ টা।

 

মমতাজ বিরহে তাজমহল তৈরী এশিয়ায়,

ইউসুফ-জুলেখা, লাইলি-মজনু সেবা’য়।

প্রেমে যেন মজে আছে সমাজটা।

প্রেমে পড়েনি ইরানি গোলাপ-‘আমিনি’,

প্রেমিক অপেক্ষায় থাকেনি দিবস রজনী।

দেখতে চেয়েছিল শুধু দেশটা।

 

দীঘলকালো নেশাধরা চুলে দেখেনি কেউ,

হিজাবে ঢাকা, পেছনে লাগেনি ফেউ।

তারপরও দিতে হলো প্রাণটা।

মিয়া খলিফা, সানি লিওন নীলে মুগ্ধ বিশ্ব,

দেশবিদেশের বেহায়াদের করছে নিঃস্ব।

হাতে বন্দী নরের প্রাণভোমরাটা।

নিস্পাপ দেহ-মনে, নীল নদের স্বপ্ন বুনে

নীল আকাশে চাঁদ-তারা-গ্রহ-নক্ষত্র গুনে

বেদনায় নীল আজ মাশা’র দেহটা।

 

 

 

#
জনপ্রিয়

কাজী ইমরুল কবীর সুমনের কবিতা

আপডেটের সময় : ০৭:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

মাশা আমিনি’র প্রেম

[ আমার স্বপ্নের দেশ ইরানের প্রতিবাদী ও সাহসী নারী “মাশা আমিনি”কে।]

 

মৃত সুন্দরীরা কি প্রেম নিবেদন করে?

মৃত ব্যক্তিরা কি প্রতিবাদ জানাতে পারে?

শাসকরা ভেবেছিল সেটা।

মাশা আমিনি ইরানে প্রাণ দিয়েও জীবিত,

সারা বিশ্বে প্রতিবাদের অগ্নিশিখায় প্রীত।

রক্ষচক্ষু উপেক্ষার জ্বলন্ত ‘ডাটা’।

নেকাব আর হিজাবের তর্ক বিতর্ক শেষে,

ইরানী নারী নেমেছে রাস্তায় বীরের বেশে,

অন্ধকারের গল্প, পড়ছে কাটা।

 

পর্দায় ঢাকা ‘মাশা’, খুঁজে ফেরা প্রাণশক্তি,

মৌলবাদী জবাবে মেয়েটি এনেছে ভক্তি।

‌প্রতিবাদী জনতা, বিলাচ্ছে জানটা।

শত পদ্ম না আনা আমি,ওর প্রেমে মশহুর

রক্তে লিখি হৃদয় কবিতা, মনকথা বহুদূর।

প্রেম দিওয়ানা, বাঁধা পড়া ‘সু’ এ ‘মন’ টা।

 

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা

এ কথায় ধর্মশাসিত রাষ্ট্রে পাবে না দিশা।

জনপদে শৃংখলিত নারী জীবনটা।

গৃহবন্দী নারী-পুরুষ কট্টর ধর্মীয় শাসনে,

নিজ দেশে পরবাসী, হাসি নেই মনেপ্রাণে।

মরে-ই, বেঁচে যাচ্ছে শেষ টা।

 

মমতাজ বিরহে তাজমহল তৈরী এশিয়ায়,

ইউসুফ-জুলেখা, লাইলি-মজনু সেবা’য়।

প্রেমে যেন মজে আছে সমাজটা।

প্রেমে পড়েনি ইরানি গোলাপ-‘আমিনি’,

প্রেমিক অপেক্ষায় থাকেনি দিবস রজনী।

দেখতে চেয়েছিল শুধু দেশটা।

 

দীঘলকালো নেশাধরা চুলে দেখেনি কেউ,

হিজাবে ঢাকা, পেছনে লাগেনি ফেউ।

তারপরও দিতে হলো প্রাণটা।

মিয়া খলিফা, সানি লিওন নীলে মুগ্ধ বিশ্ব,

দেশবিদেশের বেহায়াদের করছে নিঃস্ব।

হাতে বন্দী নরের প্রাণভোমরাটা।

নিস্পাপ দেহ-মনে, নীল নদের স্বপ্ন বুনে

নীল আকাশে চাঁদ-তারা-গ্রহ-নক্ষত্র গুনে

বেদনায় নীল আজ মাশা’র দেহটা।