9:18 am, Monday, 23 December 2024

২০২৩ : বাংলা সাহিত্য যাদের আমরা হারালাম

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 143 ভিউ
শেয়ার করুন

 কারুবাক ডেস্ক :

বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে ২০২৩ সাল। অনেক আনন্দময় প্রাপ্তির মাঝেও হারানোর বেদনা আমাদের আহত করেছে বিদায়ী বছরটি। এ বছর কবি, লেখক, গবেষক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীসহ আলোকিত কিছু মানুষ আমাদের বিষাদের অন্ধকারে ফেলে চলে গেছেন চিরদিনের জন্য। তবে রেখে গেছেন তাঁদের মূল্যবান সৃষ্টিকর্ম। সেইসব উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রস্থান নিয়েই আজকের আয়োজন সাজিয়েছেন সালাহ উদ্দিন মাহমুদ

 

প্রাবন্ধিক সুফিয়া খাতুন
৭ জানুয়ারি ভোরে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান বাংলাদেশের শতবর্ষী লেখক-প্রাবন্ধিক সুফিয়া খাতুন। তিনি আত্মজীবনীতে ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। আলোচিত ‘জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে’ গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। ১৯২২ সালে ময়মনসিংহে জন্ম নেওয়া এ লেখকের ‘সোনা ঝরা দিন’ শিরোনামের শিশু-কিশোরদের জন্য রচিত গ্রন্থটিও বেশ আলোচিত হয়। এছাড়া তিনি লিখেছেন কাব্যগ্রন্থ ‘আপন ভুবন’, ‘নারীর চোখে জল’, ভ্রমণকাহিনি ‘প্রবাসের প্রাপ্তি’ প্রভৃতি।

কবি ইকবাল হাসান
১২ এপ্রিল বাংলা একাডেমির ‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার’ পাওয়া কানাডা প্রবাসী কবি ইকবাল হাসান (৭৩) মারা যান। টরন্টোর মাইকেল গ্যারন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ-‘অসামান্য ব্যবধান’, ‘জোছনার চিত্রকলা’, ‘কপাটবিহীন ঘর’, ‘দূর কোনো নক্ষত্রের দিকে’, ‘দূরের মানুষ কাছের মানুষ’, ‘আলো আঁধারে কয়েকটি সোনালি মাছ’, ‘চোখ ভেসে যায় জলে’, ‘সুখলালের স্বপ্ন ও তৃতীয় চরিত্র’, ‘কিছু কথা কথার ভেতরে’ প্রভৃতি।

কথাসাহিত্যিক পান্না কায়সার
৪ আগস্ট কথাসাহিত্যিক পান্না কায়সার (৭৩) মারা যান। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সাহিত্য ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। তার গ্রন্থসমূহ- ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’, ‘নীলিমায় নীল’, ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’, ‘অন্য কোনোখানে’, ‘তুমি কি কেবলি ছবি’, ‘রাসেলের যুদ্ধযাত্রা’, ‘সুখ’, ‘না চুনি না পান্না’ প্রভৃতি।

কবি মোহাম্মদ রফিক
৬ আগস্ট কবি মোহাম্মদ রফিক (৮০) মারা যান। তার জন্ম ১৯৪৩ সালে বাগেরহাটে। পেশাগত জীবনে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো-‘ধুলার সংসারে এ মাটি’, ‘কীর্তিনাশা’, ‘খোলা কবিতা ও কপিলা’, ‘গাওদিয়ায়’, ‘স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়’, ‘মেঘে এবং কাদায়’, ‘রূপকথা কিংবদন্তি’, ‘মৎস্য গন্ধ্যা’ প্রভৃতি। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। একুশে পদক পান ২০১০ সালে।

লেখক কাজী শাহেদ আহমেদ
২৮ আগস্ট অধুনালুপ্ত দৈনিক আজকের কাগজের প্রকাশক, সম্পাদক ও লেখক কাজী শাহেদ আহমেদ (৮২) মারা যান। তার জন্ম ১৯৪০ সালের ৭ নভেম্বর যশোরে। ১৯৭৯ সালে জেমকন গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসায়িক জীবন শুরু হয়। ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা তিনি। নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন করেছিলেন। জীবদ্দশায় লেখালেখিও করেছেন। ‘ভৈরব’, ‘দাঁতে কাটা পেনসিল’, ‘অপেক্ষা’সহ কয়েকটি উপন্যাস আছে তার। ‘জীবনের শিলালিপি’ নামে একটি আত্মজীবনীও আছে।

