7:39 pm, Sunday, 22 December 2024

কালজয়ী গানের স্রষ্টা আলাউদ্দিন আলীর জন্মদিন

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৭:২৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 189 ভিউ
শেয়ার করুন

কারুবাক ডেস্ক :

বাংলা গান তথা বাংলা চলচ্চিত্র গানের কিংবদন্তি নাম আলাউদ্দিন আলী। একইসঙ্গে সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার হিসেবে বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী। আজ আলাউদ্দিন আলীর ৭১তম জন্মদিন।

১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী। পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতের শিক্ষা নেন তিনি।

আলাউদ্দিন আলী ১৯৬৮ সালে আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হয়ে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ অনেকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন।

১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক ‘ও আমার বাংলা মা’ গানের মাধ্যমে সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই বছর ‘সন্ধিক্ষণ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম সিনেমাতে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি।

আলাউদ্দিন আলী ১৯৮৫ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আর ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ সিনেমার জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০টির অধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন আলাউদ্দিন আলী। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ বার সংগীত পরিচালক হিসেবে এবং শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ১ বারসহ মোট ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন এই সঙ্গীতজ্ঞ।

বাংলা গান, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রের অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। তার সুরারোপিত গানের মধ্যে আছে, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘এমনও তো প্রেম হয় চোখের জলে কথা কয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে’, ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে আমি বলি কমেরে’, ‘আমায় গেঁথে দাওনা মাগো একটা পলাশ ফুলের মালা’, ‘শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে’, ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না’, ‘পারি না ভুলে যেতে, স্মৃতিরা মালা গেঁথে’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘আমার মনের ভেতর অনেক জ্বালা আগুন হইয়া জ্বলে’, ‘হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ’ ইত্যাদি।

২০২০ সালের ৯ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সুর সম্রাট। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বরেণ্য এই কিংবদন্তি।

 

#
জনপ্রিয়

কালজয়ী গানের স্রষ্টা আলাউদ্দিন আলীর জন্মদিন

আপডেটের সময় : ০৭:২৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

কারুবাক ডেস্ক :

বাংলা গান তথা বাংলা চলচ্চিত্র গানের কিংবদন্তি নাম আলাউদ্দিন আলী। একইসঙ্গে সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার হিসেবে বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী। আজ আলাউদ্দিন আলীর ৭১তম জন্মদিন।

১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী। পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতের শিক্ষা নেন তিনি।

আলাউদ্দিন আলী ১৯৬৮ সালে আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হয়ে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ অনেকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন।

১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক ‘ও আমার বাংলা মা’ গানের মাধ্যমে সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই বছর ‘সন্ধিক্ষণ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম সিনেমাতে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি।

আলাউদ্দিন আলী ১৯৮৫ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আর ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ সিনেমার জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০টির অধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন আলাউদ্দিন আলী। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ বার সংগীত পরিচালক হিসেবে এবং শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ১ বারসহ মোট ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন এই সঙ্গীতজ্ঞ।

বাংলা গান, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রের অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। তার সুরারোপিত গানের মধ্যে আছে, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘এমনও তো প্রেম হয় চোখের জলে কথা কয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে’, ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে আমি বলি কমেরে’, ‘আমায় গেঁথে দাওনা মাগো একটা পলাশ ফুলের মালা’, ‘শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে’, ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না’, ‘পারি না ভুলে যেতে, স্মৃতিরা মালা গেঁথে’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘আমার মনের ভেতর অনেক জ্বালা আগুন হইয়া জ্বলে’, ‘হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ’ ইত্যাদি।

২০২০ সালের ৯ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সুর সম্রাট। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বরেণ্য এই কিংবদন্তি।