*
স্বামীঃ (স্ত্রীকে) এই শুনছাে! আমার শার্টটা ধুয়ে রাখবে। নইলে…
স্ত্রীঃ (রেগে গিয়ে) নইলে, নইলে কী করবে?
স্বামীঃ নিজেই ধুয়ে নেব।
*
অসুস্থ ছােট ছেলে কিছুতেই ট্যাবলেট খেতে চায় না। তাই মা বাধ্য হয়ে সিদ্ধ ডিমের ভেতরে ট্যাবলেট ঢুকিয়ে ছেলেকে খেতে দেয়। কিছুক্ষণ পর মা এসে জিজ্ঞেস করলেন :
বাবা, ডিমটা কি খেয়েছ?
হ্যা মা, খেয়েছি। তবে ডিমের বিচিটা ফেলে দিয়েছ।
*
শিক্ষক : বল তাে ছােটন, ঢাকা কোথায় অবস্থিত?
ছোটন : খাটের নিচে স্যার।
শিক্ষকঃ এসব কী বল।
ছোটন : বাড়ির মালিক যখন ভাড়া চাইতে আসেন, তখন আম্মু বলেন আব্দু ঢাকা গেছেন। তখন তাে আব্বু খাটের নিচে থাকেন।
*
স্ত্রীঃ হ্যাগাে, আমি মারা গেলে তুমি কী করবে?
স্বামীঃ আমি পাগল হয়ে যাবাে।
স্ত্রীঃ মিথ্যা কথা। তুমি আবার বিয়ে করবে ।
স্বামীঃ পাগলে কী না করে?
*
বালক: মামা, ২০টি টাকা দেন তাে, মা চাইছেন!
নেতা: তুমি আমার কোন জন্মের ভাইগ্না হলে। আমার তো কোনাে বােনই নেই ।
বালক: কেন, আপনিই তাে সেদিন জনসভায় ভাষণের শুরুতে বলেছিলেন, প্রিয় ভাই ও বােনেরা ।
নেতা: হ্যা বলেছি, তাতে হয়েছে কী?
বালক: ওই জনসভায় আমার মা উপস্থিত ছিলেন। আর সেদিন থেকেই তাে আপনি আমার মামা হয়েছেন।
*
ভীতু লোক: ওহে জেলে ভাই, নদীতে সাপ নেই তাে?
জেলে: না ভাই, সাপ নেই।
ভীতু লোক: তাহলে তাে নিশ্চিন্তে গােসল করা যায়।
জেলে: হ্যা, করা যায় কিন্তু সাবধানে গােসল করতে হবে।
ভীতু লােক: কেন?
জেলে: কুমির আছে। এই কুমিরই তাে সব সাপ খেয়ে শেষ করেছে।
*
ছোটন: বল তো নােমান, ঘড়ি আবিষ্কার না হলে কেমন হতো?
নােমান: ভারি মজা হতাে।
হােটন: (অশ্চির্য হয়ে) ভারি মজা হতাে মানে?
নােমান: কেন, যত ইচ্ছা দেরি করে স্কুলে যেতে পারতাম।
*
রাস্তায় এক পথচারী এক পকেটমারকে হাতেনাতে ধরে ফোলে। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তুমি লােকটার পকেটে হাত ঢুকাচ্ছিলে কেন?
পকেটমার: জি, হিমেল হাওয়ার স্পর্শে হাত ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছিল। আমার প্যান্টের তাে পকেট ছিল না,
তাই হাতটা একটু গরম করার জন্য ভদ্রলােকের পকেটে ঢুকাচ্ছিলাম।
*
শিক্ষক ছাত্রদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সম্পর্কে বােঝাচ্ছিলেন। অনেকবার বােঝানাের পর শিক্ষক বললেন, ছােটন বল তাে আম পাকলে আকাশের দিকে না উঠে মাটিতে পড়ে কেন?
ছােটন: স্যার আকাশে তাে খাওয়ার কেউ নেই, তাই!
*
ছেলে: বাবা, বাবা! ভাইয়া না একটা পােকা খেয়ে ফেলেছে।
বাবা: কী বলিস? সর্বনাশ হয়ে গেছে!
ছেলে: ভয় পেয়াে না বাবা। আমি সঙ্গে সঙ্গে ভাইয়াকে পােকা মারার বিষ খাইয়ে দিয়েছি।
*
শিক্ষক: রাকিব, বল তাে বাংলায় কাল কত প্রকার ও কী কী?
রাকিব : স্যার চার প্রকার।
শিক্ষক : কী কী?
