5:44 am, Monday, 23 December 2024

যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ১১:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 119 ভিউ
শেয়ার করুন

মাঠেময়দানে ডেস্ক :

২০১৯ সালে প্রথমবার যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৫ রানের জন্য স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের। সেই আক্ষেপটা পূরণ হলো দ্বিতীয় চেষ্টায়। রবিবার ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল।

অসাধারণ নৈপুণ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় এক অধ্যায় যুক্ত করেছে যুবারা। তাও আবার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে। ফাইনালে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ ২৪.৫ ওভারে ৮৭ রানে গুটিয়ে দিয়েছে।

ফাইনাল হওয়ায় জমজমাট ম্যাচের অনুমান করা হচ্ছিল। কিন্তু পুরোপুরি টুর্নামেন্টে আধিপত্য দেখানো বাংলাদেশের কারণে ম্যাচটা হয়ে যায় একপেশে। তাদের বোলিং আক্রমণ শুরুতেই কাঁপিয়ে দেয় স্বাগতিকদের। মারুফ মৃধা, ইকবাল হোসেন ও শেখ পারভেজ জীবনের বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হয় আমিরাতের ব্যাটিং অর্ডার।

এক ধ্রুব পারাশারের অপরাজিত ২৫ রানে লড়াই অব্যাহত রেখেছিলেন। বাকিরা পুরোপুরি অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের বোলিংয়ে। ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন মিডিয়াম পেসার রোহানাত বর্ষণ। ২৯ রানে তিনটি নিয়েছেন মারুফ মৃধাও। দুটি করে নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ও শেখ পারভেজ জীবন।

রবিবার দুবাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিং নেন আমিরাত অধিনায়ক আয়ান আফজাল খান। স্বাগতিক বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে শুরুতে চেপে ধরলেও শেষ অব্দি ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শিবলির সেঞ্চুরি এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আরিফুল ইসলামের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৮২ রান।

যদিও শুরতেই চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে ১৪ রানে ওপেনার জিসান আলমকে (৭) হারায় যুবারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি প্রতিরোধ গড়েন। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ২৭ রান করে বাংলাদেশের যুবারা ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াতে থাকেন। ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর হয়েছে ১ উইকেটে ৮১ রান।

রিজওয়ান আউট হলে ১২৫ রানের জুটি ভাঙে দুইজনের। তিন নম্বরে নামা রিজওয়ান ৭১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তার আউটের পরও রানের গতি কমেনি। এবার সেমিফাইনালে ভারত বধের নায়ক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েন শিবলি। আরিফুল ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪০ বলে ৬ চারে ৫০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।

এরপর দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারালেও এক প্রান্ত আগলে রান রেট ঠিক রেখে শিবলি ব্যাটিং করে গেছেন। নিজের ইনিংসটিকে রাঙিয়েছেন সেঞ্চুরিতে। ১২৯ বলে ১০টি চারে সেঞ্চুরি দেখা পাওয়া শিবলি থেমেছেন ১২৯ রানে। ইনিংস শেষ হওয়ার দুই বল আগে লম্বা শট খেলতে গিয়ে আউট হন এই ওপেনার। ১২ চার ও ১টি ছক্কায় ১৪৯ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। টুর্নামেন্টে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরিতে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় নিজের অবস্থান আরও শক্ত করেছেন এই ব্যাটার। এছাড়া অধিনায়ক মাহফিজুর রহমান রাব্বির ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস ভূমিকা রেখেছে আরব আমিরাতকে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিতে।

আরব আমিরাতের বোলারদের মধ্যে আয়মান আহমেদ ৫২ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। আরব আমিরাতের জন্য এই লক্ষ্য বেশ কঠিনই। ব্যাটিংয়ের মতো ছন্দময় বোলিং করতে পারলেই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতে ইতিহাস গড়তে পারবে বাংলাদেশের যুবারা।

 

#
জনপ্রিয়

যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন

আপডেটের সময় : ১১:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

মাঠেময়দানে ডেস্ক :

২০১৯ সালে প্রথমবার যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৫ রানের জন্য স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের। সেই আক্ষেপটা পূরণ হলো দ্বিতীয় চেষ্টায়। রবিবার ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল।

অসাধারণ নৈপুণ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় এক অধ্যায় যুক্ত করেছে যুবারা। তাও আবার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে। ফাইনালে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ ২৪.৫ ওভারে ৮৭ রানে গুটিয়ে দিয়েছে।

ফাইনাল হওয়ায় জমজমাট ম্যাচের অনুমান করা হচ্ছিল। কিন্তু পুরোপুরি টুর্নামেন্টে আধিপত্য দেখানো বাংলাদেশের কারণে ম্যাচটা হয়ে যায় একপেশে। তাদের বোলিং আক্রমণ শুরুতেই কাঁপিয়ে দেয় স্বাগতিকদের। মারুফ মৃধা, ইকবাল হোসেন ও শেখ পারভেজ জীবনের বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হয় আমিরাতের ব্যাটিং অর্ডার।

এক ধ্রুব পারাশারের অপরাজিত ২৫ রানে লড়াই অব্যাহত রেখেছিলেন। বাকিরা পুরোপুরি অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের বোলিংয়ে। ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন মিডিয়াম পেসার রোহানাত বর্ষণ। ২৯ রানে তিনটি নিয়েছেন মারুফ মৃধাও। দুটি করে নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ও শেখ পারভেজ জীবন।

রবিবার দুবাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিং নেন আমিরাত অধিনায়ক আয়ান আফজাল খান। স্বাগতিক বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে শুরুতে চেপে ধরলেও শেষ অব্দি ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শিবলির সেঞ্চুরি এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আরিফুল ইসলামের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৮২ রান।

যদিও শুরতেই চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে ১৪ রানে ওপেনার জিসান আলমকে (৭) হারায় যুবারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি প্রতিরোধ গড়েন। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ২৭ রান করে বাংলাদেশের যুবারা ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াতে থাকেন। ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর হয়েছে ১ উইকেটে ৮১ রান।

রিজওয়ান আউট হলে ১২৫ রানের জুটি ভাঙে দুইজনের। তিন নম্বরে নামা রিজওয়ান ৭১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তার আউটের পরও রানের গতি কমেনি। এবার সেমিফাইনালে ভারত বধের নায়ক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েন শিবলি। আরিফুল ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪০ বলে ৬ চারে ৫০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।

এরপর দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারালেও এক প্রান্ত আগলে রান রেট ঠিক রেখে শিবলি ব্যাটিং করে গেছেন। নিজের ইনিংসটিকে রাঙিয়েছেন সেঞ্চুরিতে। ১২৯ বলে ১০টি চারে সেঞ্চুরি দেখা পাওয়া শিবলি থেমেছেন ১২৯ রানে। ইনিংস শেষ হওয়ার দুই বল আগে লম্বা শট খেলতে গিয়ে আউট হন এই ওপেনার। ১২ চার ও ১টি ছক্কায় ১৪৯ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। টুর্নামেন্টে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরিতে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় নিজের অবস্থান আরও শক্ত করেছেন এই ব্যাটার। এছাড়া অধিনায়ক মাহফিজুর রহমান রাব্বির ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস ভূমিকা রেখেছে আরব আমিরাতকে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিতে।

আরব আমিরাতের বোলারদের মধ্যে আয়মান আহমেদ ৫২ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। আরব আমিরাতের জন্য এই লক্ষ্য বেশ কঠিনই। ব্যাটিংয়ের মতো ছন্দময় বোলিং করতে পারলেই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতে ইতিহাস গড়তে পারবে বাংলাদেশের যুবারা।