কবি আসাদ চৌধুরী
৫ অক্টোবর কবি আসাদ চৌধুরী (৮০) মারা যান। কানাডার একটি হাসপাতালে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া জমিদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কবি। ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক পান। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ-‘তবক দেওয়া পান’, ‘বিত্ত নাই বেসাত নাই’, ‘প্রশ্ন নেই উত্তরে পাহাড়’, ‘জলের মধ্যে লেখাজোখা’, ‘যে পারে পারুক’, ‘মধ্য মাঠ থেকে’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘দুঃখীরা গল্প করে’, ‘নদীও বিবস্ত্র হয়’, ‘কিছু ফল আমি নিভিয়ে দিয়েছি’, ‘ঘরে ফেরা সোজা নয়’ প্রভৃতি।

কবি আজিজুর রহমান আজিজ
৯ অক্টোবর কবি, গীতিকার ও ঔপন্যাসিক আজিজুর রহমান আজিজ (৭৯) মারা যান। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ১৯৪৪ সালের ১৪ জানুয়ারি মাদারীপুরে জন্ম নেওয়া এ কবি ও কথাসাহিত্যিক ২০২১ সালে বাংলা একাডেমির ফেলোশিপ লাভ করেছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-‘বিনষ্ট প্রেম’, ‘সত্যসুন্দর আনন্দ’, ‘মাধুরী এবং অন্যান্য’, ‘কারাগার কারাবাস’, ‘দূর থেকে দূরে’, ‘অপারেশন থিয়েটারে চারঘণ্টা’, ‘নীল গোলাপ’ প্রভৃতি।

কবি তারেক মাহমুদ
২৬ অক্টোবর কবি, অভিনেতা ও নাট্যনির্মাতা তারেক মাহমুদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকার মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ‘পথিক’ নামে একটি ছোটকাগজ করে আলোচিত হয়েছিলেন। সেই সুবাদে শাহবাগ আজিজ মার্কেট, শিল্পকলা একাডেমি এলাকায় একটা সাহিত্যগণ্ডি তৈরি হয়েছিল তার। শখের বশে অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এ কবি।

প্রাবন্ধিক সমরেশ দেবনাথ
১২ ডিসেম্বর কবি ও প্রাবন্ধিক সমরেশ দেবনাথ (৫৯) ঢাকায় মারা যান। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ডুবাইল গ্রামে শেষকৃত্য হয়। তার লেখা বইগুলো-‘ইউরোপ ভ্রমণ’, ‘বাংলাদেশের রাজকন্যা সুচিত্রা সেন’, ‘পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া’, ‘বঙ্গবন্ধুর ছায়া’, ‘ওপারে গঙ্গা এপারে যমুনা’, ‘যেভাবে বীজদান যায় মাটির কাছে’, ‘কবিতার গভীরে’ প্রভৃতি।

কবি আবুবকর সিদ্দিক
২৮ ডিসেম্বর কবি, ঔপন্যাসিক, ছড়াকার, গল্পকার ও সমালোচক আবুবকর সিদ্দিক (৮৭) মারা যান। তিনি ১৯৩৪ সালে ১৯ আগস্ট বাগেরহাটের গোটাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন প্রথম কবিতা বর্ধমানের কথা পত্রিকায় ছাপা হয়। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন। তার বইসমূহ- ‘ধবল দুধের স্বরগ্রাম’, ‘বিনিদ্র কালের ভেলা’, ‘হে লোকসভ্যতা’, ‘মানুষ তোমার বিক্ষত দিন’, ‘হট্টমালা’, ‘জলরাক্ষস’, ‘খরাদাহ’, ‘একাত্তরের হৃদয়ভস্ম’, ‘বারুদপোড়া প্রহর’ প্রভৃতি। আবুবকর সিদ্দিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।

সূত্র :  জাগো নিউজ

 

