7:09 pm, Monday, 16 September 2024

ছাত্র-শিক্ষক জোকস

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৪:০৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 171 ভিউ
শেয়ার করুন

ধর্ম ক্লাসে স্বর্গ-নরক ব্যাখ্যা করার পর শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা কে কে স্বর্গে যেতে চাও হাত তোল।‘

সবাই হাত তুলল শুধু একজন ছাড়া।

: কী ব্যাপার, তুমি স্বর্গে যেতে চাও না?

: না স্যার, মা আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে বলেছে।

 

শিক্ষক: বল তো পৃথিবীর আকার কী রকম?

ছাত্র: গোলাকার স্যার।

শিক্ষক: বেশ বেশ! এবার প্রমাণ দাও যে কি করে বুঝলে পৃথিবী গোল।

ছাত্র: জোরালো প্রমাণ আছে, স্যার। প্রথম সাপ্তাহিক পরীক্ষায় চ্যাপ্টা লিখে শূন্য পেয়েছি। দ্বিতীয় সাপ্তাহিক পরীক্ষায় চৌকোনা লিখেও শূন্য পেলাম। তারপর লিখলাম পৃথিবী লম্বা, তাও আপনি কেটে দিয়েছেন। শেষে অনেক ভেবেচিন্তে লিখেছিলাম তিনকোনা, তাও আপনি কেটেই দিলেন। তা হলে আর বাকি রইল কী? গোল হওয়া ছাড়া পৃথিবীর আর তো কোনো উপায় দেখতে পাচ্ছি না।

 

শিক্ষক: ঘুম পেলে আমরা বিছানায় যাই কেনো?

ছাত্র: ঘুম পেলেও বিছানা আমাদের কাছে আসে না, তাই।

 

শিক্ষক: নিউটনের বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব থেকে (মাধ্যাকর্ষণ শক্তি) থেকে আমরা কী শিখলাম?

ছাত্র: ক্লাসে বসে না থেকে গাছতলায় বসে থাকা দরকার।

 

শিক্ষক: আমি যদি তোমাকে দুটো বিড়াল আর চারটে কুকুর দিই তাহলে সবগুলো মিলিয়ে তোমার ক’টা প্রাণী হবে?

ছাত্র: ন’টা স্যার।

শিক্ষক: কীভাবে?

ছাত্র: আমার কাছে আগে থেকেই একটা খরগোশ, আর দুইটা টিয়া আছে।

 

শিক্ষক: জানো, তোমাদের বয়সে আমার বিশ্বাস ছিল, আমি সব জানি, কিন্তু এখন এই ষাট বছর বয়সে এসে বুঝতে পারছি আমি কিছুই জানি না।

ছাত্র: এ কথা জানতে আপনার এত বছর লাগল? আমরা তো আপনাকে দেখা মাত্রই বুঝে নিয়েছি।

 

শিক্ষক: ‘নরখাদক’ কাকে বলে?

ছাত্র: জানি না, স্যার।

শিক্ষক: তুমি যদি তোমার বাপ-মাকে খেয়ে ফেলো, তুমি কী হবে?

ছাত্র: অনাথ বালক, স্যার।

 

শিক্ষক: শাহান, বল আকবরের জীবনকাল কত থেকে কত সাল পর্যন্ত?

শাহান: পারি না, স্যার।

শিক্ষক: বই খোল।

শাহান বই খুলল। সেখানে লেখা আকবর (১৫৪২-১৬০৫)

শিক্ষক: এখন বল, এটা আগে মূখস্থ করিস নি কেন?

শাহান: স্যার, আমি ভেবেছিলাম এটা আকবরের ফোন নাম্বার।

 

শিক্ষক: ধর, তীর থেকে মাইলখানেক নৌকা বেয়ে চলে গেছ তুমি, এমন সময় ঝড় উঠল। কী করবে তখন?

ছাত্র: নোঙর ফেলে দেব।

শিক্ষক: ধর, আর একটা ঝড় উঠলো।

ছাত্র: আর একটা নোঙর ফেলব।

শিক্ষক: হু, আর একটা ঝড় উঠলে?

ছাত্র: আর একটা নোঙর ফেলব।

শিক্ষক: আরে৷ এত নোঙর তুমি পাচ্ছ কোথায়?

ছাত্র: যেখান থেকে আপনি এত ঝড় পাচ্ছেন।

 

১০

শিক্ষক: সৃষ্টি শুরু হলো কেমন করে? আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী গড়লেন, তারপর জীবজন্তু তৈরি করলেন, তারপর মানুষ তৈরি করে পৃথিবীতে পাঠালেন।

ছাত্র: কিন্তু স্যার, কাল বাবা বলছিলেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষরা বানর।

শিক্ষক: আমরা সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি, তোমার পরিবারের কথা ক্লাসে কেন?

