স্বাধীনতার কবি
হে কবি তোমার আর কবিতা লেখা হবে না
তোমার দোয়াত কালির আলত পরশে
উদার বুকের জমিনে
একটি স্বপ্নের পংক্তি সাজানো হবে না
তোমার আর কবিতা লেখা হবে না।
ধ্বনিতে ধ্বনিতে সংগ্রামের ধ্বনি
উচ্চারিত হবে না তোমার কণ্ঠে
তোমার স্বাধীন বর্ণমালার দাবি
দাবি আদায়ের চরণ সাজাবে না পবিত্র মস্তিষ্কে
তোমার আর কবিতা লেখা হবে না।
স্বরবৃত্তের দোলায় দোলায় দুলবে না জনসমুদ্রের ডেউ
উত্তাল জনতার হৃদয়ের স্পন্দনে
তোমার জালাময়ি কাব্য শিখা
আগুন জালাবেনা বাঙ্গালীর মনে।
নিরঘুম চোখে শব্দের সাথে খেলতে খেলতে
আর একটি সুবেহ সাদিক আসবে না
তোমার স্বপ্নে কবিতাটি আর সাজানো হবে না
তোমার আর কবিতা লেখা হবে না।
লেটার প্রেসের কম্পিজেটর আর সাজাবে না
তোমার সাত মার্চের কবিতার পংক্তির
গোটা গোটা অক্ষর,
উত্তাল মার্চে শহরের অলি-গলি
দাপিয়ে বেড়ানো কাগজের হকার
চিৎকার করে বলবে না মুক্তির খবর,
স্বাধীনতার খবর, সংগ্রামের খবর।
খবরের কাগজে চোখ রাখা
বৃদ্ধের চশমায় জল জল করবে না
তোমার পবিত্র নাম।
কিশোর-যুবকের কাচি চোখে
কঠিন পথ পাড়ি দেবার
দুরন্ত স্বপ্নের নির্দেশনা দেবে না
তোমার তর্জনি।
মার্চের কাব্যের অমর দুটি চরণ
যুবকের মনে আগুন জালাবে না
শপথ নেবার যুদ্ধে যাবার
হে কবি তোমার আর কবিতা লেখা হবে না।
ভোরের করুণ হাওয়ায় শুনেছি খবর
ঘাতকের ১৮ টি বুলেট খণ্ড বিখণ্ড করেছে
উদার বুকের জমিন
সেই বুকের জমিন জুড়ে আজ ১৩ শ নদীর ব-দ্বীপ।
সেদিন ভোরে আকাশ কেঁদেছিল শ্রাবনের শেষ কান্না!
সেই কান্নার অশ্রু আজ প্রবাহিত হয় ১৩শ নদীর জমিনে,
হে কবি এই স্বাধীনতা তোমার রক্ত ঋনে।
অনন্তকাল রবে ১৩শ নদীর স্বাধীনতা বহমান
যা দিয়েছো তুমি কবি হে শেখ মুজিবুর রহমান
স্বাধীনতার কবি তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।