#
জনপ্রিয়

২০২৩ : বাংলা সাহিত্য যাদের আমরা হারালাম

আপডেটের সময় : ০৫:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

 কারুবাক ডেস্ক :

বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে ২০২৩ সাল। অনেক আনন্দময় প্রাপ্তির মাঝেও হারানোর বেদনা আমাদের আহত করেছে বিদায়ী বছরটি। এ বছর কবি, লেখক, গবেষক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীসহ আলোকিত কিছু মানুষ আমাদের বিষাদের অন্ধকারে ফেলে চলে গেছেন চিরদিনের জন্য। তবে রেখে গেছেন তাঁদের মূল্যবান সৃষ্টিকর্ম। সেইসব উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রস্থান নিয়েই আজকের আয়োজন সাজিয়েছেন সালাহ উদ্দিন মাহমুদ

 

প্রাবন্ধিক সুফিয়া খাতুন
৭ জানুয়ারি ভোরে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান বাংলাদেশের শতবর্ষী লেখক-প্রাবন্ধিক সুফিয়া খাতুন। তিনি আত্মজীবনীতে ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। আলোচিত ‘জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে’ গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। ১৯২২ সালে ময়মনসিংহে জন্ম নেওয়া এ লেখকের ‘সোনা ঝরা দিন’ শিরোনামের শিশু-কিশোরদের জন্য রচিত গ্রন্থটিও বেশ আলোচিত হয়। এছাড়া তিনি লিখেছেন কাব্যগ্রন্থ ‘আপন ভুবন’, ‘নারীর চোখে জল’, ভ্রমণকাহিনি ‘প্রবাসের প্রাপ্তি’ প্রভৃতি।

কবি ইকবাল হাসান
১২ এপ্রিল বাংলা একাডেমির ‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার’ পাওয়া কানাডা প্রবাসী কবি ইকবাল হাসান (৭৩) মারা যান। টরন্টোর মাইকেল গ্যারন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ-‘অসামান্য ব্যবধান’, ‘জোছনার চিত্রকলা’, ‘কপাটবিহীন ঘর’, ‘দূর কোনো নক্ষত্রের দিকে’, ‘দূরের মানুষ কাছের মানুষ’, ‘আলো আঁধারে কয়েকটি সোনালি মাছ’, ‘চোখ ভেসে যায় জলে’, ‘সুখলালের স্বপ্ন ও তৃতীয় চরিত্র’, ‘কিছু কথা কথার ভেতরে’ প্রভৃতি।

কথাসাহিত্যিক পান্না কায়সার
৪ আগস্ট কথাসাহিত্যিক পান্না কায়সার (৭৩) মারা যান। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সাহিত্য ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। তার গ্রন্থসমূহ- ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’, ‘নীলিমায় নীল’, ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’, ‘অন্য কোনোখানে’, ‘তুমি কি কেবলি ছবি’, ‘রাসেলের যুদ্ধযাত্রা’, ‘সুখ’, ‘না চুনি না পান্না’ প্রভৃতি।

কবি মোহাম্মদ রফিক
৬ আগস্ট কবি মোহাম্মদ রফিক (৮০) মারা যান। তার জন্ম ১৯৪৩ সালে বাগেরহাটে। পেশাগত জীবনে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো-‘ধুলার সংসারে এ মাটি’, ‘কীর্তিনাশা’, ‘খোলা কবিতা ও কপিলা’, ‘গাওদিয়ায়’, ‘স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়’, ‘মেঘে এবং কাদায়’, ‘রূপকথা কিংবদন্তি’, ‘মৎস্য গন্ধ্যা’ প্রভৃতি। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। একুশে পদক পান ২০১০ সালে।

লেখক কাজী শাহেদ আহমেদ
২৮ আগস্ট অধুনালুপ্ত দৈনিক আজকের কাগজের প্রকাশক, সম্পাদক ও লেখক কাজী শাহেদ আহমেদ (৮২) মারা যান। তার জন্ম ১৯৪০ সালের ৭ নভেম্বর যশোরে। ১৯৭৯ সালে জেমকন গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসায়িক জীবন শুরু হয়। ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা তিনি। নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন করেছিলেন। জীবদ্দশায় লেখালেখিও করেছেন। ‘ভৈরব’, ‘দাঁতে কাটা পেনসিল’, ‘অপেক্ষা’সহ কয়েকটি উপন্যাস আছে তার। ‘জীবনের শিলালিপি’ নামে একটি আত্মজীবনীও আছে।

