কারুবাক ডেস্ক :
কবি আলী আফজাল খানের প্রবন্ধগ্রন্থ ‘পাঠ ও পাঠক: ভাষা, দর্শন ও কবিতা’র পাঠ-উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার কাঁটাবনে ‘পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রর মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কবি ফারুক সুমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাবন্ধিক-অনুবাদক আলম খোরশেদ, কবি-অনুবাদক জুয়েল মাজহার, কবি সৈকত হাবিব, কবি সরদার ফারুক, কবি আহসান হাবিব, অধ্যাপক হরষিত বালা, অনুবাদক লতিফুল খবীর কল্লোল, কবি নাদিম মাহমুদ প্রমুখ।
বক্তব্যে আলম খোরশেদ বলেন, আলী আফজাল খানের বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ে একজন কবি ভাষা-দর্শন ও কবিতা নিয়ে লিখছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা উপস্থাপনের পাশাপাশি তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এসবের প্রায়োগিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট আলী আফজাল খান ব্রেইন স্ট্রোক করার পর দুই মাস ধরে অসুস্থ থাকায় তিনি ঠিক মতো কথা বলতে পারেননি। এমতাবস্থায় তার ঐকান্তিক ইচ্ছা ও অনুরোধে গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন কবি জুয়েল মাজহার। এই কবি-অনুবাদক তার বক্তব্যে বলেন, আলী আফজাল অনুজ বন্ধু। আমি তার বইটি সম্পাদনা করতে পেরে আনন্দিত। আমার বিশ্বাস, কবিতা ও ভাষা-দর্শনকেন্দ্রিক আলোচনায় বইটি আকরগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হবে।
সম্পাদনার ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন জুয়েল মাজহার।
কবি সৈকত হাবিব বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি তত্ত্বে বিশ্বাসী নই। তবে আলী আফজাল খান তার বইয়ে যেভাবে কবিতা ও ভাষা-দর্শনকেন্দ্রিক চিন্তাকে একনিষ্ঠ গবেষকের মতো তুলে এনেছেন, সেজন্য আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। তার একাগ্রতার প্রশংসা করি।
কবি সরদার ফারুক বলেন, আলী আফজাল খান ভীষণভাবে সাহিত্যে সমর্পিত একজন মানুষ। আমি তাকে দীর্ঘদিন ধরে জানি। অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি বৃহৎ কলেবরে ‘ভিন্নচোখ বাংলাবিশ্ব কবিতাসংখ্যা’ সম্পাদনা করেছেন। আমি প্রত্যাশা করি, আগামীতে তার বইয়ে রাজনৈতিক দর্শনকেন্দ্রিক আলোচনাও যুক্ত হবে।
অনুবাদক লতিফুল খবীর কল্লোল বলেন, আফজাল আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এই বইটি সে যখন লিখছিল, তখন তাকে কাছে থেকে দেখেছি। ‘ভাষার হাঁড়ি’ নামে ইতোপূর্বে তার আরও একটি বই প্রকাশ পেয়েছে। সেই বইয়ের ভাষাকেন্দ্রিক আলোচনার অসম্পূর্ণতা বর্তমান বইয়ে পরিপূর্ণতা পেল।
‘পাঠ ও পাঠক: ভাষা, দর্শন ও কবিতা’ বইয়ের ভূমিকা লেখেন ভারতের কবি স্বপন রায়। এটি ‘ভিন্নচোখ প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত হয়।