5:39 am, Thursday, 19 September 2024

প্রতিদিন এক বোতল বেবি পাউডার খান মার্কিন নারী

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৯:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 44 ভিউ
শেয়ার করুন

এনডিটিভি

বিচিত্র কোনো একটি জিনিসের প্রতি কোনো কোনো মানুষের প্রবল আসক্তি তৈরি হতে দেখা যায়। যেমন কারও কাছে ন্যাপথলিন, কারও কাছে কেরোসিন, কারও কাছে রঙের ঘ্রাণ খুব ভালো লাগে। তাই বলে কেউ সুগন্ধি পাউডার খাবে, এমনটা ভাবা যায়! কিন্তু সেটাই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্সের এক নারীর ক্ষেত্রে।

২৭ বছর বয়সী ড্রেকা মার্টিন প্রতিদিন জনসন বেবি পাউডার খাচ্ছেন। এই বছরে তিনি এতটাই পাউডার খেয়েছেন, যে জন্য তাঁকে প্রায় ৪ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। ড্রেকা বলেন, নিজের সন্তানদের গোসল করানোর পর তিনি পাউডারের স্বাদ নিতেন। একসময় তিনি খেয়াল করলেন, একটা সময় তাঁর মধ্যে পাউডার খাওয়ার প্রবল আসক্তি তৈরি হয়ে গেছে।

প্রতিদিন ড্রেকা ৬২৩ গ্রাম ওজনের পাউডারের বোতল শেষ করেন। তিনি স্বাভাবিক খাবার ছেড়ে দিতে রাজি, কিন্তু পাউডার নয়। পাউডার খাওয়া পছন্দের কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এটি মুখে দিলেই মিশে যায়।

গত জানুয়ারি থেকে ড্রেকা এই পাউডার খাওয়ার পেছনে প্রতিদিন ১৪ ডলার ব্যয় করেন। ফলে তাঁর কোনো ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা হজমের সমস্যা হয়নি। তবে অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালে তিনি এটি খাননি।

এই বেবি পাউডার শুধু ত্বকে ব্যবহারের জন্য। সেটির গায়ে সতর্কতা হিসেবে লেখা রয়েছে, খাওয়া নিষেধ। তবে রূপবিশেষজ্ঞ ড্রেকা সন্তানদের নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন, না জানি সন্তানের আবার এমন অভ্যাস গড়ে ওঠে। কারণ, তাকে গোসলের সময় পাউডার খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয় সে।

ড্রেকা একসময় চক, রং—এসবও খেতেন। তিনি বলেন, ‘আমি বেবি পাউডার খেতে পছন্দ করি। এটির ঘ্রাণ যেমন, স্বাদও তেমন। এটি খেলে আমার ভালো বোধ হয়।’

‘এতে আমি আসক্ত হয়ে গেছি, এমনটা বোঝার পর আমি বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারিনি। আমি যখনই পাউডারের কথা মনে করি, তখন মুখে পানি এসে যায়। অবস্থাটা এখন এমন, অন্য খাবারের কথা ভুলে গেলেও পাউডারের কথা ভুলি না।’

ডেকা বলেন, ‘আমাকে বিকল্প দেওয়া হলে আমি পাউডারকেই বেছে নেব। আমি আমার শেষ ডলারটিও পাউডারের পেছনে ব্যয় করতে দ্বিধা করব না।’

বিষয়টি সবার কাছ থেকে এক মাস লুকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন ড্রেকা। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার মায়ের কাছে এক মাস লুকিয়ে রাখতে পেরেছিলাম। তিনি জানতে চাইতেন, এত দ্রুত কীভাবে পাউডারের কৌটা ফুরিয়ে যায়। সাধারণত একটি বোতল শেষ হতে দুই মাস লেগে যায়। আর এটি এক সপ্তাহেই শেষ! তখনই তার সন্দেহ হয়েছিল, কোথাও কোনো গন্ডগোল আছে।’

এই মার্কিন নারী বলেন, ‘আমি সবার কাছে বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিলাম; কিন্তু পারিনি। একবার আমার মুখভর্তি পাউডার থাকায় কথা বলতে পারছিলাম না। তাঁরা আমার মুখে কী, জানতে চেয়েছিলেন। তখনই সত্যিটা ধরা পরে। পরিবারের লোকজন ও বন্ধুরা পাউডার খাওয়া বন্ধের পরামর্শ দিয়ে বলেছে, এটি খাওয়া ক্ষতিকর। কিন্তু আমি বন্ধ করতে পারিনি।’

দেশের বাইরে গেলেও ড্রেকা সঙ্গে করে পাউডারের বোতল নিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘আমি বেড়াতে গেলেও সব সময় সঙ্গে পাউডার রাখি। দেশের বাইরে গেলেও নিয়ে যাই। কারণ, আমি জানি সেখানে ওই ব্র্যান্ড না–ও থাকতে পারে। তাই অন্তত তিনটি বোতল সঙ্গে নিয়ে যাই।’

সূত্র: প্রথম আলো

#
জনপ্রিয়

প্রতিদিন এক বোতল বেবি পাউডার খান মার্কিন নারী

আপডেটের সময় : ০৯:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

এনডিটিভি

বিচিত্র কোনো একটি জিনিসের প্রতি কোনো কোনো মানুষের প্রবল আসক্তি তৈরি হতে দেখা যায়। যেমন কারও কাছে ন্যাপথলিন, কারও কাছে কেরোসিন, কারও কাছে রঙের ঘ্রাণ খুব ভালো লাগে। তাই বলে কেউ সুগন্ধি পাউডার খাবে, এমনটা ভাবা যায়! কিন্তু সেটাই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্সের এক নারীর ক্ষেত্রে।

২৭ বছর বয়সী ড্রেকা মার্টিন প্রতিদিন জনসন বেবি পাউডার খাচ্ছেন। এই বছরে তিনি এতটাই পাউডার খেয়েছেন, যে জন্য তাঁকে প্রায় ৪ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। ড্রেকা বলেন, নিজের সন্তানদের গোসল করানোর পর তিনি পাউডারের স্বাদ নিতেন। একসময় তিনি খেয়াল করলেন, একটা সময় তাঁর মধ্যে পাউডার খাওয়ার প্রবল আসক্তি তৈরি হয়ে গেছে।

প্রতিদিন ড্রেকা ৬২৩ গ্রাম ওজনের পাউডারের বোতল শেষ করেন। তিনি স্বাভাবিক খাবার ছেড়ে দিতে রাজি, কিন্তু পাউডার নয়। পাউডার খাওয়া পছন্দের কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এটি মুখে দিলেই মিশে যায়।

গত জানুয়ারি থেকে ড্রেকা এই পাউডার খাওয়ার পেছনে প্রতিদিন ১৪ ডলার ব্যয় করেন। ফলে তাঁর কোনো ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা হজমের সমস্যা হয়নি। তবে অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালে তিনি এটি খাননি।

এই বেবি পাউডার শুধু ত্বকে ব্যবহারের জন্য। সেটির গায়ে সতর্কতা হিসেবে লেখা রয়েছে, খাওয়া নিষেধ। তবে রূপবিশেষজ্ঞ ড্রেকা সন্তানদের নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন, না জানি সন্তানের আবার এমন অভ্যাস গড়ে ওঠে। কারণ, তাকে গোসলের সময় পাউডার খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয় সে।

ড্রেকা একসময় চক, রং—এসবও খেতেন। তিনি বলেন, ‘আমি বেবি পাউডার খেতে পছন্দ করি। এটির ঘ্রাণ যেমন, স্বাদও তেমন। এটি খেলে আমার ভালো বোধ হয়।’

‘এতে আমি আসক্ত হয়ে গেছি, এমনটা বোঝার পর আমি বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারিনি। আমি যখনই পাউডারের কথা মনে করি, তখন মুখে পানি এসে যায়। অবস্থাটা এখন এমন, অন্য খাবারের কথা ভুলে গেলেও পাউডারের কথা ভুলি না।’

ডেকা বলেন, ‘আমাকে বিকল্প দেওয়া হলে আমি পাউডারকেই বেছে নেব। আমি আমার শেষ ডলারটিও পাউডারের পেছনে ব্যয় করতে দ্বিধা করব না।’

বিষয়টি সবার কাছ থেকে এক মাস লুকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন ড্রেকা। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার মায়ের কাছে এক মাস লুকিয়ে রাখতে পেরেছিলাম। তিনি জানতে চাইতেন, এত দ্রুত কীভাবে পাউডারের কৌটা ফুরিয়ে যায়। সাধারণত একটি বোতল শেষ হতে দুই মাস লেগে যায়। আর এটি এক সপ্তাহেই শেষ! তখনই তার সন্দেহ হয়েছিল, কোথাও কোনো গন্ডগোল আছে।’

এই মার্কিন নারী বলেন, ‘আমি সবার কাছে বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিলাম; কিন্তু পারিনি। একবার আমার মুখভর্তি পাউডার থাকায় কথা বলতে পারছিলাম না। তাঁরা আমার মুখে কী, জানতে চেয়েছিলেন। তখনই সত্যিটা ধরা পরে। পরিবারের লোকজন ও বন্ধুরা পাউডার খাওয়া বন্ধের পরামর্শ দিয়ে বলেছে, এটি খাওয়া ক্ষতিকর। কিন্তু আমি বন্ধ করতে পারিনি।’

দেশের বাইরে গেলেও ড্রেকা সঙ্গে করে পাউডারের বোতল নিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘আমি বেড়াতে গেলেও সব সময় সঙ্গে পাউডার রাখি। দেশের বাইরে গেলেও নিয়ে যাই। কারণ, আমি জানি সেখানে ওই ব্র্যান্ড না–ও থাকতে পারে। তাই অন্তত তিনটি বোতল সঙ্গে নিয়ে যাই।’

সূত্র: প্রথম আলো