“গগন-পথে রবি-রথের সাত সারথি হাঁকায় ঘোড়া,
মর্তে দানব মানব-পিঠে সওয়ার হয়ে মারছে কোঁড়া।”
একটু দাঁড়াও নজরুল,
বড়ো কিছু ভুল হয়ে গেছে আমাদের
আমরা বুঝিনি ধরতে পারিনি
তোমার অগ্নিময় দুই হাত
বিদ্বেষের ঝড়ে নিভে গেছে
আমাদের শেষ মোমবাতি
ছেঁড়া তারের পরে নি:শব্দ সওয়ারি—
আজ সবুজ কলমে আঁকি রাত্রিচেরা আলো,
দুখু মিয়া,
সবচেয়ে দু:খী তোমার ভগ্ন কালো চুরুলিয়া,
কবরের পাশে শুয়ে আছে অভিমানী অগ্নিবীনা
রক্তমূল্যে কেনা সূর্যের ভোর, আর কিছু শব্দের ঋণ,
নাড়িছেঁড়া রিক্ত টানে ছিঁড়ে দিক বুকের গভীর
তোমার সজল বাঁশির ধ্বনি রক্তে ঢেউ তুলে ১২৫ তরণী সাজায়
বাঙলার বুকে,
ধুলোপথে, নদী বাঁকে বাঁকে
তিন হাত মাটির ক্লেদাক্ত বিভাজন খেলা
খুন করে ঢেকে দিতে পারে কি তোমাকে!