7:10 pm, Sunday, 22 December 2024

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা অস্তিত্ব হুমকির মুখে

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৪:৪০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • 77 ভিউ
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা ইতোমধ্যে ‘অস্তিত্বগত হুমকির’ সম্মুখীন হয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা জান্তার ‘দুঃস্বপ্নের’ শাসনের অবসান ঘটাতে সাহায্য করতে পারে। বুধবার মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, জান্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা, সেইসাথে দলত্যাগ, আত্মসমর্পণ এবং নিয়োগের চ্যালেঞ্জগুলো সেনা সংখ্যা হ্রাসের দিকে পরিচালিত করেছে। বিষয়টি ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য অস্তিত্বের হুমকি’ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, “যারা মিয়ানমারে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য জান্তার সাথে বাজি ধরেছে তারা হেরে যাওয়ার বাজি রেখেছে।”

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসে সামরিক জান্তা। এরপর থেকে দেশটির আঞ্চলিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো জান্তার ওপর হামলা শুরু করে। সম্প্রতি কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়েছে সামরিক বাহিনী।

অ্যান্ড্রুজ বলেন, “জান্তা দেশের সহিংসতা, অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক অবনতি এবং অনাচারের প্রধান চালক।”

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো- আর্থিক প্রবাহের উপর বিধিনিষেধ এবং সামরিক ব্যবহারের জন্য সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ- জান্তার কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।

জাতিসংঘের এই দূত সিঙ্গাপুরের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর মিয়ানমারের কাছে সামরিক ব্যবহারের জন্য সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে এবং গত বছর এই ধরনের বিক্রি ৮৩ শতাংশ কমেছে।

সূত্র: এএফপি

 

#
জনপ্রিয়

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা অস্তিত্ব হুমকির মুখে

আপডেটের সময় : ০৪:৪০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা ইতোমধ্যে ‘অস্তিত্বগত হুমকির’ সম্মুখীন হয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা জান্তার ‘দুঃস্বপ্নের’ শাসনের অবসান ঘটাতে সাহায্য করতে পারে। বুধবার মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, জান্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা, সেইসাথে দলত্যাগ, আত্মসমর্পণ এবং নিয়োগের চ্যালেঞ্জগুলো সেনা সংখ্যা হ্রাসের দিকে পরিচালিত করেছে। বিষয়টি ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য অস্তিত্বের হুমকি’ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, “যারা মিয়ানমারে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য জান্তার সাথে বাজি ধরেছে তারা হেরে যাওয়ার বাজি রেখেছে।”

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসে সামরিক জান্তা। এরপর থেকে দেশটির আঞ্চলিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো জান্তার ওপর হামলা শুরু করে। সম্প্রতি কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়েছে সামরিক বাহিনী।

অ্যান্ড্রুজ বলেন, “জান্তা দেশের সহিংসতা, অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক অবনতি এবং অনাচারের প্রধান চালক।”

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো- আর্থিক প্রবাহের উপর বিধিনিষেধ এবং সামরিক ব্যবহারের জন্য সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ- জান্তার কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।

জাতিসংঘের এই দূত সিঙ্গাপুরের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর মিয়ানমারের কাছে সামরিক ব্যবহারের জন্য সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে এবং গত বছর এই ধরনের বিক্রি ৮৩ শতাংশ কমেছে।

সূত্র: এএফপি