 

#
জনপ্রিয়

ছাত্র-শিক্ষক জোকস

আপডেটের সময় : ০৪:০৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

ধর্ম ক্লাসে স্বর্গ-নরক ব্যাখ্যা করার পর শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা কে কে স্বর্গে যেতে চাও হাত তোল।‘

সবাই হাত তুলল শুধু একজন ছাড়া।

: কী ব্যাপার, তুমি স্বর্গে যেতে চাও না?

: না স্যার, মা আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে বলেছে।

 

শিক্ষক: বল তো পৃথিবীর আকার কী রকম?

ছাত্র: গোলাকার স্যার।

শিক্ষক: বেশ বেশ! এবার প্রমাণ দাও যে কি করে বুঝলে পৃথিবী গোল।

ছাত্র: জোরালো প্রমাণ আছে, স্যার। প্রথম সাপ্তাহিক পরীক্ষায় চ্যাপ্টা লিখে শূন্য পেয়েছি। দ্বিতীয় সাপ্তাহিক পরীক্ষায় চৌকোনা লিখেও শূন্য পেলাম। তারপর লিখলাম পৃথিবী লম্বা, তাও আপনি কেটে দিয়েছেন। শেষে অনেক ভেবেচিন্তে লিখেছিলাম তিনকোনা, তাও আপনি কেটেই দিলেন। তা হলে আর বাকি রইল কী? গোল হওয়া ছাড়া পৃথিবীর আর তো কোনো উপায় দেখতে পাচ্ছি না।

 

শিক্ষক: ঘুম পেলে আমরা বিছানায় যাই কেনো?

ছাত্র: ঘুম পেলেও বিছানা আমাদের কাছে আসে না, তাই।

 

শিক্ষক: নিউটনের বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব থেকে (মাধ্যাকর্ষণ শক্তি) থেকে আমরা কী শিখলাম?

ছাত্র: ক্লাসে বসে না থেকে গাছতলায় বসে থাকা দরকার।

 

শিক্ষক: আমি যদি তোমাকে দুটো বিড়াল আর চারটে কুকুর দিই তাহলে সবগুলো মিলিয়ে তোমার ক’টা প্রাণী হবে?

ছাত্র: ন’টা স্যার।

শিক্ষক: কীভাবে?

ছাত্র: আমার কাছে আগে থেকেই একটা খরগোশ, আর দুইটা টিয়া আছে।

 

শিক্ষক: জানো, তোমাদের বয়সে আমার বিশ্বাস ছিল, আমি সব জানি, কিন্তু এখন এই ষাট বছর বয়সে এসে বুঝতে পারছি আমি কিছুই জানি না।

ছাত্র: এ কথা জানতে আপনার এত বছর লাগল? আমরা তো আপনাকে দেখা মাত্রই বুঝে নিয়েছি।

 

শিক্ষক: ‘নরখাদক’ কাকে বলে?

ছাত্র: জানি না, স্যার।

শিক্ষক: তুমি যদি তোমার বাপ-মাকে খেয়ে ফেলো, তুমি কী হবে?

ছাত্র: অনাথ বালক, স্যার।

 

শিক্ষক: শাহান, বল আকবরের জীবনকাল কত থেকে কত সাল পর্যন্ত?

শাহান: পারি না, স্যার।

শিক্ষক: বই খোল।

শাহান বই খুলল। সেখানে লেখা আকবর (১৫৪২-১৬০৫)

শিক্ষক: এখন বল, এটা আগে মূখস্থ করিস নি কেন?

শাহান: স্যার, আমি ভেবেছিলাম এটা আকবরের ফোন নাম্বার।

 

শিক্ষক: ধর, তীর থেকে মাইলখানেক নৌকা বেয়ে চলে গেছ তুমি, এমন সময় ঝড় উঠল। কী করবে তখন?

ছাত্র: নোঙর ফেলে দেব।

শিক্ষক: ধর, আর একটা ঝড় উঠলো।

ছাত্র: আর একটা নোঙর ফেলব।

শিক্ষক: হু, আর একটা ঝড় উঠলে?

ছাত্র: আর একটা নোঙর ফেলব।

শিক্ষক: আরে৷ এত নোঙর তুমি পাচ্ছ কোথায়?

ছাত্র: যেখান থেকে আপনি এত ঝড় পাচ্ছেন।

 

১০

শিক্ষক: সৃষ্টি শুরু হলো কেমন করে? আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী গড়লেন, তারপর জীবজন্তু তৈরি করলেন, তারপর মানুষ তৈরি করে পৃথিবীতে পাঠালেন।

ছাত্র: কিন্তু স্যার, কাল বাবা বলছিলেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষরা বানর।

শিক্ষক: আমরা সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি, তোমার পরিবারের কথা ক্লাসে কেন?