এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯০% মাটির উপরিভাগ ঝুঁকিতে পড়বে
ডেয়েচে ভেলে
অত্যধিক চাষ, আধুনিক কৃষিপদ্ধতি ব্যবহার, একটিমাত্র ফসল চাষের সংস্কৃতি ও রাসায়নিক সারের অসম ব্যবহারের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে মাটি। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মাটির গুণাগুণ। মাটির ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে পুরো ইউরোপে ৬ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা।
আর এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯০% মাটির উপরিভাগ ঝুঁকিতে পড়বে৷
সম্প্রতি জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাটি ক্ষয়ের কারণে ইউরোপের প্রত্যেক নাগরিকের বছরে ১১২ ইউরো সমপরিমাণ খরচ হচ্ছে৷
বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজ্ঞানী ড. আলিশার মির্জাবায়েভ বলেন, “এই খরচ মানুষের জীবনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে৷ ফসল উৎপাদন করলে সেগুলো বাজারে বিক্রি করছি; নগদ টাকা উপার্জন হচ্ছে। তবে আমাদের যদি একটি বন থাকে, তাহলে বন অনেক ইকোসিস্টেম পরিষেবা প্রদান করতে পারে৷ কার্বন সিকোয়েসট্রেশন, পানি শোধন, বায়ু শোধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো আরও অনেক পরিষেবাও বন থেকে পাওয়া যায়৷ এগুলো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা, যা প্রকৃতি আমাদের বিনামূল্যে দিয়ে থাকে।”
তবে গত কয়েক দশক ধরে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। এখন মানুষকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে; সমাধানের দিকে এগোতে হবে নয়তো পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ভূমি ক্ষয়ের কারণে পূর্ব ইউরোপ ৫ ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়বে৷ আর পশ্চিম ইউরোপের ক্ষতি হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার৷ অর্থাৎ পুরো ইউরোপের ক্ষতি হবে ৬ ট্রিলিয়ন ডলার।”
মাটির গুণাগুণ ফিরিয়ে আনতে করণীয় হিসেবে তিনি বলেন, “মাটির ক্ষয় বিষয়ে মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে সচেতন করা উচিত৷”
“সেভ সয়েল” আন্দোলনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন ড. আলিশার মির্জাবায়েভ৷ যোগী ও পরিবেশবাদী অ্যাক্টিভিস্ট সদগুরু ২০২২ সালে এই আন্দোলন শুরু করেছিলেন৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা এতে সমর্থন জানিয়েছে৷