কবি আসাদ চৌধুরী
৫ অক্টোবর কবি আসাদ চৌধুরী (৮০) মারা যান। কানাডার একটি হাসপাতালে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া জমিদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কবি। ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক পান। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ-‘তবক দেওয়া পান’, ‘বিত্ত নাই বেসাত নাই’, ‘প্রশ্ন নেই উত্তরে পাহাড়’, ‘জলের মধ্যে লেখাজোখা’, ‘যে পারে পারুক’, ‘মধ্য মাঠ থেকে’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘দুঃখীরা গল্প করে’, ‘নদীও বিবস্ত্র হয়’, ‘কিছু ফল আমি নিভিয়ে দিয়েছি’, ‘ঘরে ফেরা সোজা নয়’ প্রভৃতি।

কবি আজিজুর রহমান আজিজ
৯ অক্টোবর কবি, গীতিকার ও ঔপন্যাসিক আজিজুর রহমান আজিজ (৭৯) মারা যান। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ১৯৪৪ সালের ১৪ জানুয়ারি মাদারীপুরে জন্ম নেওয়া এ কবি ও কথাসাহিত্যিক ২০২১ সালে বাংলা একাডেমির ফেলোশিপ লাভ করেছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-‘বিনষ্ট প্রেম’, ‘সত্যসুন্দর আনন্দ’, ‘মাধুরী এবং অন্যান্য’, ‘কারাগার কারাবাস’, ‘দূর থেকে দূরে’, ‘অপারেশন থিয়েটারে চারঘণ্টা’, ‘নীল গোলাপ’ প্রভৃতি।

কবি তারেক মাহমুদ
২৬ অক্টোবর কবি, অভিনেতা ও নাট্যনির্মাতা তারেক মাহমুদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকার মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ‘পথিক’ নামে একটি ছোটকাগজ করে আলোচিত হয়েছিলেন। সেই সুবাদে শাহবাগ আজিজ মার্কেট, শিল্পকলা একাডেমি এলাকায় একটা সাহিত্যগণ্ডি তৈরি হয়েছিল তার। শখের বশে অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এ কবি।

প্রাবন্ধিক সমরেশ দেবনাথ
১২ ডিসেম্বর কবি ও প্রাবন্ধিক সমরেশ দেবনাথ (৫৯) ঢাকায় মারা যান। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ডুবাইল গ্রামে শেষকৃত্য হয়। তার লেখা বইগুলো-‘ইউরোপ ভ্রমণ’, ‘বাংলাদেশের রাজকন্যা সুচিত্রা সেন’, ‘পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া’, ‘বঙ্গবন্ধুর ছায়া’, ‘ওপারে গঙ্গা এপারে যমুনা’, ‘যেভাবে বীজদান যায় মাটির কাছে’, ‘কবিতার গভীরে’ প্রভৃতি।

কবি আবুবকর সিদ্দিক
২৮ ডিসেম্বর কবি, ঔপন্যাসিক, ছড়াকার, গল্পকার ও সমালোচক আবুবকর সিদ্দিক (৮৭) মারা যান। তিনি ১৯৩৪ সালে ১৯ আগস্ট বাগেরহাটের গোটাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন প্রথম কবিতা বর্ধমানের কথা পত্রিকায় ছাপা হয়। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন। তার বইসমূহ- ‘ধবল দুধের স্বরগ্রাম’, ‘বিনিদ্র কালের ভেলা’, ‘হে লোকসভ্যতা’, ‘মানুষ তোমার বিক্ষত দিন’, ‘হট্টমালা’, ‘জলরাক্ষস’, ‘খরাদাহ’, ‘একাত্তরের হৃদয়ভস্ম’, ‘বারুদপোড়া প্রহর’ প্রভৃতি। আবুবকর সিদ্দিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।

সূত্র :  জাগো নিউজ