কারুবাক ডেস্ক :
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান
রাজধানীর বুকে, হারানো দিন, আগুন্তক প্রভৃতি ছায়াছবিতে তিনি গান রচনা করেছেন। প্রধানত গানের ফসলেই তার শিল্পের গোলা ভরেছে। তিনি আর কেউ নন, কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান। এদেশের কাব্য এবং সংগীত রচনায় এক অবিস্মরণীয় নাম আজিজুর রহমান।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এ মানুষটি কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু করলেও গানই তাকে সবার মাঝে সমাদ্রিত করে। বাঙালি মুসলমান গীতিকারদের মধ্যে গানের সংখ্যায় কবি নজরুলের পরই তাঁর স্থান। কবি আজিজুর রহমান প্রায় ৩ হাজারেরও অধিক গান এবং তিশত এর বেশি কবিতা লিখেছেন। ঢাকার প্রায় প্রখ্যাত সুরকাররা যেমন আজিজুর রহমানের গানে সুর দিয়েছেন তেমন তার গানও গেয়েছেন খ্যাতনামা প্রায় সব শিল্পীই।
আজিজুর রহমান ১৯১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত হাটশ হরিপুর গ্রামের এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বশির উদ্দিন প্রামানিক, মাতার নাম সবুরুন নেছা। স্বগৃহে পাঠ করে তিনি একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তিতে পরিণত হন। বই পুস্তকাদি সংগ্রহ করা তার জীবনের নেশা ছিল। তার গ্রন্থাগারে প্রায় ১০ হাজার বই ও পত্র পত্রিকার সংগ্রহ রয়েছে। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সমাজসেবায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকা বেতারে প্রথমে অনিয়মিত এবং পরে নিয়মিতভাবে যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বেতারে চাকরিতে বহাল ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবেও তার খানিকটা পরিচিতি ছিল। অধুনালুপ্ত দৈনিক পয়গম পত্রিকায় ১৯৬৪ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক ছিলেন তিনি। ঢাকা থেকে প্রকাশিত কিশোর মাসিক ‘আলপনী’রও সম্পাদক ছিলেন একনিষ্ঠ এই কবি। সাহিত্যচর্চা শুরুর আগে নাটকে অভিনয়ে তার উৎসাহ ছিল বেশি। ফলে শিলাইদহের ঠাকুর বাড়িতে তিনি গড়ে তোলেন একটি নাট্যদল। কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি ও তার দলের ব্যাপক সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। সমাজসেবায় তিনি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ।
১৯৩৪ সালে তিনি তার পিতামহ চাঁদ প্রামানিকের নামে হরিপুর গ্রামে গড়ে তোলেন চাঁদ স্মৃতি পাঠাগার। এটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি পাঠাগার ছিল। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ বইয়ের খোঁজে আসতেন এই পাঠাগারে। তার সাংগঠনিক মমতা ছিল প্রবল। ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৩১ সালে কবি আজিজুর রহমান বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার ফুল হরিগ্রামের আজহার সিকদারের কন্যা ফজিলাতুন্নেসাকে বিয়ে করেন। ৩ ছেলে ৪ মেয়ের জনক আজিজুর রহমান।
১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কবি আজিজুর রহমান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় তাকে ভর্তি করা হয় তৎকালীন ঢাকার পিজি হসপিটালে। সেখানে চিকিৎসার মাত্র ৩ দিনের মধ্যে ১৯৭৮ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর গ্যাংগ্রিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কবির জীবদ্দশায় তেমন কোনো সম্মাননা না পেলেও ১৯৭৯ সালে মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।
মমতাজউদ্দীন আহমদ
একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা-সংগ্রামী, নাট্যকার মমতাজউদ্দীন আহমদের ৮৫তম জন্মদিন আজ শুক্রবার। ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার আইহো গ্রামে জন্ম হয় তার।
নাট্যকার হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত হলেও মমতাজউদ্দীন টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। ৩২ বছর অধ্যাপনা করেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন কমিটিতে একজন উচ্চতর বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।
১৭ বছর বয়সে রাজশাহী সরকারি কলেজের ছাত্রাবস্থায় ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন মমতাজউদ্দীন। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী সরকারি কলেজে ইট কাদামাটিতে যে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল, তাতে মমতাজউদ্দীনও ভূমিকা রেখেছিলেন।
মমতাজউদ্দীনের লেখা নাটক ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ এবং ‘রাজার অনুস্বারের পালা’ কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। তার রচিত নাটকের মধ্যে ‘নাট্যত্রয়ী’, ‘হৃদয়ঘটিত ব্যাপার স্যাপার’, ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘জমিদার দর্পণ’, ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’ অন্যতম।
‘অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন আহমদ ৮৫তম জন্মদিন উদযাপন জাতীয় পর্ষদ’ আজ বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে উৎসবের আয়োজন করেছে।
সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন
সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন, মরণোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক। গ্রাম-বাংলা ঘুরে, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রম করে তিনি সংবাদ সংগ্রহ করতেন। সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন এর শুভ জন্মদিন। ১৯৪৫ সালের ১৮ জানুয়ারি রংপুর শহরের কেরাণীপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মোনাজাত উদ্দিন বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে সংযোজন করেছিলেন ভিন্ন মাত্রা। সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রয়াসী ছিলেন চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন।
মোনাজাত উদ্দিন রংপুর কৈলাশরন স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পিতার আকস্মিক মৃত্যু হলে বি.এ পাস করে তিনি পেশাগত জীবনে জড়িয়ে পড়েন।
সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন ‘দৈনিক রংপুর’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশনা ও সম্পাদনা করেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ ও ‘দৈনিক আজাদ’ এর উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ‘দৈনিক সংবাদ’ এর উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। সংবাদ সংগ্রহের পাশাপাশি আলোকচিত্রও ধারণ করতেন। ফিচার এবং সংবাদের সাথে সংযোজিত তার তোলা ছবিগুলো অভূতপূর্ব।
লেখক হিসেবেও সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন ছিলেন অনন্য। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘শাহ আলম ও মজিবরের কাহিনি’, ‘পথ থেকে পথে’, ‘কানসোনার মুখ ও সংবাদ নেপথ্যে’, ‘পায়রাবন্দ শেকড় সংবাদ’ প্রভৃতি।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য মোনাজাত জহুর হোসেন স্বর্ণপদক, ফিলিপস পুরস্কার ও একুশে পদক(মরণোত্তর) অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর গাইবান্ধার ফুলছড়ি ঘাটে সংবাদ সংগ্রহের সময় ফেরি থেকে পড়ে মারা যান মোনাজাত উদ্দিন।
মূকাভিনয়ে পার্থ প্রতিম মজুমদার
নীরবতাও যে এত গুরুত্ব বহন করতে পারে আর অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে, তার আরেক দৃষ্টান্ত মাইম। মুখে কোনো শব্দ না করে শুধুমাত্র দেহের ভাষায় যে শিল্পগুণ রয়েছে, তা মূকাভিনয়ের মাধ্যমেই উৎসারিত হয়ে আসছে যুগের পর যুগ। মূকাভিনয় শব্দটিকে ভাঙলে পাওয়া যায় মূক আর অভিনয়। অর্থাৎ নির্বাক অভিনয়। আর এই নির্বাক অভিনয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত একজন মূকাভিনেতা বাংলাদেশের পার্থ প্রতিম মজুমদার। গত চার দশকে যিনি তার মূকাভিনয়, তথা নিঃশব্দ অভিনয়ের প্রতিভাকে পুঁজি করে চষে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। কঠোর শ্রম আর অধ্যবসায় তাকে নিয়ে গেছে খ্যাতি এবং কিংবদন্তী মাইম আর্টিস্টের তালিকায়।
জগদ্বিখ্যাত এই মূকাভিনেতার জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৮ জানুয়ারি পাবনার কালাচাঁদপাড়ায়। বাবা হিমাংশু কুমার বিশ্বাস ছিলেন ফটোগ্রাফার এবং সুশ্রীকা বিশ্বাস ভজন গায়িকা। জন্মের পর নাম রাখা হয়েছিল প্রেমাংশু কুমার বিশ্বাস, আর ডাক নাম ছিল ভীম। শৈশবে তার দুরন্তপনার কোনো কমতি ছিল না। ফটোসাংবাদিক এবং বনমালী থিয়েটারের সদস্য বাবার ক্যামেরা-স্টুডিও-থিয়েটার, ভজন গায়িকা মায়ের হারমোনিয়ামের সাথে তার বেড়ে ওঠা।
সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে জন্ম নেয়ায় ছোটবেলা থেকেই তিনি সংস্কৃতিমনা হয়ে বেড়ে উঠেছিলেন। বাড়িতে চৈত্র সংক্রান্তি অনুষ্ঠানে হাজরা উপস্থাপন করা হতো, সেখান থেকেই অঙ্গভঙ্গি আর ইশারায় ভাবের আদান-প্রদানের প্রভাব পড়ে তার উপর। বাড়িতে ভিক্ষুক এলে ভিক্ষুকের মতো অঙ্গভঙ্গি করে ভিক্ষুকের পিছু নিতেন। আর রাতে মশারির স্ট্যান্ডে মায়ের শাড়ি বেঁধে মঞ্চ তৈরি করে চলতো থিয়েটারগিরি। হাজরায় বা বনমালী থিয়েটারে যেসব নাটক বা পারফর্মেন্স দেখাতো, সেগুলো বাসায় এসে অনুকরণ করে দেখাতেন, এবং তার অনুকরণ করার ক্ষমতা ছিল প্রবল।
বাবা হিমাংশু কুমার বিশ্বাসের ইচ্ছে ছিল ছেলেকে কলকাতায় পড়াশোনা করিয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন। পার্থ প্রতিম মজুমদারের কাকা সুধাংশু কুমার বিশ্বাস কলকাতায় থাকতেন। প্রাথমিক স্কুলের গন্ডি পার হবার পর তাই বাবার ইচ্ছেমতো কলকাতায় পড়াশোনা করে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবার লক্ষ্যে তার সাথে চলে গেলেন কলকাতায়।
কলকাতার পূর্ণ দাশ রোডের কাকার বাড়িতে থাকাকালীন একদিন পাশের বাড়ির এক লোককে তিনি দেখে বিস্মিত হয়ে গেলেন। লোকটা কোনো কথা না বলে অদ্ভুত নানান অঙ্গভঙ্গি করে হাঁটছেন, তা-ও আবার একই জায়গায়! হাঁটার ফলে তার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। আবার মুখ আঁকাবাঁকা করে কিম্ভুতকমাকার মুখভঙ্গি করছেন! এসব দেখে কিশোর পার্থ একদিন তার কাকীকে জিজ্ঞাস করলেন, পাশের বাড়ির ঐ লোকটি পাগল কি না! কাকীর মুখেই শুনলেন সেই অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করে হাঁটা মানুষটির নাম যোগেশ দত্ত, বিখ্যাত মাইম আর্টিস্ট। মনের ভাব প্রকাশে তার কোনো কথা বলা লাগে না, অঙ্গভঙ্গিই যথেষ্ট। এটিই একধরনের শিল্প।
এরপর থেকে তাকে মাইমের প্রতি ভাললাগা শুরু এবং যোগেশ দত্তের শিষ্যত্ব গ্রহণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু যোগেশ দত্ত কিছুতেই তাকে মাইম শেখাতে রাজি হন না! তিনি তাকে বলেছিলেন ডাক্তার হতে। ডাক্তার হলে অনেক টাকা-পয়সা আয় করা যায়। কিন্তু তার মনে মাইমের প্রতি যে ঝোঁক, তা রয়েই গেল। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নাছোড়বান্দা তিনি প্রতিদিন যোগেশ দত্তের সাথে দেখা করতেন। তার একাগ্রতা দেখে শেষে একদিন জোগেশ দত্তই তাকে একস্থানে দাঁড়িয়ে হাঁটার কৌশল শিখিয়ে দেন। আর এভাবেই মূকাভিনয়ে পার্থ প্রতিম মজুমদারের হাতেখড়ি।
কলকাতায় কাকার বাসায় থেকে পড়াশোনা আর যোগেশ দত্তের কাছে মাইম শিখে বেশ ভালোই কাটছিল সময়। এমন সময় শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কলকাতায় তখন তারা শরণার্থী। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ফিরলেন নিজ মাতৃভূমিতে। ততদিনে যোগেশ দত্তের কাছ থেকে মূকাভিনয়ের পাঠ নিয়ে ফেলেছেন বেশ অনেকটাই। মিউজিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বারীন মজুমদার ছিলেন পার্থ প্রতিম মজুমদারের বাবার বন্ধু এবং দুঃসম্পর্কের আত্মীয়। বারীন মজুদারের মেয়ে ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে মারা গিয়েছিল বলে তিনি সুধাংশু কুমার বিশ্বাসের কাছে বলেছিলেন, প্রেমাংশুকে আমার কাছে দে, পেলে পুষে মানুষ করি। সেই থেকে প্রেমাংশু কুমার বিশ্বাস চলে গেলেন বারীন মজুমদারের কাছে। তার নতুন নাম দেয়া হলো পার্থ প্রতিম মজুমদার। ভর্তি হলেন সেগুনবাগিচার মিউজিক কলেজে। নতুন নাম, গান আর মূকাভিনয়কে সঙ্গী করে শুরু হলো তার নতুন জীবন।