2:00 am, Monday, 23 December 2024

প্রতিটি রিকশায় রিকশাচিত্র সংযোজনের দাবি বিশষ্টজনের

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৫:০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 126 ভিউ
শেয়ার করুন
ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশাচিত্র ইউনেস্কোর ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় শুভেচ্ছা প্রকাশসহ রিকশার জন্য সংরক্ষিত ‘রিকশা লেন’ চালু এবং দেশের প্রতিটি রিকশার পেছনে রিকশাচিত্র সংযোজন করার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টরা।

ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক ২০২৩ কনভেনশনের ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র ইউনেস্কোর ‘বৈশ্বিক অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের উপস্থাপিত প্রস্তাবনার নেপথ্যে কাজ করেছে বাংলা একাডেমি এবং এর সার্বিক প্রণোদনায় ছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ও বাংলা একাডেমির বিশেষ এই অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি এক আনন্দ সম্মিলনের আয়োজন করে। এই সম্মিলনেরই বিশিষ্টজনরা এমন দাবি জানান।

আয়োজনে সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, বাংলা একাডেমি রিকশা ও রিকশাচিত্রের বিশ্ব-স্বীকৃতির জন্য যে অসাধারণ অবদান রেখেছে, তা অভিনন্দনযোগ্য। সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি, ঢাকা শহরে রিকশার জন্য সংরক্ষিত ‘রিকশা লেন’ চালু করা হোক। একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি রিকশার পেছনে রিকশাচিত্র সংযোজিত থাকাও এখন সময়ের দাবি।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এই সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির প্রশাসন মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। রিকশা ও রিকশাচিত্রের বিশ্বস্বীকৃতির নেপথ্যের দীর্ঘযাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় অংশ নেন বাংলা একাডমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলাদেশ রিকশা আর্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির ফোকলোর জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. আমিনুর রহমান সুলতান এবং সংস্কৃতি পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন।

আয়োজনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ রিকশা আর্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তার সমস্ত ইতিবাচকতাকে জাতীয় পর্যায় পেরিয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার আপ্রাণ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

ড. আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, বাংলা একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগ ঢাকার রিকশাশিল্পীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন মাঠপর্যায়ে কাজ করে এ বিষয়ে যে প্রস্তাবনা ও সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে, আজ তা জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ অর্জন বাংলা একাডেমির, এ অর্জন বাংলা ও বাঙালির, এ অর্জন এদেশের প্রতিটি রিকশাচালক এবং রিকশাচিত্রশিল্পীর, এ অর্জন বাংলাদেশের।

ড. সরকার আমিন বলেন, আমাদের লোকপ্রজ্ঞার শিল্পীদের বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরতে এই স্বীকৃতি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের লোকসাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিকে বিশ্বসভায় তুলে ধরতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ এই কাজে পথিকৃৎ ভূমিকা পালন করেন। তিনিই ইউনেস্কোতে বাংলার লোকসাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি আদায়ে সুদূর অতীতে কাজ শুরু করেছিলেন।

তিনি বলেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কাজের ধারাবাহিকতায় বাংলা একাডেমির মাঠকর্ম, তত্ত্বীয় গবেষণা এবং সার্বিক উপস্থাপনার ফলে জামদানি শাড়ি, মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং সর্বশেষ ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র ইউনেস্কো কর্তৃক বৈশ্বিক অপরিমেয় সাস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তি লাভ করেছে। আমাদের এই কাজে সার্বিক প্রণোদনা দিয়ে চলেছেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই বিশেষ অর্জন আমরা এদেশের রিকশা-পেশা এবং রিকশাচিত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলকে উৎসর্গ করছি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, রিকশা ও রিকশাচিত্রশিল্পের ইউনেস্কো-স্বীকৃতির সহযোগিতার জন্য আমরা বাংলা একাডেমির কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

ড. মো. হাসান কবীর বলেন, বাংলা একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগ দেশের রিকশাচিত্রশিল্পীদের সহায়তায় দেশের জন্য যে বৈশ্বিক স্বীকৃতি বহন করে এনেছে, তা আমাদের জন্য অপরিমেয় আনন্দের উৎস হয়ে থাকবে।

রিকশা ও রিকশাচিত্রের ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি-প্রাপ্তিতে দেশের আপামর রিকশাশিল্পীদের পক্ষে রিকশা আর্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত করা হয়।

এই অনন্য অর্জনের নেপথ্য কারিগর বাংলা একাডেমি এবং রিকশা আর্ট সোসাইটিকে পুষ্পমাল্য দিয়ে আরও অভিনন্দিত করেন কবি দিলারা হাফিজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

