7:02 pm, Sunday, 22 December 2024

মহাকাশ স্টেশন বানাচ্ছে ভারত?

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৪:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • 68 ভিউ
শেয়ার করুন

 

কারুবাক ডেস্ক 

রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর মহাকাশে নিজেদের স্পেস স্টেশন তৈরি করতে চায় ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যেই স্পেস স্টেশনটিকে মহাকাশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রস্তুতি পর্ব শুরু।

ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশনে কী ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন কার্যকর হতে পারে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন ইসরোর প্রধান। এই স্পেস স্টেশনটিকে নিম্নকক্ষপথে অবস্থান করানো হবে। নাম রাখা হবে ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’। স্পেস স্টেশনের ভিতরে দুই থেকে চার জন নভোচারী থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর উন্নিকৃষ্ণণ নায়ার জানান, ভারতের অন্যতম ভারী রকেট ‘বাহুবলী’ এবং লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ (এলভিএম ৩)-এর মাধ্যমে স্পেস স্টেশনের অংশগুলি মহাকাশে পাঠানো হবে। পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় যে কক্ষপথ রয়েছে সেখানে স্থান পাবে ভারতের স্পেস স্টেশন। মহাকাশে ‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি’ এবং ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি’ সংক্রান্ত নানা রকম গবেষণা করা হবে এই স্পেস স্টেশনে। পৃথিবীর মতোই তার উপগ্রহ চাঁদ বসবাসযোগ্য কি না, তা নিয়েও গবেষণা চলবে স্পেস স্টেশনে।

 

এই স্পেস স্টেশনের ওজন ২০ হাজার কিলোগ্রাম থেকে চার লক্ষ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়েছে। স্পেস স্টেশনের জন্য উন্নত মানের ডকিং পোর্টও নির্মাণ করবে ইসরো। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য একটি বিশেষ ডকিং পোর্টও তৈরি করা হবে। চারটি মডিউল এবং অন্তত চার জোড়া সোলার প্যানেল থাকতে পারে স্পেস স্টেশনে।

স্পেস স্টেশনের মূল মডিউলে এমন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে যা অক্সিজেন প্রস্তুতির পাশাপাশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের জন্যও সক্ষম হবে। এমনকি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ন্যূনতম আপেক্ষিক আর্দ্রতা বজায় রাখাও সম্ভব হবে।

ভারতীয় মহাকাশচারীদের পৃথিবীর সীমানার বাইরে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে ইসরো। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গগনযান’। চলতি বছরেই ‘গগনযান’ মহাকাশচারীদের নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিতে পারে। সেই অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিন পরীক্ষা করে দেখেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে চার জন নভোচারীর নাম ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চার জনই ভারতীয় বিমানবাহিনীর কর্তা। তারা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বালাকৃষ্ণণ নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল। উইং কমান্ডার কিংবা গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসাবে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন। বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভোচর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের।

মহাকাশের ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মানুষকে পাঠানোর যে পরিকল্পনা, তার অঙ্গ হিসাবে গত অক্টোবর মাসেই পরীক্ষামূলক ভাবে মহাকাশে মানববিহীন আকাশযান পাঠায় ইসরো। সেই অভিযান সফল হলে ২০২৪-’২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করবে ইসরো।

 

#
জনপ্রিয়

মহাকাশ স্টেশন বানাচ্ছে ভারত?

আপডেটের সময় : ০৪:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
শেয়ার করুন

 

কারুবাক ডেস্ক 

রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর মহাকাশে নিজেদের স্পেস স্টেশন তৈরি করতে চায় ভারত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যেই স্পেস স্টেশনটিকে মহাকাশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রস্তুতি পর্ব শুরু।

ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশনে কী ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন কার্যকর হতে পারে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন ইসরোর প্রধান। এই স্পেস স্টেশনটিকে নিম্নকক্ষপথে অবস্থান করানো হবে। নাম রাখা হবে ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’। স্পেস স্টেশনের ভিতরে দুই থেকে চার জন নভোচারী থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর উন্নিকৃষ্ণণ নায়ার জানান, ভারতের অন্যতম ভারী রকেট ‘বাহুবলী’ এবং লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ (এলভিএম ৩)-এর মাধ্যমে স্পেস স্টেশনের অংশগুলি মহাকাশে পাঠানো হবে। পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় যে কক্ষপথ রয়েছে সেখানে স্থান পাবে ভারতের স্পেস স্টেশন। মহাকাশে ‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি’ এবং ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি’ সংক্রান্ত নানা রকম গবেষণা করা হবে এই স্পেস স্টেশনে। পৃথিবীর মতোই তার উপগ্রহ চাঁদ বসবাসযোগ্য কি না, তা নিয়েও গবেষণা চলবে স্পেস স্টেশনে।

 

এই স্পেস স্টেশনের ওজন ২০ হাজার কিলোগ্রাম থেকে চার লক্ষ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়েছে। স্পেস স্টেশনের জন্য উন্নত মানের ডকিং পোর্টও নির্মাণ করবে ইসরো। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য একটি বিশেষ ডকিং পোর্টও তৈরি করা হবে। চারটি মডিউল এবং অন্তত চার জোড়া সোলার প্যানেল থাকতে পারে স্পেস স্টেশনে।

স্পেস স্টেশনের মূল মডিউলে এমন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে যা অক্সিজেন প্রস্তুতির পাশাপাশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের জন্যও সক্ষম হবে। এমনকি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ন্যূনতম আপেক্ষিক আর্দ্রতা বজায় রাখাও সম্ভব হবে।

ভারতীয় মহাকাশচারীদের পৃথিবীর সীমানার বাইরে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে ইসরো। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গগনযান’। চলতি বছরেই ‘গগনযান’ মহাকাশচারীদের নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিতে পারে। সেই অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিন পরীক্ষা করে দেখেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে চার জন নভোচারীর নাম ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চার জনই ভারতীয় বিমানবাহিনীর কর্তা। তারা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বালাকৃষ্ণণ নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল। উইং কমান্ডার কিংবা গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসাবে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন। বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভোচর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের।

মহাকাশের ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মানুষকে পাঠানোর যে পরিকল্পনা, তার অঙ্গ হিসাবে গত অক্টোবর মাসেই পরীক্ষামূলক ভাবে মহাকাশে মানববিহীন আকাশযান পাঠায় ইসরো। সেই অভিযান সফল হলে ২০২৪-’২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করবে ইসরো।