2:33 pm, Sunday, 22 December 2024

শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের ৬২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 168 ভিউ
শেয়ার করুন

কারুবাক ডেস্ক : 

‘ওকি গাড়িয়াল ভাই হাকাও গাড়ি তুই চিলমারীর বন্দর…’ উত্তরাঞ্চলের মানুষের প্রাণের এই সুরের কথা উঠলে যিনি সামনে চলে আসেন তিনি ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিন। এই ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের ৬২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায় জন্ম গ্রহন করেন এই সাধক পুরুষ। লোক সংগীতের রাজা আব্বাসউদ্দীন আহমদ ছিলেন একাধারে সংগীতশিল্পী, সংগীত পরিচালক ও সুরকার। তার পিতার নাম জাফর আলী আহমদ যিনি পেশায় ছিলেন উকিল।

তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় বলরামপুর স্কুল থেকে।  ১৯১৯ সালে তুফানগঞ্জ স্কুল থেকে  প্রবেশিকা এবং ১৯২১ সালে কুচবিহার কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। একই থেকে বিএ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়ে তিনি সংগীত জগতে প্রবেশ করেন।

গ্রামবাংলার মানুষের প্রাণের সুর ভাওয়াইয়া, পল্লীগান তিনিই প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ডের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করেছেন। শিল্পীর  গাওয়া গানের ৯০ ভাগ গানই পল্লী অঞ্চলের। এছাড়া বাংলা ভাষায় ইসলামী সঙ্গীত ও গজল পরিবেশন করে মুসলিম সমাজকে জাগরণের প্রেরণা জুগিয়েছেন তিনি। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ তাঁর গাওয়া প্রথম বাংলা ইসলামী গান গ্রামোফোন রেকর্ডে বের হয়। শাকিল রাসেলের রেফারেন্স অনুযায়ী রংপুর ও কুচবিহার অঞ্চলের ভাওয়াইয়া ভাভাগো ভাভা, ক্ষীরোল চটকা গেয়ে আব্বাস উদ্দীন প্রথমে সুনাম অর্জন করেন। তিনি উচ্চাঙ্গ সংগীতের শিক্ষা নেন ওস্তাদ জমিরউদ্দীন খাঁর কাছ থেকে।

শুধু ভাওয়াইয়া গানই নয়_ তিনি বাংলা ইসলামী গানেরও স্রষ্ঠা। আব্বাস উদ্দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় গান গেয়ে বাঙালিদের উদ্বুদ্ধ করতেন। গাইতেন ‘ওঠরে চাষী জগৎবাসী, ধর কষে লাঙল’। কাজী নজরুল ইসলামকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিলেন বাংলা ইসলামিক গজল। শুধু গানই নয়_ আব্বাস উদ্দিন ১৯৩২ সালে ‘বিষ্ণমায়’, ১৯৩৬ সালে ‘মহানিশা’, ১৯৩৬ সালে ‘একটি কথা’ এবং  ১৯৪০ সালে ‘ঠিকাদার সিনেমা গুলিতে অভিনয় করেছিলেন।  ঠিকাদার সিনেমায় তিনি একজন কুলির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিন। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি যথাক্রমে ১৯৬০ সালে মরণোত্তর  ‘প্রাইড অব পারফরম্যান্স’ পুরস্কার, ১৯৭৯ সালে ‘শিল্পকলা একাডেমি’ পুরস্কার  ও ১৯৮১ সালে ‘স্বাধীনতা দিবস’ পুরস্কারে ভূষিত হন।

 

#
জনপ্রিয়

শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের ৬২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেটের সময় : ০৫:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

কারুবাক ডেস্ক : 

‘ওকি গাড়িয়াল ভাই হাকাও গাড়ি তুই চিলমারীর বন্দর…’ উত্তরাঞ্চলের মানুষের প্রাণের এই সুরের কথা উঠলে যিনি সামনে চলে আসেন তিনি ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিন। এই ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের ৬২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায় জন্ম গ্রহন করেন এই সাধক পুরুষ। লোক সংগীতের রাজা আব্বাসউদ্দীন আহমদ ছিলেন একাধারে সংগীতশিল্পী, সংগীত পরিচালক ও সুরকার। তার পিতার নাম জাফর আলী আহমদ যিনি পেশায় ছিলেন উকিল।

তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় বলরামপুর স্কুল থেকে।  ১৯১৯ সালে তুফানগঞ্জ স্কুল থেকে  প্রবেশিকা এবং ১৯২১ সালে কুচবিহার কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। একই থেকে বিএ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়ে তিনি সংগীত জগতে প্রবেশ করেন।

গ্রামবাংলার মানুষের প্রাণের সুর ভাওয়াইয়া, পল্লীগান তিনিই প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ডের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করেছেন। শিল্পীর  গাওয়া গানের ৯০ ভাগ গানই পল্লী অঞ্চলের। এছাড়া বাংলা ভাষায় ইসলামী সঙ্গীত ও গজল পরিবেশন করে মুসলিম সমাজকে জাগরণের প্রেরণা জুগিয়েছেন তিনি। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ তাঁর গাওয়া প্রথম বাংলা ইসলামী গান গ্রামোফোন রেকর্ডে বের হয়। শাকিল রাসেলের রেফারেন্স অনুযায়ী রংপুর ও কুচবিহার অঞ্চলের ভাওয়াইয়া ভাভাগো ভাভা, ক্ষীরোল চটকা গেয়ে আব্বাস উদ্দীন প্রথমে সুনাম অর্জন করেন। তিনি উচ্চাঙ্গ সংগীতের শিক্ষা নেন ওস্তাদ জমিরউদ্দীন খাঁর কাছ থেকে।

শুধু ভাওয়াইয়া গানই নয়_ তিনি বাংলা ইসলামী গানেরও স্রষ্ঠা। আব্বাস উদ্দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় গান গেয়ে বাঙালিদের উদ্বুদ্ধ করতেন। গাইতেন ‘ওঠরে চাষী জগৎবাসী, ধর কষে লাঙল’। কাজী নজরুল ইসলামকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিলেন বাংলা ইসলামিক গজল। শুধু গানই নয়_ আব্বাস উদ্দিন ১৯৩২ সালে ‘বিষ্ণমায়’, ১৯৩৬ সালে ‘মহানিশা’, ১৯৩৬ সালে ‘একটি কথা’ এবং  ১৯৪০ সালে ‘ঠিকাদার সিনেমা গুলিতে অভিনয় করেছিলেন।  ঠিকাদার সিনেমায় তিনি একজন কুলির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিন। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি যথাক্রমে ১৯৬০ সালে মরণোত্তর  ‘প্রাইড অব পারফরম্যান্স’ পুরস্কার, ১৯৭৯ সালে ‘শিল্পকলা একাডেমি’ পুরস্কার  ও ১৯৮১ সালে ‘স্বাধীনতা দিবস’ পুরস্কারে ভূষিত হন।