9:07 pm, Thursday, 19 September 2024

বন্দে আলী মিয়ার জন্মদিন আজ

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৭:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 63 ভিউ
শেয়ার করুন
কারুবাক ডেস্ক :

সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর বন্দে আলী মিয়া ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মুন্সী উমেদ আলী ছিলেন পাবনা জজ কোর্টের কর্মচারী। বন্দে আলী মিয়া পাবনার মজুমদার একাডেমি থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতার ইন্ডিয়ান আর্ট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়া হয়নি।

কিছুদিন ‘ইসলাম দর্শন’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। এরপর ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কলকাতা করপোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। কলকাতায় তিনি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। সে সময় বিভিন্ন গ্রামোফোন কোম্পানিতে তার রচিত পালাগান ও নাটিকা রেকর্ড আকারে কলকাতার বাজারে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। দেশ বিভাগের পর তিনি ঢাকা ও রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে চাকরি করেন।

বন্দে আলী মিয়া কবিতা, উপন্যাস, নাটক, জীবনী, শিশুসাহিত্যসহ সাহিত্যের নানা শাখায় লিখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ময়নামতীর চর, অনুরাগ, পদ্মানদীর চর, মধুমতীর চর ও ধরিত্রী। তার রচিত উপন্যাস : বসন্ত জাগ্রত দ্বারে, শেষ লগ্ন, অরণ্য গোধূলি ও নীড়ভ্রষ্ট। তার গল্পগ্রন্থ তাসের ঘর। এ ছাড়া ‘মসনদ’ নামে একটি নাটকও রচনা করেন তিনি।

শিশুসাহিত্যে তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। তিনি কিশোর পত্রিকা ‘পরাগ’, ‘শিশুবার্ষিকী’, ‘জ্ঞানের আলো’ ইত্যাদি সম্পাদনা করেন। তার রচনায় বাংলার মানুষ, সমাজ ও প্রকৃতির প্রতিফলন ঘটেছে। বন্দে আলী মিয়া পত্রপত্রিকায় চিত্রকর ও ব্লক কোম্পানির ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেন।

শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৯ সালের ১৭ জুন তিনি রাজশাহীতে মারা যান।

 

#
জনপ্রিয়

বন্দে আলী মিয়ার জন্মদিন আজ

আপডেটের সময় : ০৭:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন
কারুবাক ডেস্ক :

সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর বন্দে আলী মিয়া ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মুন্সী উমেদ আলী ছিলেন পাবনা জজ কোর্টের কর্মচারী। বন্দে আলী মিয়া পাবনার মজুমদার একাডেমি থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতার ইন্ডিয়ান আর্ট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়া হয়নি।

কিছুদিন ‘ইসলাম দর্শন’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। এরপর ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কলকাতা করপোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। কলকাতায় তিনি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। সে সময় বিভিন্ন গ্রামোফোন কোম্পানিতে তার রচিত পালাগান ও নাটিকা রেকর্ড আকারে কলকাতার বাজারে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। দেশ বিভাগের পর তিনি ঢাকা ও রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে চাকরি করেন।

বন্দে আলী মিয়া কবিতা, উপন্যাস, নাটক, জীবনী, শিশুসাহিত্যসহ সাহিত্যের নানা শাখায় লিখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ময়নামতীর চর, অনুরাগ, পদ্মানদীর চর, মধুমতীর চর ও ধরিত্রী। তার রচিত উপন্যাস : বসন্ত জাগ্রত দ্বারে, শেষ লগ্ন, অরণ্য গোধূলি ও নীড়ভ্রষ্ট। তার গল্পগ্রন্থ তাসের ঘর। এ ছাড়া ‘মসনদ’ নামে একটি নাটকও রচনা করেন তিনি।

শিশুসাহিত্যে তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। তিনি কিশোর পত্রিকা ‘পরাগ’, ‘শিশুবার্ষিকী’, ‘জ্ঞানের আলো’ ইত্যাদি সম্পাদনা করেন। তার রচনায় বাংলার মানুষ, সমাজ ও প্রকৃতির প্রতিফলন ঘটেছে। বন্দে আলী মিয়া পত্রপত্রিকায় চিত্রকর ও ব্লক কোম্পানির ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেন।

শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৯ সালের ১৭ জুন তিনি রাজশাহীতে মারা যান।