12:39 am, Monday, 23 December 2024

চট্টগাম এস আলম কারখানায় আগুন : নিয়ন্ত্রণে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি 

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • 96 ভিউ
শেয়ার করুন

চট্টগাম প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ইছানগরে এস আলম গ্রুপের সুগার রিফাইনারি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে এক লাখ টনেরও বেশি অপরিশোধিত চিনি পুড়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

আসন্ন রমজান সামনে রেখে এ অপরিশোধিত চিনি আমদানি করা হয়। পরিশোধনের পর রমজানে এ চিনি বাজারে ছাড়ার কথা ছিল। ওই কারখানায় সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টায় লাগা আগুন রাত ৮টা পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

এস আলম সুগার রিফাইনারি কারখানার মনির হোসেনসহ একাধিক কর্মকর্তা জানান, যে গুদামে আগুন লেগেছে, সেখানে এক লাখ টনেরও বেশি অপরিশোধিত চিনি রয়েছে। সব চিনি ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে। এ গুদামের পাশে অপর একটি গুদামে আরও কয়েক লাখ টন পরিশোধিত চিনি রয়েছে। সেই গুদাম রক্ষা করতে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, গুদামের বাইরে আগুন না থাকলেও ভেতরে চিনি আগুনে পুড়ছে। যা নেভানো যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে অপরিশোধিত চিনি ও চিনির কাঁচামাল আমদানি করে এ প্লান্টে পরিশোধন করা হয়। এ কারখানায় দৈনিক দেড় হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়ে থাকে।

নিয়ন্ত্রণে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী

এস আলম সুগার মিলে লাগা আগুন সোমবার (৪ মার্চ) রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট। রাত সাড়ে ৯টার দিকে নৌ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, আজ সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মিলটিতে আগুন লাগে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জহরুল হক ঘাঁটির ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হাবীবুর রহমান জানিয়েছেন, রাতে বিমান বাহিনীর  ১৩ সদস্যের একটি দল আগুন নেভাতে অংশ নিয়েছে।  বিমান বাহিনীর ১০ হাজার লিটার পানি ধারণ করার ক্ষমতা সম্পন্ন বিশেষ অগ্নিনির্বাপনী গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।

এর আগে, চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক জানান, এস আলম সুগার মিলের গোডাউনে অজ্ঞাত উৎস থেকে আগুন লেগেছে। কিভাবে এর সূত্রপাত আমরা নিশ্চিত নই। ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন সংস্থা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।

 

৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি

আগুন লাগার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক ও ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা এ কমিটি গঠন করেন।

সিএমপি বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানকে।

 

#
জনপ্রিয়

চট্টগাম এস আলম কারখানায় আগুন : নিয়ন্ত্রণে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি 

আপডেটের সময় : ০৫:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
শেয়ার করুন

চট্টগাম প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ইছানগরে এস আলম গ্রুপের সুগার রিফাইনারি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে এক লাখ টনেরও বেশি অপরিশোধিত চিনি পুড়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

আসন্ন রমজান সামনে রেখে এ অপরিশোধিত চিনি আমদানি করা হয়। পরিশোধনের পর রমজানে এ চিনি বাজারে ছাড়ার কথা ছিল। ওই কারখানায় সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টায় লাগা আগুন রাত ৮টা পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

এস আলম সুগার রিফাইনারি কারখানার মনির হোসেনসহ একাধিক কর্মকর্তা জানান, যে গুদামে আগুন লেগেছে, সেখানে এক লাখ টনেরও বেশি অপরিশোধিত চিনি রয়েছে। সব চিনি ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে। এ গুদামের পাশে অপর একটি গুদামে আরও কয়েক লাখ টন পরিশোধিত চিনি রয়েছে। সেই গুদাম রক্ষা করতে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, গুদামের বাইরে আগুন না থাকলেও ভেতরে চিনি আগুনে পুড়ছে। যা নেভানো যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে অপরিশোধিত চিনি ও চিনির কাঁচামাল আমদানি করে এ প্লান্টে পরিশোধন করা হয়। এ কারখানায় দৈনিক দেড় হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়ে থাকে।

নিয়ন্ত্রণে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী

এস আলম সুগার মিলে লাগা আগুন সোমবার (৪ মার্চ) রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট। রাত সাড়ে ৯টার দিকে নৌ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, আজ সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মিলটিতে আগুন লাগে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জহরুল হক ঘাঁটির ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হাবীবুর রহমান জানিয়েছেন, রাতে বিমান বাহিনীর  ১৩ সদস্যের একটি দল আগুন নেভাতে অংশ নিয়েছে।  বিমান বাহিনীর ১০ হাজার লিটার পানি ধারণ করার ক্ষমতা সম্পন্ন বিশেষ অগ্নিনির্বাপনী গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।

এর আগে, চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক জানান, এস আলম সুগার মিলের গোডাউনে অজ্ঞাত উৎস থেকে আগুন লেগেছে। কিভাবে এর সূত্রপাত আমরা নিশ্চিত নই। ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন সংস্থা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।

 

৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি

আগুন লাগার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক ও ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা এ কমিটি গঠন করেন।

সিএমপি বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানকে।