নিজস্ব প্রতিবেদক
রীতি অনুযায়ী ভাষার মাসের বইমেলা শেষ। ২৯ ফেব্রুয়ারিতে পর্দা নামার কথা ছিল অমর একুশে বইমেলার। তবে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে মেলা গড়িয়েছে ২ মার্চ পর্যন্ত। বর্ধিত দিনে দেখা গেছে বইপ্রেমীদের ভীড়। বাড়তি এই দিনে পাঠকদের মুখে দেখা গেছে বাড়তি উচ্ছ্বাস।
শুক্রবার (১ মার্চ) সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড়। এদিন সকাল ১১টা মেলা শুরু হলেও ভিড় জমে বিকেলের দিকে। শেষ সময়ে বই কেনার জন্য মেলা প্রাঙ্গণে সমাগম বাড়তে থাকে স্টলে স্টলে। এদিন বেচাকেনাও হচ্ছে মোটামুটি। এতে খুশি প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা।
মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় আবুজর গিফারী কলেজের শিক্ষার্থী ইয়ামীন হাসানের সঙ্গে। তিনি কারুবাককে বলেন, মেলায় প্রথম দিকে এসেছিলাম। আবার শেষদিকে আসবো ভেবে আর আসা হয়নি। সময় বাড়ানোয় আজ ছুটির দিনে এসেছি। জসিম উদ্দীনের ‘জীবন কথা’ বইটি কিনেছি। আরও কিছু বই খুঁজতেছি, পেলে কিনবো।
বইমেলাই আসা পাঠক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বইমেলা থেকে বই কেনার আনন্দ অন্যরকম। অন্যান্য সময়ে প্রয়োজনে এক দুইটা বই কেনা হয়। কিন্তু মেলায় একসঙ্গে অনেকগুলা বই কেনা হয়। এটা বাড়তি আনন্দের।
বর্ধিত সময়ের প্রথমদিন পাশাপাশি ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় ছোট প্রকাশনীর মুখে হাসি ফুটেছে। অবসর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মো. রাসেল বলেন, মেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিছুটা খারাপও লাগছে। গত এক মাস বইয়ের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক হয়ে গেছে। নিজে খুব বেশি বই না পড়লেও কোন লেখকের কি বই, কোন বিষয়ে লেখা এসব নিয়ে বিস্তার ধারণা হয়েছে। শনিবার মেলা শেষ হয়ে যাবে, কিছুটা বিষাদময় লাগছে।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, আজ বর্ধিত দিন হওয়ায় মেলায় শিশু প্রহর, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল না।
জানা গেছে, ১ ও ২ মার্চ ছুটির দিন হওয়ায় প্রকাশকদের আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মেলা সময় বাড়ায় কর্তৃপক্ষ। শনিবার পর্দা নামবে বইমেলার।