রাকিব : ১) গতকাল, ২) সকাল, ৩) বিকাল ও ৪) আগামীকাল। তবে এর বাইরে আছে ক্ষণকাল ও মহাকাল।
*
ছেলে: মা, মা, ভাইয়া না একটা পোকা খেয়ে ফেলেছে।
মা: কি বলিশ, তাহলে তো সর্বনাশ হয়ে গেছে।
ছেলে: ভয় পেয়ানা মা, আমি সঙ্গে সঙ্গে ভাইয়াকে পোকা মারার বিষ খাইয়ে দিয়েছি।
*
তিন পাগল বসে একসঙ্গে গল্প করছে ।
প্রথম পাগল: পুরাে এশিয়া মহাদেশ আমার।
দ্বিতীয় পাগল: পুরাে পৃথিবীটাই আমার ।
তৃতীয় পাগল: সবকিছু তােদের বলছিস। আমি কি তােদের কাছে এগুলো বিক্রি করেছি?
*
স্ত্রী: ওগো জানাে, আজ একটি বিশেষ দিন?
স্বামী: কিসের বিশেষ দিন?
স্ত্রী: আজ আমাদের ১০ম বিবাহবার্ষিকী। তাই তুমি আজ ১০টা মুরগি এনাে, জমিয়ে পার্টি দেব।
স্বামী: Sorry, ১০ বছর আগে করা আমার ১টা ভুলের জন্য এত টাকা খরচ করতে পারবনা?
*
শিক্ষক: বল তাে সার্ক (SHARC) কী?
ছাত্র: সার্ক (SHARK) একটা হাঙ্গর।
শিক্ষক: কি কস ভূলবাল। পারলে না। এবার বল সার্ক এর জন্মদাতা কোন দেশ?
শিক্ষক: Sir, সার্কের বেশি জন্ম হয় Africa মহাদেশে।
*
ডাক্তার: আপনি চিন্তা ছেড়ে দিন, তাহলে আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন।
রােগী: কিন্তু সেটা কি আসলেই সম্ভব?
ডাক্তার: হ্যা সম্ভব, আপনি ইচ্ছে করলেই পারেন।
রােগী: ঠিক আছে, আপাতত আপনাকে ভিজিটটা দিতে হচ্ছে না বলে চিন্তামুক্ত হলাম।
*
গার্লস স্কুলের এক শিক্ষিকা ক্লাসরুমে এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করছেন –
শিক্ষিকা: পুষ্প বল তাে, তোমার নামের অর্থ কী?
পুষ্প: ফুল, ম্যাডাম ।
শিক্ষিকা: শুড! এবার পাঁচটি চুলের নাম বল তাে।
পুষ্প: বিউটিফুল, ওয়ান্ডারফুল, গ্রেটফুল, হাউসফুল এবং আশরাফুল।
*
এক সেলুনের চারদিকেই লাগানাে শুধু ভূতের ছবি। তা দেখে এক লােক জিজ্ঞেস করল : দাদা, আপনার দোকানে এত ভূতের ছবি কেন লাগিয়েছেন?
নাপিত: দাদা চুপচাপ। পাশ থেকে সেলুনের ছেলেটি বলল, ভয় পেয়ে চুল খাড়া হয়ে কাটতে সুবিধা হয় তাে ভাই।
*
মিতার বাবা মিতার রেজাল্ট কার্ড আনতে স্কুলে গেলেন। স্কুলে গিয়ে মিতার শ্রেণি শিক্ষককে বললেন, ‘মাফ করুন, মিতা মনে হয় এবারও পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছে!’
শিক্ষক : না না, আপনি ভুল বলছেন, আপনার মেয়ে এবার স্কুলে বিশেষ এক রেকর্ড করেছে।
বাবা : তাই নাকি! তা কততম হয়েছে আমার মেয়ে?
শিক্ষক : মিতা এবারের পরীক্ষায় এমন এমন লেখা লিখেছে যে সব খাতায় সে ১০০ করে ১০টি বিষয়ে ১০০০ পেয়েছে!
বাবা : শিক্ষকরা কেন তাকে এত নম্বর দিয়েছেন একটু বলবেন?
শিক্ষক : শিক্ষকদের আর কী দোষ! মিতা প্রতিটি খাতায় লিখেছে, দয়া করে আমাকে শূন্যের বদলে যে কোনো নম্বর দিন। তাই আমাদের শিক্ষকরা দয়া করে ১০০ করে ১০০০ দিয়েছেন!
*
একদিন তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী প্রথমদিন পরীক্ষা দেয়ার আগে সব পড়া ভালোভাবে পড়ে ও লিখে গেল। ছাত্রীটি পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফেরার পর মায়ের সঙ্গে কথোপকথন-
মা : তোমার পরীক্ষা কেমন হয়েছে? সব কমন পড়েছে তো।
ছাত্রী : না মা, ভালো পরীক্ষা দিতে পারিনি, কিন্তু খাতায় অনেক কিছু লিখেছি।
মা : যাই হোক, এবার জীবনে প্রথম খাতায় কিছু লিখেছিস, পাস নম্বর তো উঠবেই, তাই না।
ছাত্রী : না মা।
মা : কেন? তুই না বলেছিস অনেক কিছু লিখেছিস?
