2:32 pm, Monday, 23 December 2024

চলে গেলেন বাংলা কমিকসের জনক নারায়ণ দেবনাথ

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৯:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 220 ভিউ
শেয়ার করুন

 কারুবাক ডেস্ক

বাংলা কমিকসের জনক নারায়ণ দেবনাথ (৯৬) মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

কয়েক প্রজন্মের বাঙালি কিশোর বেলার সঙ্গী হয়ে রয়েছে তার সৃষ্টি করা একের পর এক চরিত্র। সেই হাঁদা, ভোঁদা, বাঁটুল, নন্টে, ফন্টে, কেল্টুদের রেখে চলে গেলেন এসবের রচয়িতা নারায়ণ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

গত ২৪ ডিসেম্বর তাকে দক্ষিণ কলকাতার মিন্টো পার্কের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুসফুস থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা বাড়ছিল।

রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও কমছিল। স্বাস্থ্যে বিপজ্জনক অবনতি হওয়ায় ১৬ জানুয়ারি তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। সেখান থেকে আর ফেরা হলো না তার। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তিনি বয়সজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন কয়েক বছর ধরেই। এর আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল শিল্পীকে। চিকিৎসার ভার নিয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। তৈরি হয়েছিল চিকিৎসকদের একটি আলাদা দল।

 

কিন্তু এবার আর বাড়ি ফেরা হলো না বাঙালির কিশোর বেলার সঙ্গী নারায়ণ দেবনাথের।

১৯২৫ সালে হাওরার শিবপুরে জন্ম নারায়ণ দেবনাথের। অল্প বয়স থেকেই শিল্পের প্রতি তার ঝোঁক ছিল দেখার মতো। বাড়িতে অলঙ্কার তৈরির চল ছিল। ফলে শুরু থেকেই গহনার নকশা তৈরি করতেন নারায়ণ দেবনাথ।

স্কুলের পাঠ চুকিয়ে তিনি আর্ট কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে বন্ধ হয়ে যায় আর্ট কলেজে পড়া। তার পর কয়েকটি বিজ্ঞাপন সংস্থার হয়ে কাজ করেন।

বাংলা চিত্রকাহিনি বা কমিকসের প্রাণপুরুষ নারায়ণ দেবনাথের প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন— ‘বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যশিল্পী ও কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। বাঁটুল দি গ্রেট, হাঁদা ভোঁদা, নন্টে ফন্টে, বাহাদুর বেড়াল প্রভৃতি চরিত্রের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ সব বয়সের পাঠকের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করেছেন।

#
জনপ্রিয়

চলে গেলেন বাংলা কমিকসের জনক নারায়ণ দেবনাথ

আপডেটের সময় : ০৯:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

 কারুবাক ডেস্ক

বাংলা কমিকসের জনক নারায়ণ দেবনাথ (৯৬) মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

কয়েক প্রজন্মের বাঙালি কিশোর বেলার সঙ্গী হয়ে রয়েছে তার সৃষ্টি করা একের পর এক চরিত্র। সেই হাঁদা, ভোঁদা, বাঁটুল, নন্টে, ফন্টে, কেল্টুদের রেখে চলে গেলেন এসবের রচয়িতা নারায়ণ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

গত ২৪ ডিসেম্বর তাকে দক্ষিণ কলকাতার মিন্টো পার্কের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুসফুস থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা বাড়ছিল।

রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও কমছিল। স্বাস্থ্যে বিপজ্জনক অবনতি হওয়ায় ১৬ জানুয়ারি তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। সেখান থেকে আর ফেরা হলো না তার। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তিনি বয়সজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন কয়েক বছর ধরেই। এর আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল শিল্পীকে। চিকিৎসার ভার নিয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। তৈরি হয়েছিল চিকিৎসকদের একটি আলাদা দল।

 

কিন্তু এবার আর বাড়ি ফেরা হলো না বাঙালির কিশোর বেলার সঙ্গী নারায়ণ দেবনাথের।

১৯২৫ সালে হাওরার শিবপুরে জন্ম নারায়ণ দেবনাথের। অল্প বয়স থেকেই শিল্পের প্রতি তার ঝোঁক ছিল দেখার মতো। বাড়িতে অলঙ্কার তৈরির চল ছিল। ফলে শুরু থেকেই গহনার নকশা তৈরি করতেন নারায়ণ দেবনাথ।

স্কুলের পাঠ চুকিয়ে তিনি আর্ট কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে বন্ধ হয়ে যায় আর্ট কলেজে পড়া। তার পর কয়েকটি বিজ্ঞাপন সংস্থার হয়ে কাজ করেন।

বাংলা চিত্রকাহিনি বা কমিকসের প্রাণপুরুষ নারায়ণ দেবনাথের প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন— ‘বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যশিল্পী ও কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। বাঁটুল দি গ্রেট, হাঁদা ভোঁদা, নন্টে ফন্টে, বাহাদুর বেড়াল প্রভৃতি চরিত্রের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ সব বয়সের পাঠকের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করেছেন।