5:29 am, Monday, 23 December 2024

ড. মিল্টন বিশ্বাস পেলেন দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 144 ভিউ
শেয়ার করুন

কারুবাক ডেস্ক :

বাংলা সাহিত্যে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ”দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক-২০২৩” পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু গবেষক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

২১ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি প্রবর্তিত এই পদকটি কলকাতার বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা মিলনায়তনে অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের হাতে ”দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক-২০২৩” তুলে দেন ভারতের আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও আচার্য দীনেশচন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী প্রফেসর দেবকন্যা সেন। এসময় মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিখ্যাত গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায় এবং ধর্মপ্রিয় সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. জিনপ্রিয় মহাথেরো, অধ্যাপক ও গবেষক ড. বিমল কুমার থান্দার প্রমুখ।

এর আগে পশ্চিমবঙ্গের লেখক মহাশ্বেতা দেবী, বাংলাদেশের ফিরোজা বেগম ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী, অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া এবং নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে এই স্বর্ণ পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি, ভারত’ ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং অধ্যাপক মিল্টন এই সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগে ‘দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র’ সম্মাননা ২০২৩ পেয়েছেন। সেই সম্মাননা স্মারকে বলা হয়েছে, ”অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু গবেষক এবং কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। সাহিত্য-সমালোচক হিসেবেও খ্যাত ৷ আপনার গবেষণার বিষয় নির্বাচনে নতুনত্ব আছে এবং গবেষণা ও সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে আপনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। গবেষক হিসেবে আপনার নিষ্ঠা, দক্ষতা ও সততাকে বরণ করে ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা’ প্রকাশের শতবর্ষ উদযাপনের শুভ লগ্নে ‘আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি, ভারত’ -এর পক্ষ থেকে ‘দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র’ সম্মাননা ২০২৩ অর্পণ করা হলো। ভারতের বিচারপতি সুধেন্দু মল্লিক, বিচারপতি চিত্ততোষ মুখার্জি, সুপ্রিয় ঠাকুর, বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর ও সমাজকর্মী অরোমা দত্তকে এই পদক প্রদান করা হয়েছে।

জানা গেছে, মিল্টন বিশ্বাস কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক ও কবি। তিনি ইউজিসি পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো হিসেবে ‘‘সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু’’ শিরোনামে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। ‘জীবনানন্দ দাশ ও বুদ্ধদেব বসুর কাব্য চিন্তা’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য ১৯৯৯ সালে এমফিল এবং ‘তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ’ রচনার জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২২ বছর যাবৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় নিয়োজিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বহু দেশে সেমিনার ও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন।

মৌলিক ও সম্পাদনা মিলে মিল্টন বিশ্বাসের গ্রন্থের সংখ্যা ২৫। প্রবন্ধ ৪৭টি এবং ৪ হাজারের অধিক তাঁর লেখা কলাম রয়েছে। দেশের বিশিষ্ট কলামিস্ট হিসেবে তিনি পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে চলেছেন। ‘বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামে’র তিনি সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য।

 

#
জনপ্রিয়

ড. মিল্টন বিশ্বাস পেলেন দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক

আপডেটের সময় : ০৫:৫৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

কারুবাক ডেস্ক :

বাংলা সাহিত্যে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ”দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক-২০২৩” পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু গবেষক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

২১ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি প্রবর্তিত এই পদকটি কলকাতার বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা মিলনায়তনে অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের হাতে ”দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক-২০২৩” তুলে দেন ভারতের আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও আচার্য দীনেশচন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী প্রফেসর দেবকন্যা সেন। এসময় মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিখ্যাত গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায় এবং ধর্মপ্রিয় সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. জিনপ্রিয় মহাথেরো, অধ্যাপক ও গবেষক ড. বিমল কুমার থান্দার প্রমুখ।

এর আগে পশ্চিমবঙ্গের লেখক মহাশ্বেতা দেবী, বাংলাদেশের ফিরোজা বেগম ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী, অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া এবং নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে এই স্বর্ণ পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি, ভারত’ ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং অধ্যাপক মিল্টন এই সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগে ‘দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র’ সম্মাননা ২০২৩ পেয়েছেন। সেই সম্মাননা স্মারকে বলা হয়েছে, ”অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু গবেষক এবং কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। সাহিত্য-সমালোচক হিসেবেও খ্যাত ৷ আপনার গবেষণার বিষয় নির্বাচনে নতুনত্ব আছে এবং গবেষণা ও সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে আপনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। গবেষক হিসেবে আপনার নিষ্ঠা, দক্ষতা ও সততাকে বরণ করে ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা’ প্রকাশের শতবর্ষ উদযাপনের শুভ লগ্নে ‘আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি, ভারত’ -এর পক্ষ থেকে ‘দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র’ সম্মাননা ২০২৩ অর্পণ করা হলো। ভারতের বিচারপতি সুধেন্দু মল্লিক, বিচারপতি চিত্ততোষ মুখার্জি, সুপ্রিয় ঠাকুর, বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর ও সমাজকর্মী অরোমা দত্তকে এই পদক প্রদান করা হয়েছে।

জানা গেছে, মিল্টন বিশ্বাস কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক ও কবি। তিনি ইউজিসি পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো হিসেবে ‘‘সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু’’ শিরোনামে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। ‘জীবনানন্দ দাশ ও বুদ্ধদেব বসুর কাব্য চিন্তা’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য ১৯৯৯ সালে এমফিল এবং ‘তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ’ রচনার জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২২ বছর যাবৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় নিয়োজিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বহু দেশে সেমিনার ও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন।

মৌলিক ও সম্পাদনা মিলে মিল্টন বিশ্বাসের গ্রন্থের সংখ্যা ২৫। প্রবন্ধ ৪৭টি এবং ৪ হাজারের অধিক তাঁর লেখা কলাম রয়েছে। দেশের বিশিষ্ট কলামিস্ট হিসেবে তিনি পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে চলেছেন। ‘বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামে’র তিনি সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য।