ছাত্রী : হ্যাঁ, লেখাগুলো ঠিক হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য খাতাটি বাসায় নিয়ে এসেছি। আগামীকাল শিক্ষকের কাছে খাতা জমা দিয়ে দেব!
*
ভিক্ষুক ও বাড়িওয়ালার মধ্যে কথোপকথন-
ভিক্ষুক : আম্মাগো, আমারে কিছু ভিক্ষা দেন।
বাড়িওয়ালা : আজকে মাফ করুন।
ভিক্ষুক : আম্মাগো, আইজকা মাপজোখ করতে পারুম না। আইজকা আমি ফিতা আনি নাই!
*
আইনস্টাইনের আলোর গতির ওপর ক্লাস হচ্ছে-
শিক্ষক : এই উইন্ডোজ হোসেন বলত, আইনস্টাইন কীভাবে আলোর বেগ পরিমাপ করলেন?
উইন্ডোজ হোসেন : স্যার, আমার যা মনে হয় আলো যেহেতু অনেক বড় জিনিস, মানে বিশাল জিনিস, সেহেতু আইনস্টাইন প্রথমে একটা দুইশ’ গজ ফিতা নিয়েছিলেন, তারপর …
নান্টু : হয়নি স্যার। উইন্ডোজ কী ধরনের গাধা চিন্তা করেন! আরে আলো কি জামা-কাপড় যে ফিতা দিয়ে মাপব! আলো হইল আলুর মতো ভারী। তাছাড়া তখন গজফিতা আবিষ্কারই হয়নি। তাই তখন মাপামাপির কাজে দাঁড়িপাল্লা ছাড়া উপায় ছিল কোনো? বলেন স্যার, আপনিই বলেন?
শিক্ষক : আহা! তোদের কী প্রতিভা! তোরা তো একসময় আইনস্টাইনকেও ছাড়িয়ে যাবি। বাহ্!
*
পার্টিতে এক লোক বসে আছে। একটু পর এক সুন্দরী তরুণী এসে তাকে বলল, ‘আপনি কি নাচতে ইচ্ছুক?’
লোকটি উৎফুল্ল হয়ে বলল, ‘অবশ্যই!’
মেয়েটি এবার বলল, ‘তাহলে চেয়ারটা ছাড়ুন। আমি একটু বসব!’
*
সাকিব এবং রাকিবের মধ্যে কথা হচ্ছে-
সাকিব : রাকিব, তুই আমাকে ঠিক রাত ১০টায় ফোন দিস তো। তোর সঙ্গে কথা আছে।
রাকিব : ঠিক আছে। তুই তাহলে আমাকে ঠিক ৯টা ৫৯ মিনিটে ফোন দিয়ে মনে করিয়ে দিস।
*
এক বন্ধু ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কোনোমতে জীবন রক্ষা করে সুস্থ হয়ে উঠার পর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা। বন্ধু বলল, ‘দোস্ত, চল রাস্তা থেকে ঘুরে আসি।’
‘না দোস্ত, আমি বাইরে যাব না, সমস্যা আছে।’
‘কেন? কী সমস্যা?’
‘ওই ট্রাকের পেছনে লেখা ছিল, ধন্যবাদ! আবার দেখা হবে!’
*
এক ছাত্র ক্লাসে বসে ঝিমুচ্ছিল। দেখে শিক্ষক বলল, ‘এই ছেলে, দাঁড়াও! এখন বলো আকবর কে ছিলেন?’
ছাত্র : জানি না স্যার।
শিক্ষক : জানবে কীভাবে? ক্লাসের দিকে একটু মনোযোগ দাও, জানতে পারবে।
ছাত্র : আচ্ছা স্যার, আপনি জানেন পলাশ কে?
শিক্ষক : না, কে উনি?
ছাত্র : স্যার, আপনার মেয়ের দিকে একটু মনোযোগ দিন- জানতে পারবেন।
*
আদম শুমারির গণনাকারী এক বাড়িতে লোক গণনা করতে গিয়ে দেখেন এক পরিবারে ৩০ জন ভাই! তাই দেখে গণনাকারী তাদের বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা মুরব্বি, আপনার বাড়িতে ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের লোকজন কোনোদিন আসেনি?’
মুরব্বি উত্তর দিলেন, ‘অনেকেই তো আসেন, তবে সবাই আমার বাড়িটাকে স্কুল মনে করে চলে যান!’
*
হাসান : বাবলু, তোর গরম লাগলে তুই কী করিস?
বাবলু : কী আবার করব! এসির পাশে গিয়ে বসে পড়ি।
হাসান : তাতেও যদি তোর গরম না কমে?
বাবলু : তখন এসি অন করি।
*
পাগলা গারদের এক ডাক্তার তিন পাগলের পরীক্ষা নিচ্ছেন। পরীক্ষায় পাস করলে তিনজনকে পাগলা গারদ থেকে মুক্তি দেয়া হবে, কিন্তু ফেল করলেই তিন বছরের জন্য আটকে দেয়া হবে। ডাক্তার তিন পাগলকে একটা জলবিহীন ফাঁকা সুইমিং পুলের সামনে নিয়ে ঝাঁপ দিতে বললেন। প্রথম পাগল তৎক্ষণাৎ তাতে ঝাঁপ দিয়ে পা ভেঙে ফেলল। দ্বিতীয় পাগলটিও ডাক্তারের নির্দেশমতো তাতে ঝাঁপ দিল এবং হাত ভেঙে ফেলল। তৃতীয় পাগলটি কোনোমতেই ঝাঁপ দিতে রাজি হল না।
ডাক্তার উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, ‘আরে, তুমি তো সুস্থ হয়ে গেছ! যাও, তুমি মুক্ত। তবে একটা কথা বল তো, তুমি পুলে ঝাঁপ দিলে না কেন?’
পাগলটি নির্দ্বিধায় জবাব দিল, ‘দেখুন ডাক্তার বাবু, আমি সাঁতার একেবারেই জানি না!’
*
এক স্কুলশিক্ষক স্কুলের বাইরে বসেছিলেন। এমন সময় তার সামনে কাঁচুমাচু হয়ে একটি ছেলে এসে জানাল, সে নদীতে কুলি ফেলেছে এবং এর জন্য সে ক্ষমা চায়। স্কুলশিক্ষক বললেন, ‘এ আর এমন কি, নদীর পানি সামান্য ময়লা হতে পারে হয়তো, কিন্তু এর জন্য ক্ষমা চাওয়া জরুরি নয়।’
কিন্তু ছেলেটি নাছোড়বান্দা। অবশেষে তাকে দুটো উপদেশ দিয়ে বিদায় করলেন শিক্ষক।
কিছুক্ষণ পর আরেকটি ছেলে এসে নদীতে কুলি ফেলার জন্য ক্ষমা চেয়ে গেল। তারপর আরেকজন। স্কুলশিক্ষক বেশ অবাক হলেন। এমন সময় চতুর্থ জন প্রবেশ করল। স্কুলশিক্ষক বললেন, ‘তুমিও কি নদীতে কুলি ফেলে এসেছ?’
চতুর্থজন রাগে চিৎকার করে উঠল, ‘রাখুন আপনার জ্ঞানের কথা, আমিই কুলি! পাশের রেল স্টেশনে কাজ করি। তিন বদমাশ ছেলে ধাক্কা দিয়ে আমাকে নদীতে ফেলে দিয়েছে। তাদের এদিকে আসতে দেখলাম মনে হয়।’
*
একজন লোক রেডিওর একটি অনুষ্ঠানে জঔ কে ফোন করে বলল, ‘আমি একটি মানিব্যাগ পেয়েছি, যাতে ৫০ হাজার টাকা ছিল এবং একটি কার্ড ছিল যাতে লেখা আবদুস সোবাহান, ভূতের গলি, ঢাকা।’
জঔ বলল, ‘তো আমরা কীভাবে সাহায্য করতে পারি?’
লোকটি জবাব দিল, ‘আসলে আমি উনাকে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ একটি গান ডেডিকেট করতে চাই।’
*
আদরের ছেলে কিছুতেই পড়তে বসছে না। বাবা বুদ্ধি করে তাকে একটা পয়সা দিয়ে বললেন, ‘এটা দিয়ে টস করো, তারপর ‘টসভাগ্য’ দেখে অন্তত পড়তে বসো।’
ছেলে পয়সাটা হাতে নিয়ে বলল, ‘ঠিক আছে, পয়সাটা আমি ওপরে ছুড়ে দিচ্ছি। যদি ‘হেড’ ওঠে তাহলে মামার সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাব। যদি ‘টেল’ ওঠে তাহলে ভিডিও গেম খেলতে বসব। আর যদি পয়সাটা ওপর থেকে আর নিচে ফিরে না আসে তাহলে পড়তে বসব!’
*
একবার কোনো এক জনসভায় এক নেতার বক্তৃতা শুনে তার প্রতিপক্ষ দলের এক মহিলা বিরক্ত হয়ে মন্তব্য করলেন, ‘যদি ওই ভদ্রলোক আমার স্বামী হতেন তাহলে ওকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতুম!’
নেতা ভদ্রমহিলার ওই কথাটি শুনতে পেলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার দিকে তাকিয়ে মৃদু স্বরে বললেন, ‘ম্যাডাম, আমার স্ত্রী যদি আপনার মতো হতেন আমি নিজেই বিষ খেয়ে মরে যেতাম!’
*
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে-
স্ত্রী : কয়েকদিন ধরে উপমা নামটা তোমার মুখ থেকে খুব শুনছি। বাবুকে পড়ানোর সময়ও বললে। মেয়েটা কে?
স্বামী : আরে উপমা মেয়ের নাম নাকি? হা-হা-হা…।
স্ত্রী : হাসি বন্ধ। আমার সঙ্গে চালাকি করবে না। উপমা মেয়ের না ছেলের নাম, তা বোঝার বয়স আমার হয়েছে। ছি ছি ছি, এ বয়সে তোমার …!
স্বামী : ওরে বাপুরে, উপমা হল বাংলা গ্রামারের একটা অংশ।
স্ত্রী : চিটারি করার আর জায়গা পাও না, উপমা গ্রামারের অংশ! আমারে তুমি গ্রামার শেখাও!
স্বামী : তুমি দেখছি পাগল হলে, উপমা হল এক ধরনের বাক্য অলংকার।
স্ত্রী : অলংকার! এর মধ্যে অলংকারও কিনে দেয়া হয়েছে! হায় হায় রে, আমার কপাল পুড়ল রে, আমি এখন কী করব রে…!
*
ঘটিদার মেয়েকে দেখতে এলো পাত্রপক্ষ। আর পাত্রপক্ষ এলেই মেয়েদের অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করে। ঘটিদার মেয়েকেও জিজ্ঞাসা করল, ‘আচ্ছা মা, বল তো পৃথিবী ঘোরে কেন?’
পাত্রী : পেটের জ্বালায়, এ জ্বালায় আমার বাবাও পকেট মারে!
*
পেকুদা একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছে। প্রতিদিন বিকালে মেয়েটির বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। একদিন সেজেগুজে স্মার্ট হয়ে মেয়েটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে শপিং করতে যাচ্ছে।
তখন পেকুদা দৌড়ে গিয়ে পেছন থেকে বলল, ‘ম্যাডাম, আমি আপনাকে ভালোবাসি, আপনাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।’
মেয়েটি ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল, ‘ওরে হতচ্ছাড়া, আমি মেয়ে না, মেয়ের মা!’
সঙ্গে সঙ্গে পেকুদাও বলে উঠল, ‘ওরে হতচ্ছাড়ি, আমি ছেলে না ছেলের বাবা!’
*
ক্রেতা : আরে ভাই, এটা কী তালা দিয়েছেন, সারা দুনিয়ার চাবি ঢুকালেই খুলে যায়! এমনকি সেফটিপিন ঢুকালেও খোলে!
বিক্রেতা : তাহলে ভাই এই তালাটা নেন, আর সমস্যা হবে না।
ক্রেতা : এটা ভালো তো?
বিক্রেতা : ভালো মানে? এই তালা একবার মারলে এটার নিজের চাবি দিয়াও খোলা যায় না!
*
এক সকাল বেলা এক লোকের ‘মাগনা গরু, মাগনা গরু, মাগনা গরু’ চিৎকারে সবাই তড়িঘড়ি করে ছুটে এলো- কী ব্যাপার, দেখার জন্য। সবার সামনে সে একইভাবে চিৎকার করে চলেছে- ‘মাগনা গরু, মাগনা গরু, আস্ত, জ্যাতা, তারতাজা গরু, একেবারে মাগনা।’ তখন সবাই ধরল ‘কোথায় পাওয়া যায় মাগনা গরু?’ আমরা আনব। চলেন সবাই।
লোকটি তখন আস্তে আস্তে বলে ‘গরু ঠিকই মাগনা দেবে, তবে সেটা আনতে হবে সৌদি আরব থেকে।’
*
এক ছেলে জামগাছের পাশে একটি গোলাপ গাছের চারা লাগাচ্ছে। তা দেখে পথিক জিজ্ঞেস করল, ‘কী খোকা, জামগাছের পাশে গোলাপ ফুলের চারা লাগাচ্ছ, কী ব্যাপার?’ খোকা চট করে উত্তর দিল, ‘গোলাপ জাম খাব তো, তাই জামগাছের পাশে গোলাপের চারা লাগাচ্ছি!’
*
দুই পাগলের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়েছে আকাশের সূর্য নিয়ে। এক পাগল বলল, ‘ওটা আগুনের গোলা!’ আরেক পাগল বলল, ‘না, ওটা চাঁদ!’ তাদের ঝগড়া শেষ পর্যন্ত মারামারিতে গিয়ে ঠেকল। এমন সময় সেখানে এক পথচারী এসে হাজির হল। দুই পাগলই পথচারীকে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা বল তো, ওটা কি আগুনের গোলা, না আকাশের চাঁদ?’
পথচারী একটু চুপ করে থেকে মাথা চুলকে বলল, ‘আমি তো এই পাড়ায় থাকি না, তাই ঠিক বলতে পারছি না!’
*
কর্মচারী : জানেন বস, আমাদের পিয়নটা খুবই বোকা!
বস : তাই নাকি? তা কী করল সে?
কর্মচারী : বোকাটাকে বললাম, আমি অফিসে এসেছি কিনা তা আমার স্ত্রীর কাছ থেকে জেনে নিতে। সে করল কী, দৌড়ে আমার বাসায় চলে গেল!
বস : আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন।
কর্মচারী : আরে বোকা, এর জন্য বাসায় দৌড়াতে হয় নাকি! আমার বউকে ফোন দিলেই হয়, আমি অফিসে এসেছি কিনা!
*
প্রায় মধ্যরাত। হাইওয়ে ধরে ছুটে যাচ্ছিল পাগলা বাবা এক্সপ্রেস। এমন সময় দুর্ধর্ষ ডাকাতের দল বাসের পথরোধ করে দাঁড়াল। ডাকাত সর্দার বাসের যাত্রীদের মারধর করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিতে লাগল। এভাবে লুটপাট করতে করতে ডাকাত সর্দার মুখোমুখি হয়ে যায় এক নারীর-
ডাকাত সর্দার : নাম কী?
নারী : জরিনা
ডাকাত সর্দার : আমার বোনের নামও জরিনা। যাহ, তোকে মাফ করে দিলাম।
এরপর ডাকাত সর্দার গেল এক লোকের কাছে, ‘তোর নাম কী?’
উত্তরে লোকটি বলল, ‘আমার নাম আবুল। তবে বন্ধু-বান্ধব আদর করে জরিনা বলে ডাকে!’
*
: ভাইজান, এত মোটা বই কিনলেন যে! আপনি নিশ্চয় খুব বই পড়ুয়া!
– আরে মিয়া, বাসায় মেহমান আসছে! তাই এই মোটা বইটি কিনলাম বালিশ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য!
*
প্রথম বন্ধু : জানিস, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমার আপন চাচা।
দ্বিতীয় বন্ধু : তাই নাকি! তা আগে বলিসনি তো?
প্রথম বন্ধু : আপন বলতে বাবার আপন চাচাতো ভাই আর কি!
দ্বিতীয় বন্ধু : তাই, বারাক ওবামা তোর বাবার আপন চাচাতো ভাই?
প্রথম বন্ধু : ঠিক তেমন নয়। বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর কি!
দ্বিতীয় বন্ধু : কী, বারাক ওবামা তোর বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু?
প্রথম বন্ধু : আরে বাবার সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়।
দ্বিতীয় বন্ধু : তাই, তোর বাবার সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়?
প্রথম বন্ধু : আরে দেখা হয় মানে বাবা তাকে প্রায়ই টিভিতে দেখে!
*
পুলিশের বড় কর্তা আনন্দের সঙ্গে জানালেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টে ডগ স্কোয়াড যোগ হতে যাচ্ছে। কুকুরগুলো গন্ধ শুঁকে আমাদের নিয়ে যাবে অপরাধীদের কাছে, দুর্নীতিবাজদের কাছে। শুনে এক উদ্বিগ্ন পুলিশ অফিসার জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিন্তু স্যার, সেটা কি ঠিক হবে?’
: কেন?
– না মানে আমার মনে হয় কুকুরগুলো সব জায়গা ঘুরে বারবার আমাদের কাছেই চলে আসবে।
*
বিচারক : চুরি করার সময় তোমার স্ত্রী আর মেয়েটার কথা একবারও মনে হল না?
চোর : হয়েছিল তো হুজুর, কিন্তু দোকানটায় শুধু পুরুষদের কাপড়ই ছিল!
*
বাবা : আজ স্কুলে দুষ্টামি করিসনি তো?
ছেলে : না বাবা, ক্লাসে আজ পুরো সময় বেঞ্চের ওপর দাঁড়িয়েছিলাম! দুষ্টামি করার সুযোগই পাইনি!
*
আবদুল খালেকের মাথা গরম স্ত্রী ঝাড়ু দিয়ে তাকে পেটাতে শুরু করল। নিরুপায় হয়ে আবদুল খালেক টয়লেটে গিয়ে আশ্রয় নিল। স্ত্রী বাইরে থেকে চ্যাঁচাতে লাগল, ‘বেরিয়ে আয়, আজ তোর হাড়-মাংস আলাদা করে ফেলব!’
আবদুল খালেক ভেতর থেকে বলল, ‘টয়লেটের ছিটকিনি দিলাম আমি। আজ তোমার টয়লেট বন্ধ! এবার তোমাকে বোঝাব, আমার ক্ষমতা কত?’
*
হরমুজ আলীর মাথায় চাটি মারার জন্য গ্রামের মোড়ল আজমত আলীকে ৫০ টাকা জরিমানা করলেন।
আজমত আলী বলল, ‘আমার কাছে ৫০ টাকা নেই। ঠিক আছে, আমি বাড়ি থেকে এনে দিচ্ছি।’
বাড়ি গিয়ে আজমত আলী আর ফিরে আসে না। কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেলে হরমুজ আলী শেষে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে মোড়লের মাথায় একটি চাটি মেরে বলল, ‘আমি যাই, আমার সময় নেই। টাকাটা আপনি নিয়ে নিয়েন।’
*
এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তির কাছে দুঃখ করে বলছে-
প্রথম ব্যক্তি : ভেবেছিলাম ছেলেমেয়েদের দিয়ে বংশ থেকে ‘ফেল’ শব্দটা তাড়াব। তা আর হল না।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : কেন ভাই?
প্রথম ব্যক্তি : আর বলবেন না ভাই, আমাদের বংশের সবার সঙ্গে ‘ফেল’ শব্দটা জড়িয়ে আছে।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : কেমন করে?
প্রথম ব্যক্তি : আমার বাবা মারা গিয়েছিল গাড়ির ব্রেকফেল করে। সে খবর শুনে মা হার্টফেল করলেন। আর বড় ভাই আইফেল টাওয়ার দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। মেয়েটা গতবার করল এইচএসসিতে ফেল আর ছেলেটা এবার করল এসএসসিতে ফেল।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : তা আপনার সঙ্গে ফেল শব্দটা কেমন করে জড়িত।
প্রথম ব্যক্তি : আরে ভাই, আমার স্ত্রী তো একটা রাইফেল। কথা বললেই মুখ দিয়ে যেন গুলি ছোড়ে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমার নামই নওফেল।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : ভাই কিছু মনে করবেন না, আপনার কাছে একটা র্যাফেল ড্র’র টিকিট বিক্রি করতে চাই!
*
খাবার টেবিলে বসে স্বামী স্ত্রীকে বলছে-
স্বামী : দিনে দিনে তো মনে হয় তোমার বয়স কমে যাচ্ছে।
স্ত্রী : (খুশি হুয়ে) কী করে বুঝলে?
স্বামী : শুনেছি বয়স বাড়লে নাকি অভিজ্ঞতাও বাড়ে। কিন্তু তোমার রান্না খেয়ে তো মনে হয় না তোমার অভিজ্ঞতা বাড়ছে।
*
রেলওয়েতে ইন্টারভিউ হচ্ছে। একটি চটপটে ছেলেকে সবাই একটু বাজিয়ে নিতে চাইলেন।
: ধরো, একটা দ্রুতগামী ট্রেন আসছে। হঠাৎ দেখলে লাইন ভাঙা। কী করবে তুমি?
– ট্রেন থামাতে লাল নিশান ওড়াব।
: যদি রাত হয়?
– লাল আলো দেখাব।
: লাল আলো যদি না থাকে?
– তা হলে আমার বোনকে ডাকব।
: বোনকে! কেন?
– ওর অনেক দিনের শখ একটা ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট দেখবে!
*
ছেলে : মা, আমাদের টয়লেটটা অনেক ভালো।
দরজা খুললে লাইট জ্বলে, দরজা বন্ধ করলে লাইট অফ হয়।
মা : ওরে বদের হাড্ডি, তুই আজও ফ্রিজে প্রস্রাব করেছিস!
*
আবুল গোয়েন্দা বিভাগে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে।
প্রশ্নকর্তা : বলুন তো, কেন আসামি সব সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেখে যায়?
আবুল : ওরা বেশির ভাগ সময় অশিক্ষিত হয়, তাই আঙুলের ছাপ রেখে যায়! শিক্ষিত হলে অবশ্যই সাইন করে যেত!
*
সুমন : তোমাকে গত সপ্তাহে যে ছাতাটা ধার দিয়েছিলাম সেটা ফেরত দিতে হবে ভাই।
ফাহিম : কিন্তু আমি সেটা এই মাত্র করিমকে দিলাম, সে তো তার ভাইকে ওটা দিয়ে বাজারে পাঠিয়েছে।
সুমন : তবে তো ভারি মুশকিল হল, কারণ আমি ছাতাটা অফিসে রহিম সাহেবের কাছ থেকে চেয়ে এনেছিলাম, সেটা আসলে তার মেয়ের জামাইয়ের।
*
রহিম : গত বছর তোমার গেটে লাগান নেম প্লেটে দেখলাম করিম বিএ। এ বছর দেখছি এমএ। তুমি এক বছরে এমএ পাস করলে কীভাবে?
করিম : কেন? গত বছর বউ মারা যাওয়ায় আমি হয়ে গিয়েছিলাম ব্যাচেলর। তাই লিখেছিলাম বিএ (ব্যাচেলর অ্যাগেইন)। এ বছর বিয়ে করলাম। তাই হয়েছি এমএ (ম্যারেড অ্যাগেইন)।
*
শিক্ষক : একি, তোমার ফুটবল ম্যাচ বিষয়ে লেখা রচনাটা যে রানার রচনার সঙ্গে একেবারে মিলে যাচ্ছে, ওরটা দেখে দেখে লিখছ নাকি?
ছাত্র : না স্যার। আমরা দু’জনে যে একই ম্যাচ দেখে লিখেছি। তাই এ রকম হয়েছে।
*
চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে তিন বন্ধু। বস সবাইকে প্রশ্ন করতে লাগল।
বস : ধরো সাপ্লাই দেয়ার জন্য যে পরিমাণ দুধ প্রয়োজন, তার চেয়ে ১০ লিটার দুধ কম আছে, তখন তুমি কী করবে?
প্রথম বন্ধু : আমরা আগেই কিছু পরিমাণ দুধ কিনে রাখব।
বস : ঘবীঃ?
দ্বিতীয় বন্ধু : আবারও গাভী থেকে দুধ দোহন করব।
বস : ঘবীঃ?
তৃতীয় বন্ধু : দুধে ১০ লিটার পানি হলেই চলবে।
বস : তুমি আজই জয়েন করো!
*
গণিত ক্লাসে স্যার অঙ্ক খাতা দেখতে গিয়ে রেগে চোখ লাল করে জনৈক ছাত্রকে লক্ষ করে বললেন, ‘কিরে, তোর একটি অঙ্কও তো হয়নি!’
ছাত্র : একি বলেন স্যার! একটি অঙ্কও হয়নি?
স্যার : না, তোর একটি অঙ্কও হয়নি। তাই আগামীকাল আমি তোর বাপের কাছে যাব।
ছাত্র : আব্বার কাছে যাবেন? তাহলে কালকে কেন, এখনই চলেন। আব্বা তো খুব বড় বড় কথা বলে, তিনি নাকি ভালো ছাত্র ছিলেন। তার রোল নং এক ছিল।
স্যার : তোর বাপ ভালো ছাত্র ছিল তা শুনিয়ে কাজ হবে না। যখন যাব তখন বুঝবি মজা।
ছাত্র : আমি কী মজা বুঝব, অঙ্ক কি আমি করেছি?
স্যার (আশ্চর্য হয়ে) : তাহলে কে করেছে?
ছাত্র : অঙ্ক তো সব আব্বা করে দিয়েছেন!
*
বামন (খুব বেঁটে) মার্কা এক লোকের স্ত্রী সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা, ইয়া বড় দেহ। একদিন লোকটি তার স্ত্রীকে দৌড়ে মারতে গেল। কাছে যাওয়া মাত্র স্ত্রী ঝটপট তার স্বামীর হাত ধরে (হাঁসের গলা ধরার মতো) হাঁসের মতো উঁচু করে ঝুলিয়ে রাখল। খাটো স্বামী তার (স্ত্রীর) কাছ থেকে ছুটতেও পারল না, মারতেও পারল না।
স্বামী : (রাগত স্বরে) হোন (শোন) গিন্নি, তোমারে মারতে গেলে যে মারতে দ্যাওনা, এর জন্য আবার কবে জানি মাইর খাও!
*
আক্কাস ও কুদ্দুসের মধ্যে কথোপকথন-
আক্কাস : আমার বাবা এতই মোটা যে ক্রিকেট খেলা দেখার সময় বাবা যখন টিভির সামনে দিয়ে হেঁটে যান তখন…
কুদ্দুস : তখন কী?
আক্কাস : দু’একটা বল মিস করে ফেলি (একটা ওয়াইডসহ)।
কুদ্দুস : আর আমার বাবা এতই মোটা যে কোনো ব্রিজে হাঁটতে গেলে…
আক্কাস : হাঁটতে গেলে কী হয়?
কুদ্দুস : তার কাছে টোল দাবি করে!
*
১ম বন্ধু : আমার স্ত্রী আজ আমাকে ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে গেছে! আমি অনেক চেষ্টা করেছি কান্নার জন্য, কিন্তু চোখে পানি আসছে না। এখন আমি কী করব?
২য় বন্ধু : খুবই সহজ। একবার শুধু চিন্তা কর, সে ফিরে এসেছে!
*
শিক্ষক : তোমার বাড়ির কাজ কোথায়?
ছাত্র : স্যার, অনুগ্রহ করে আপনার ফেসবুক চেক করুন, বাড়ির কাজ এর মধ্যে আমি আপলোড করে দিয়েছি এবং আপনার অ্যাকাউন্টে ট্যাগ করে দিয়েছি।
*
স্বামী : আমি আমার বেতন নিয়ে খুব খুশি। কিন্তু বিয়ের পর এখন আমরা দু’জন। আমার এ বেতন তোমার খরচ ও প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য কি ঠিক আছে?
স্ত্রী : অবশ্যই ঠিক আছে। তোমার এ বেতন আমার জন্য অনেক বেশি, কিন্তু আমি ভাবছি তোমার কী হবে?
*
বাবা ও ছেলে এক চায়ের দোকানের সামনে বসে আছে।
ছেলে : বাবা, ওরা কী খায়?
বাবা : চা।
ছেলে : না, চামু না। চাইতে লজ্জা করে!
গ্রন্থনা : রাফিয়া আক্তার