7:38 pm, Sunday, 22 December 2024

তিমির সাথে কথা বললেন বিজ্ঞানীরা!

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৩:২১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 44 ভিউ
শেয়ার করুন
 অনলাইন ডেস্ক

হাম্পব্যাক তিমির সাথে আলাপচারিতা করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই কথাও হয়েছে তিমিটির নিজস্ব ভাষায়! অবাক করার মতো কাণ্ড হলেও একদল বিজ্ঞানী নজিরবিহীন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন!

এ বছরের শুরুতে হোয়েল-এসইটিআই (সার্চ ফর এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স) হিসেবে পরিচিত একদল গবেষক টোয়াইন নামের একটি হাম্পব্যাক তিমির সাথে ‘আলাপচারিতা’ করেন। তাদের এ আলাপের ব্যাপ্তি ছিল ২০ মিনিট।

গবেষণাটি বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল পিয়ার জে-তে প্রকাশিত হয়েছে। এতে ‘হাম্পব্যাক তিমির ভাষা’ ব্যবহার করে মানুষ এবং এই তিমির মধ্যে হওয়া আলাপের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

এ গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা আগেই হাম্পব্যাক তিমির নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের কিছু শব্দ রেকর্ড করেছিলেন। সেই শব্দ বা আওয়াজ ব্যবহার করে টোয়াইনের মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা। আশ্চর্যজনকভাবে এ ডাকে সাড়া দেয় টোয়াইন এবং বিজ্ঞানীদের নৌকার চারপাশে ঘুরতে থাকে।

গবেষণাটির প্রধান লেখক ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ব্রেন্ডা ম্যাকাওয়ান বলেন, হাম্পব্যাক তিমির সাথে হওয়া আলাপটি এ প্রাণীর বুদ্ধিমত্তা ও তাদের জটিল যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়টির প্রমাণ। মাছ ধরার জন্য বাবলের মাধ্যমে জাল তৈরি, নিজস্ব গান এবং ডাকের মাধ্যমে একে অপরের সাথে তাদের বিস্তৃত যোগাযোগ ব্যবস্থা সত্যিই চমকপ্রদ।

এসইটিআই ইনস্টিটিউটের ড. লরেন্স ডোয়েল বলেন,  ‘প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে মহাজাগতিক প্রাণীর সন্ধানের বিষয়ে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুমান হলো মহাজাগতিক জীব আগ্রহী হয়ে মানুষের রিসিভার যন্ত্রের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করবে। হাম্পব্যাক তিমির এই ঘটনাটি নিশ্চিতভাবে এ অনুমান সমর্থন করে।’

 

#
জনপ্রিয়

তিমির সাথে কথা বললেন বিজ্ঞানীরা!

আপডেটের সময় : ০৩:২১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন
 অনলাইন ডেস্ক

হাম্পব্যাক তিমির সাথে আলাপচারিতা করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই কথাও হয়েছে তিমিটির নিজস্ব ভাষায়! অবাক করার মতো কাণ্ড হলেও একদল বিজ্ঞানী নজিরবিহীন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন!

এ বছরের শুরুতে হোয়েল-এসইটিআই (সার্চ ফর এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স) হিসেবে পরিচিত একদল গবেষক টোয়াইন নামের একটি হাম্পব্যাক তিমির সাথে ‘আলাপচারিতা’ করেন। তাদের এ আলাপের ব্যাপ্তি ছিল ২০ মিনিট।

গবেষণাটি বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল পিয়ার জে-তে প্রকাশিত হয়েছে। এতে ‘হাম্পব্যাক তিমির ভাষা’ ব্যবহার করে মানুষ এবং এই তিমির মধ্যে হওয়া আলাপের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

এ গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীরা আগেই হাম্পব্যাক তিমির নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের কিছু শব্দ রেকর্ড করেছিলেন। সেই শব্দ বা আওয়াজ ব্যবহার করে টোয়াইনের মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা। আশ্চর্যজনকভাবে এ ডাকে সাড়া দেয় টোয়াইন এবং বিজ্ঞানীদের নৌকার চারপাশে ঘুরতে থাকে।

গবেষণাটির প্রধান লেখক ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ব্রেন্ডা ম্যাকাওয়ান বলেন, হাম্পব্যাক তিমির সাথে হওয়া আলাপটি এ প্রাণীর বুদ্ধিমত্তা ও তাদের জটিল যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়টির প্রমাণ। মাছ ধরার জন্য বাবলের মাধ্যমে জাল তৈরি, নিজস্ব গান এবং ডাকের মাধ্যমে একে অপরের সাথে তাদের বিস্তৃত যোগাযোগ ব্যবস্থা সত্যিই চমকপ্রদ।

এসইটিআই ইনস্টিটিউটের ড. লরেন্স ডোয়েল বলেন,  ‘প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে মহাজাগতিক প্রাণীর সন্ধানের বিষয়ে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুমান হলো মহাজাগতিক জীব আগ্রহী হয়ে মানুষের রিসিভার যন্ত্রের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করবে। হাম্পব্যাক তিমির এই ঘটনাটি নিশ্চিতভাবে এ অনুমান সমর্থন করে।’