7:26 pm, Sunday, 22 December 2024

মানচিত্র দেখে আবহাওয়া বুঝবেন যেভাবে

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৩:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 393 ভিউ
শেয়ার করুন

কারুবাক ডেস্ক

আবহাওয়ার মানচিত্র বুঝতে হলে কিছু প্রতীক বা সংকেত জানা দরকার। ছবি: ডিজিশেফপথের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মানচিত্র রয়েছে, তেমনি আবহাওয়া বোঝার জন্যও মানচিত্র ব্যবহার করা হয়। এই মানচিত্র শুধু আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়নি। যে কেউ খুব সহজেই মানচিত্র দেখে আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে।

আবহাওয়ার মানচিত্র বুঝতে হলে কিছু প্রতীক বা সংকেত জানা দরকার। সেগুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হলো

 . বায়ুচাপ
আবহাওয়ার মানচিত্রে ইংরেজি ‘এইচ’ ও ‘এল’ বর্ণ দিয়ে যথাক্রমে উচ্চ বায়ুচাপ ও নিম্ন বায়ুচাপ নির্দেশ করা হয়। উচ্চ বায়ুচাপ সাধারণত শান্ত, শুষ্ক ও স্থির আবহাওয়া নির্দেশ করে। আবার নিম্ন বায়ুচাপ মেঘ, বাতাস এবং বৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া নির্দেশ করে।

অক্লুডেড ফ্রন্টের মধ্যে রেখার মধ্যে ওয়ার্ম ও কোল্ড উভয় ফন্টের বৈশিষ্ট্যই থাকে। ছবি: সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশন২. আইসোবার
আবহাওয়া মানচিত্রে সংখ্যাসহ অবিচ্ছিন্ন সমান্তরাল রেখাগুলোকে আইসোবার বলা হয়। এটি সমান বায়ুচাপের অঞ্চলগুলোর সংযোগ রেখা হিসেবে কাজ করে। আইসোবার রেখাগুলো যত কাছাকাছি থাকবে বায়ুপ্রবাহ তত বেশি শক্তিশালী হবে।

 

. ওয়েদার ফ্রন্ট
ওয়েদার ফ্রন্ট বিভিন্ন বায়ু ঘনত্বের মধ্যে সীমানা বোঝায়। এগুলো সাধারণত পরবর্তীতে মেঘ, বর্ষণ, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পরিবর্তন ঘটায়। রঙিন রেখার এক পাশে বিভিন্ন আকৃতির প্রতীকের (অর্ধবৃত্ত বা ত্রিভূজাকৃতি) মাধ্যমে এটি প্রকাশ করা হয়। অর্ধবৃত্ত বা ত্রিভুজ বা তীর চিহ্নের প্রতীকগুলোর মাধ্যমে আবহাওয়া পরিস্থিতির গতিমুখ বোঝানো হয়।

ওয়ার্ম ফ্রন্ট
ওয়েদার ফ্রন্টের একটি হলো ওয়ার্ম ফ্রন্ট। এগুলো লাল রেখার ওপর অর্ধবৃত্ত প্রতীক দিয়ে দেখানো হয়, যা উদীয়মান সূর্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ওয়ার্ম ফ্রন্ট যদি সামনের দিকে এগোতে থাকলে তাহলে আবহাওয়া আরও উষ্ণ ও আর্দ্র হবে বলে বোঝা যায়।

কোল্ড ফ্রন্ট
ওয়েদার ফ্রন্টের আরেকটি ধরন হলো কোল্ড ফ্রন্ট। এটি নীল রেখার ওপর ত্রিভুজাকৃতির প্রতীক দিয়ে দেখানো হয়। আবার তীরচিহ্নের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণও হতে পারে। এই ফ্রন্ট রেখা অগ্রসর হতে থাকলে বোঝা যাবে আবহাওয়া আরও ঠান্ডা ও শুষ্ক হবে।

 অক্লুডেড ফ্রন্ট
অনেক সময় কোল্ড ফ্রন্ট ওয়ার্ম ফ্রন্টের চেয়ে দ্রুত অগ্রসর হয়। তাই কখনো কখনো কোল্ড ফ্রন্ট ওয়ার্ম ফ্রন্টকে ধরে ফেলে। তখন এই ঠান্ডা বাতাস গরম বায়ুকে ওপরের দিকে ঠেলে দেয়। এল ফলে সেখানে একটি বদ্ধ বা অক্লুডেড ফ্রন্ট তৈরি হয়। এই রেখার মধ্যে ওয়ার্ম ও কোল্ড উভয় ফ্রন্টের বৈশিষ্ট্যই থাকে।

তীর ও অর্ধবৃত্তের প্রতীকসহ অক্লুডেড ফ্রন্টকে বেগুনি রঙের রেখা দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

. ট্রাফ 
মানচিত্রের কোনো প্রতীক ছাড়া একটি কালো রেখাকে ট্রাফ বলে। এটি উত্তাল এবং অস্থিতিশীল আবহাওয়া এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা নির্দেশ করে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস

 

#
জনপ্রিয়

মানচিত্র দেখে আবহাওয়া বুঝবেন যেভাবে

আপডেটের সময় : ০৩:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

কারুবাক ডেস্ক

আবহাওয়ার মানচিত্র বুঝতে হলে কিছু প্রতীক বা সংকেত জানা দরকার। ছবি: ডিজিশেফপথের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মানচিত্র রয়েছে, তেমনি আবহাওয়া বোঝার জন্যও মানচিত্র ব্যবহার করা হয়। এই মানচিত্র শুধু আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়নি। যে কেউ খুব সহজেই মানচিত্র দেখে আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে।

আবহাওয়ার মানচিত্র বুঝতে হলে কিছু প্রতীক বা সংকেত জানা দরকার। সেগুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হলো

 . বায়ুচাপ
আবহাওয়ার মানচিত্রে ইংরেজি ‘এইচ’ ও ‘এল’ বর্ণ দিয়ে যথাক্রমে উচ্চ বায়ুচাপ ও নিম্ন বায়ুচাপ নির্দেশ করা হয়। উচ্চ বায়ুচাপ সাধারণত শান্ত, শুষ্ক ও স্থির আবহাওয়া নির্দেশ করে। আবার নিম্ন বায়ুচাপ মেঘ, বাতাস এবং বৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া নির্দেশ করে।

অক্লুডেড ফ্রন্টের মধ্যে রেখার মধ্যে ওয়ার্ম ও কোল্ড উভয় ফন্টের বৈশিষ্ট্যই থাকে। ছবি: সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশন২. আইসোবার
আবহাওয়া মানচিত্রে সংখ্যাসহ অবিচ্ছিন্ন সমান্তরাল রেখাগুলোকে আইসোবার বলা হয়। এটি সমান বায়ুচাপের অঞ্চলগুলোর সংযোগ রেখা হিসেবে কাজ করে। আইসোবার রেখাগুলো যত কাছাকাছি থাকবে বায়ুপ্রবাহ তত বেশি শক্তিশালী হবে।

 

. ওয়েদার ফ্রন্ট
ওয়েদার ফ্রন্ট বিভিন্ন বায়ু ঘনত্বের মধ্যে সীমানা বোঝায়। এগুলো সাধারণত পরবর্তীতে মেঘ, বর্ষণ, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পরিবর্তন ঘটায়। রঙিন রেখার এক পাশে বিভিন্ন আকৃতির প্রতীকের (অর্ধবৃত্ত বা ত্রিভূজাকৃতি) মাধ্যমে এটি প্রকাশ করা হয়। অর্ধবৃত্ত বা ত্রিভুজ বা তীর চিহ্নের প্রতীকগুলোর মাধ্যমে আবহাওয়া পরিস্থিতির গতিমুখ বোঝানো হয়।

ওয়ার্ম ফ্রন্ট
ওয়েদার ফ্রন্টের একটি হলো ওয়ার্ম ফ্রন্ট। এগুলো লাল রেখার ওপর অর্ধবৃত্ত প্রতীক দিয়ে দেখানো হয়, যা উদীয়মান সূর্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ওয়ার্ম ফ্রন্ট যদি সামনের দিকে এগোতে থাকলে তাহলে আবহাওয়া আরও উষ্ণ ও আর্দ্র হবে বলে বোঝা যায়।

কোল্ড ফ্রন্ট
ওয়েদার ফ্রন্টের আরেকটি ধরন হলো কোল্ড ফ্রন্ট। এটি নীল রেখার ওপর ত্রিভুজাকৃতির প্রতীক দিয়ে দেখানো হয়। আবার তীরচিহ্নের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণও হতে পারে। এই ফ্রন্ট রেখা অগ্রসর হতে থাকলে বোঝা যাবে আবহাওয়া আরও ঠান্ডা ও শুষ্ক হবে।

 অক্লুডেড ফ্রন্ট
অনেক সময় কোল্ড ফ্রন্ট ওয়ার্ম ফ্রন্টের চেয়ে দ্রুত অগ্রসর হয়। তাই কখনো কখনো কোল্ড ফ্রন্ট ওয়ার্ম ফ্রন্টকে ধরে ফেলে। তখন এই ঠান্ডা বাতাস গরম বায়ুকে ওপরের দিকে ঠেলে দেয়। এল ফলে সেখানে একটি বদ্ধ বা অক্লুডেড ফ্রন্ট তৈরি হয়। এই রেখার মধ্যে ওয়ার্ম ও কোল্ড উভয় ফ্রন্টের বৈশিষ্ট্যই থাকে।

তীর ও অর্ধবৃত্তের প্রতীকসহ অক্লুডেড ফ্রন্টকে বেগুনি রঙের রেখা দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

. ট্রাফ 
মানচিত্রের কোনো প্রতীক ছাড়া একটি কালো রেখাকে ট্রাফ বলে। এটি উত্তাল এবং অস্থিতিশীল আবহাওয়া এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা নির্দেশ করে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস