2:23 pm, Sunday, 22 December 2024

পানির নিচে ৬০০ বছরের পুরোনো শহর

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 110 ভিউ
শেয়ার করুন

পানির নিচের অদ্ভুত দুনিয়া মানুষের কৌতুহলের এক বড় অংশ। আমাদের কত আদি ইতিহাস তলিয়ে যায় সময়ের আবর্তনে। তেমনই এক গল্প এবার সামনে এলো। চীনের ঐতিহ্য বুকে নিয়ে পানির নিচে লুকিয়ে আছে এক বিরাট শহর।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফির তথ্য অনুসারে, ঝেজিয়াং প্রদেশের শিচেং শহর  ১৯৫৯ সালে পানির নিচে তলিয়ে যায়্। তবে এটি কোনো প্রকৃতিক দুর্যোগের ফলে হয়নি। ইচ্ছাকৃত ভাবে এই শহরকে তলিয়ে দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল জিনআন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ তৈরি। এত বছর ধরে কিয়ানদো হ্রদের ৪০ মিটার পানির নিচে নিমজ্জিত আছে এই শহর। তথ্যমতে, এই শহর তলিয়ে যাওয়ার আগে  ৩ লাখ মানুষকে তাদের বাসস্থান ছাড়তে হয়েছিল।

২০০১ সালে এই শহরের পুনরুদ্ধারের পর মানুষের এই শহরের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে শুরু করে। সে বছর চীন সরকার ৬০০ বছর পুরানো এই শহরের অবশিষ্টাংশ পর্যবেক্ষণের জন্য লোক পাঠায়।

বিবিসির তথ্যমতে, এই শহরে “মিং এন্ড কিং” সাম্রাজ্যের পাথরের স্থাপত্য পাওয়া গেছে। তাদের শাসনামল ছিল ১৩৬৮ থেকে ১৯১২ সাল অবধি। শিচেং শহরকে মাঝে মাঝে “লায়ন সিটি” বা  সিংহশহর বলা হয়েছে। কারণ, এটি ইউ শি পর্বত বা “ফাইভ লায়ন মাউন্টেন” এর কাছাকাছি অবস্থিত ছিল।

২০১১ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি এই শহরের একদম অদেখা কিছু ছবি প্রকাশ করে। যার ফলে জানা যায় শহরটির ৫টি প্রবেশদ্বার ছিল। এছাড়াও এর ২৬৫টি খিলান পথ রয়েছে। যেখানে সিংহ, ড্রাগন, ফোনিক্সপাখি সহ আরও ঐতিহ্যবাহী চিত্র খচিত আছে। গবেষকদের মতে এই চিত্রগুলো ১৭৭৭ সালে তৈরি করা।

পানি নিচে এত বছর ধরে থাকা সত্ত্বেও, পানির নিচে সবকিছু বেশ ভালোভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। এজন্য একে “প্রাচ্যের এটলান্টিস”ও বলা হয়।

তথ্যসূত্র: এনডি-টিভি

 

#
জনপ্রিয়

পানির নিচে ৬০০ বছরের পুরোনো শহর

আপডেটের সময় : ০৫:৫৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

পানির নিচের অদ্ভুত দুনিয়া মানুষের কৌতুহলের এক বড় অংশ। আমাদের কত আদি ইতিহাস তলিয়ে যায় সময়ের আবর্তনে। তেমনই এক গল্প এবার সামনে এলো। চীনের ঐতিহ্য বুকে নিয়ে পানির নিচে লুকিয়ে আছে এক বিরাট শহর।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফির তথ্য অনুসারে, ঝেজিয়াং প্রদেশের শিচেং শহর  ১৯৫৯ সালে পানির নিচে তলিয়ে যায়্। তবে এটি কোনো প্রকৃতিক দুর্যোগের ফলে হয়নি। ইচ্ছাকৃত ভাবে এই শহরকে তলিয়ে দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল জিনআন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ তৈরি। এত বছর ধরে কিয়ানদো হ্রদের ৪০ মিটার পানির নিচে নিমজ্জিত আছে এই শহর। তথ্যমতে, এই শহর তলিয়ে যাওয়ার আগে  ৩ লাখ মানুষকে তাদের বাসস্থান ছাড়তে হয়েছিল।

২০০১ সালে এই শহরের পুনরুদ্ধারের পর মানুষের এই শহরের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে শুরু করে। সে বছর চীন সরকার ৬০০ বছর পুরানো এই শহরের অবশিষ্টাংশ পর্যবেক্ষণের জন্য লোক পাঠায়।

বিবিসির তথ্যমতে, এই শহরে “মিং এন্ড কিং” সাম্রাজ্যের পাথরের স্থাপত্য পাওয়া গেছে। তাদের শাসনামল ছিল ১৩৬৮ থেকে ১৯১২ সাল অবধি। শিচেং শহরকে মাঝে মাঝে “লায়ন সিটি” বা  সিংহশহর বলা হয়েছে। কারণ, এটি ইউ শি পর্বত বা “ফাইভ লায়ন মাউন্টেন” এর কাছাকাছি অবস্থিত ছিল।

২০১১ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি এই শহরের একদম অদেখা কিছু ছবি প্রকাশ করে। যার ফলে জানা যায় শহরটির ৫টি প্রবেশদ্বার ছিল। এছাড়াও এর ২৬৫টি খিলান পথ রয়েছে। যেখানে সিংহ, ড্রাগন, ফোনিক্সপাখি সহ আরও ঐতিহ্যবাহী চিত্র খচিত আছে। গবেষকদের মতে এই চিত্রগুলো ১৭৭৭ সালে তৈরি করা।

পানি নিচে এত বছর ধরে থাকা সত্ত্বেও, পানির নিচে সবকিছু বেশ ভালোভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। এজন্য একে “প্রাচ্যের এটলান্টিস”ও বলা হয়।

তথ্যসূত্র: এনডি-টিভি