#
জনপ্রিয়

প্রতিটি রিকশায় রিকশাচিত্র সংযোজনের দাবি বিশষ্টজনের

আপডেটের সময় : ০৫:০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন
ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশাচিত্র ইউনেস্কোর ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় শুভেচ্ছা প্রকাশসহ রিকশার জন্য সংরক্ষিত ‘রিকশা লেন’ চালু এবং দেশের প্রতিটি রিকশার পেছনে রিকশাচিত্র সংযোজন করার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টরা।

ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক ২০২৩ কনভেনশনের ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র ইউনেস্কোর ‘বৈশ্বিক অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের উপস্থাপিত প্রস্তাবনার নেপথ্যে কাজ করেছে বাংলা একাডেমি এবং এর সার্বিক প্রণোদনায় ছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ও বাংলা একাডেমির বিশেষ এই অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি এক আনন্দ সম্মিলনের আয়োজন করে। এই সম্মিলনেরই বিশিষ্টজনরা এমন দাবি জানান।

আয়োজনে সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, বাংলা একাডেমি রিকশা ও রিকশাচিত্রের বিশ্ব-স্বীকৃতির জন্য যে অসাধারণ অবদান রেখেছে, তা অভিনন্দনযোগ্য। সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি, ঢাকা শহরে রিকশার জন্য সংরক্ষিত ‘রিকশা লেন’ চালু করা হোক। একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি রিকশার পেছনে রিকশাচিত্র সংযোজিত থাকাও এখন সময়ের দাবি।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এই সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির প্রশাসন মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। রিকশা ও রিকশাচিত্রের বিশ্বস্বীকৃতির নেপথ্যের দীর্ঘযাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় অংশ নেন বাংলা একাডমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলাদেশ রিকশা আর্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির ফোকলোর জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. আমিনুর রহমান সুলতান এবং সংস্কৃতি পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন।

আয়োজনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ রিকশা আর্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তার সমস্ত ইতিবাচকতাকে জাতীয় পর্যায় পেরিয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার আপ্রাণ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

ড. আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, বাংলা একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগ ঢাকার রিকশাশিল্পীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন মাঠপর্যায়ে কাজ করে এ বিষয়ে যে প্রস্তাবনা ও সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে, আজ তা জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ অর্জন বাংলা একাডেমির, এ অর্জন বাংলা ও বাঙালির, এ অর্জন এদেশের প্রতিটি রিকশাচালক এবং রিকশাচিত্রশিল্পীর, এ অর্জন বাংলাদেশের।

ড. সরকার আমিন বলেন, আমাদের লোকপ্রজ্ঞার শিল্পীদের বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরতে এই স্বীকৃতি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের লোকসাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিকে বিশ্বসভায় তুলে ধরতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ এই কাজে পথিকৃৎ ভূমিকা পালন করেন। তিনিই ইউনেস্কোতে বাংলার লোকসাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি আদায়ে সুদূর অতীতে কাজ শুরু করেছিলেন।

তিনি বলেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কাজের ধারাবাহিকতায় বাংলা একাডেমির মাঠকর্ম, তত্ত্বীয় গবেষণা এবং সার্বিক উপস্থাপনার ফলে জামদানি শাড়ি, মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং সর্বশেষ ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র ইউনেস্কো কর্তৃক বৈশ্বিক অপরিমেয় সাস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তি লাভ করেছে। আমাদের এই কাজে সার্বিক প্রণোদনা দিয়ে চলেছেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই বিশেষ অর্জন আমরা এদেশের রিকশা-পেশা এবং রিকশাচিত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলকে উৎসর্গ করছি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, রিকশা ও রিকশাচিত্রশিল্পের ইউনেস্কো-স্বীকৃতির সহযোগিতার জন্য আমরা বাংলা একাডেমির কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

ড. মো. হাসান কবীর বলেন, বাংলা একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগ দেশের রিকশাচিত্রশিল্পীদের সহায়তায় দেশের জন্য যে বৈশ্বিক স্বীকৃতি বহন করে এনেছে, তা আমাদের জন্য অপরিমেয় আনন্দের উৎস হয়ে থাকবে।

রিকশা ও রিকশাচিত্রের ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি-প্রাপ্তিতে দেশের আপামর রিকশাশিল্পীদের পক্ষে রিকশা আর্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত করা হয়।

এই অনন্য অর্জনের নেপথ্য কারিগর বাংলা একাডেমি এবং রিকশা আর্ট সোসাইটিকে পুষ্পমাল্য দিয়ে আরও অভিনন্দিত করেন কবি দিলারা হাফিজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম