7:43 pm, Sunday, 22 December 2024

পিআইবির উদ্যোগে কপিরাইট আইন শীর্ষক কর্মশালা

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ১১:২৩:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 40 ভিউ
শেয়ার করুন

 

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) উদ্যোগে ‘কপিরাইট আইন ও প্রয়োগ শীর্ষক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় ৩২ জন বেশি কবি, লেখক, প্রকাশক, সংবাদকর্মী ও গবেষক অংশগ্রহণ করেন। বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পিআইবির ১ নম্বর ভবনের সেমিনার কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এতে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া এনডিসি। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উপসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক। কর্মশালায় কপিরাইট সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। কবি-লেখক-প্রকাশকদের করণীয় সম্পর্কেও বিশদ আলোচনা করা হয়। মুক্ত আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘কপিরাইট আইন যথাযথ প্রয়োগ করতে পারলে মেধাস্বত্বের মূল্যায়ন হবে। এতে কারও সৃজনশীল কর্ম অন্য কেউ নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারবে না। ফলে মানুষ তার কর্মের স্বীকৃতির পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবে। যা দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি সুরকার, গীতিকার, লেখকসহ সৃজনশীল মানুষের মেধাস্বত্ব অটুট রাখার জন্য কপিরাইট আইন প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।’ কপিরাইট আইন গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে বলে মত দেন তিনি।

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া বলেন, ‘মেধা ও সৃজনশীল কর্মের আইনি সুরক্ষাই হলো কপিরাইট। কোনো কর্মের প্রথম ব্যক্তিই হলেন সেটার স্বত্বাধিকারী। এই স্বত্বাধিকার রক্ষা করার নামই হলো কপিরাইট আইন। কপিরাইট আইনটি যথোপযুক্ত ব্যবহার করতে পারলে মেধাস্বত্বের আর্থিক ও আইনগত সুরক্ষা পেত। এতে একদিকে যেমন মেধাস্বত্ব অক্ষুণ্ন থাকতো। অপরদিকে দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে যেত।’ তিনি কপিরাইট আইন ও এর প্রয়োগ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উপসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘কপিরাইট মূলত মেধাস্বত্ব ও সৃজনশীল কর্ম অটুট রেখে সমাজের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করা। কারণ কপিরাইট আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দেশ ও জাতির অগ্রগতি সাধিত হবে। সাহিত্য বা নাটকের রচয়িতা, গানের ক্ষেত্রে সুরকার ও গীতিকার, ছবির ক্ষেত্রে আলোকচিত্রী, শিল্পকর্মের জন্য শিল্পী, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজক, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার কিংবা ডিভাইস সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সব সৃষ্টিশীল কাজের অনুবাদ, সম্প্রচার মাধ্যমের ক্ষেত্রে সম্প্রচার সংস্থা, মুদ্রণ শিল্পের প্রকাশক, অনুষ্ঠানের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর কর্মও কপিরাইটের আওতাভুক্ত।’

সবশেষে কবি-লেখক-প্রকাশকদের বিভিন্ন প্রস্তাবনার কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তারা। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) পরিচালক (অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ) চলতি দায়িত্ব শেখ মজলিশ ফুয়াদ। পুরো কর্মশালার সমন্বয়ক হিসিবে দায়িত্ব পালন করেন পিআইবির প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রতিবেদক এম এম নাজমুল হাসান।

 

#
জনপ্রিয়

পিআইবির উদ্যোগে কপিরাইট আইন শীর্ষক কর্মশালা

আপডেটের সময় : ১১:২৩:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

 

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) উদ্যোগে ‘কপিরাইট আইন ও প্রয়োগ শীর্ষক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় ৩২ জন বেশি কবি, লেখক, প্রকাশক, সংবাদকর্মী ও গবেষক অংশগ্রহণ করেন। বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পিআইবির ১ নম্বর ভবনের সেমিনার কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এতে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া এনডিসি। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উপসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক। কর্মশালায় কপিরাইট সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। কবি-লেখক-প্রকাশকদের করণীয় সম্পর্কেও বিশদ আলোচনা করা হয়। মুক্ত আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘কপিরাইট আইন যথাযথ প্রয়োগ করতে পারলে মেধাস্বত্বের মূল্যায়ন হবে। এতে কারও সৃজনশীল কর্ম অন্য কেউ নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারবে না। ফলে মানুষ তার কর্মের স্বীকৃতির পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবে। যা দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি সুরকার, গীতিকার, লেখকসহ সৃজনশীল মানুষের মেধাস্বত্ব অটুট রাখার জন্য কপিরাইট আইন প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।’ কপিরাইট আইন গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে বলে মত দেন তিনি।

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া বলেন, ‘মেধা ও সৃজনশীল কর্মের আইনি সুরক্ষাই হলো কপিরাইট। কোনো কর্মের প্রথম ব্যক্তিই হলেন সেটার স্বত্বাধিকারী। এই স্বত্বাধিকার রক্ষা করার নামই হলো কপিরাইট আইন। কপিরাইট আইনটি যথোপযুক্ত ব্যবহার করতে পারলে মেধাস্বত্বের আর্থিক ও আইনগত সুরক্ষা পেত। এতে একদিকে যেমন মেধাস্বত্ব অক্ষুণ্ন থাকতো। অপরদিকে দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে যেত।’ তিনি কপিরাইট আইন ও এর প্রয়োগ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উপসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘কপিরাইট মূলত মেধাস্বত্ব ও সৃজনশীল কর্ম অটুট রেখে সমাজের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করা। কারণ কপিরাইট আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দেশ ও জাতির অগ্রগতি সাধিত হবে। সাহিত্য বা নাটকের রচয়িতা, গানের ক্ষেত্রে সুরকার ও গীতিকার, ছবির ক্ষেত্রে আলোকচিত্রী, শিল্পকর্মের জন্য শিল্পী, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজক, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার কিংবা ডিভাইস সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সব সৃষ্টিশীল কাজের অনুবাদ, সম্প্রচার মাধ্যমের ক্ষেত্রে সম্প্রচার সংস্থা, মুদ্রণ শিল্পের প্রকাশক, অনুষ্ঠানের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর কর্মও কপিরাইটের আওতাভুক্ত।’

সবশেষে কবি-লেখক-প্রকাশকদের বিভিন্ন প্রস্তাবনার কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তারা। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) পরিচালক (অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ) চলতি দায়িত্ব শেখ মজলিশ ফুয়াদ। পুরো কর্মশালার সমন্বয়ক হিসিবে দায়িত্ব পালন করেন পিআইবির প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রতিবেদক এম এম নাজমুল হাসান।