5:52 am, Monday, 23 December 2024

প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড়!

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ১২:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 882 ভিউ
শেয়ার করুন
মোঃ আবদুল মাজেদ

ফেসবুকে বিভিন্ন কোম্পানী বই বিক্রি করার সময় বিজ্ঞাপন দেয়, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বই সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে ইত্যাদি প্রকারের। একটা বই বহুদিন ধরে খোঁজ করেও বাজারে পাইনি। অবশেষে অনলাইন-বিজ্ঞাপন থেকে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এক কপি অর্ডার করলাম। বাসায় বই পৌঁছে দেয়ার পর খুলে দেখলাম এটা আসলে পাইরেটেড কপি। দাম রেখেছে অরিজিন্যালের মতই।

এগুলো নাকি অন-লাইন থেকে ডাউন লোড করে ফটোকপি কিংবা প্রিন্ট করে বাঁধাই করে দেয়। হার্ড কভার টা এমনভাবে করে যে ভিতরের গুণাগুণ সম্পর্কে আর সন্দেহ থাকে না। এ ধরণের বইয়ের প্রিন্ট কোয়ালিটি এমন হয় যা চোখের জন্য মোটেই আরামদায়ক নয়। তাই পড়ে স্বস্তি পাওয়া যায় না।

কোরবানীর গরু অন-লাইনে কেনা বরং এর চেয়েও ভাল। অন-লাইনে যেসব তরতাজা ষাঁড়ের ছবি দেখায় যা দেখে চোখে নেশা লাগে। অর্ডার দেয়ার পরে যখন বাসায় পৌঁছে দেয় তখন আশাহত হতে হয়। একেবারে হাড় জিরজিরে অর্ডারি-গরুর আধেক সাইজের । বই-এর বেলায়ও যে এমন হবে তা ভাবতে পারিনি।

প্রতিদিন বিকালে নিউমার্কেটে যে বইয়ের দোকানে আড্ডা দিই তাকে দেখলাম মোবাইল ফোনে এককপি বই তৈরি করে দেওয়ার জন্য অর্ডার দিল। সে বলল যে, বইটি সরাসরি আনা যাচ্ছে না। কিংবা আনতে গেলে যে সময়ের প্রয়োজন সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না। তাই সে পাইরেটেড করে দেয়ার জন্য অর্ডার দিচ্ছে। দেখাদেখি আমিও এককপি করে দিতে বললাম।

বই টা যেদিন আমার হাতে দেয়া হলো, বই-এর কলেবর দেখে আমার চোখ কপালে উঠল। ৬০-৬৫ পৃষ্ঠার একটা বই দাম নিল ৬৫০ টাকা। বই-এর সবগুলো পাতার সম্মিলিত ওজনের চেয়ে বই-এর কভারের ওজন বেশি। আমি দোকানদারকে বললাম আমি বই-এর কভারটা নেব না। কভার বাদে আমাকে বইটা দেন। আর একটা বই যখন তৈরি করবেন তখন এই কভারটা সেই বই-এর জন্য ব্যবহার করবেন। দোকানদারের সাফ জবাব, পাকাকলা খোসা ছাড়িয়ে বিক্রি করা হয় না। নিরূপায় হয়ে ৬৫০/- টাকায় ঐ বইটা নিতে হলো। অবসরে যাওয়ার পরে একটা বই-এর দোকান দেবো ভেবে রেখেছি। ঠকে ঠকে বই-এর ব্যবসার ফন্দি ফিকির শিখছি। আমদানীর সময় প্রাইস ট্যাগ এক-চতুর্থাংশ লিখে রাখতে হবে। তাতে কাস্টমস ডিউটি কমবে। স্টলে সাজানোর সময় বই-এর গায়ের দরের চেয়ে ৩০০% বেশি দাম লিখে প্রাইস ট্যাগ লাগিয়ে রাখতে হবে। খদ্দের দাম নিয়ে গাঁইগুঁই করলে বলতে হবে ডলারের অভাবে এলসি করা হয় না। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ২/৪ কপি বই আনতে গেলে বাজনার চেয়ে খাজনা বেশি পড়ে, লাভ হয় না, ব্যবসায় লাটে উঠবে ইত্যাদি।

যারা বই কিনতে আসে তাদের মধ্যে প্রায় সবাই জ্ঞানী-গুণী সন্দেহ নেই। কেবল আমার মত দুই একটা ব্যতিক্রম আছে। যারা বাতিকের কারণে বই কেনে। যে সব গুনীজন বই কেনেন তাদের সবার যে আয় বেশি তা কিন্তু নয়। কিন্তু এদের সবারই বৈষয়িক বুদ্ধি কম। ফলে দোকানদার তার সম্মোহনী বক্তৃতা দিয়ে প্রায় সবাইকে কনভিন্সড করে ফেলে।

আজ আবার ফেসবুকে তালের গুড়ের বিজ্ঞাপন দেখলাম। লিখেছে, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড়। পাঠকমাত্রই জানেন যে, ইদানিং খেজুরের রসে বানানো খেজুরের গুড় পাওয়া যায় না। অধিকাংশই চিনি কিংবা অন্যান্য কেমিকেল মিশিয়ে গুড় তৈরি করে। সেখানে তালের রস পাবে কোথায়।

অধিকাংশ পতিত জমি ও জঙ্গল পরিস্কার করে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ক্ষেতের আলেও পুরনো, বয়সী তালগাছ দেখা যায় না। যা দুয়েকটা চোখে পড়ে তা প্রতিবছর বাজ পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দু-চারটে যে গাছ দেখা যায় তার রস কিছুটা গ্লাস দরে বিক্রি হয়। এর অধিকাংশই গাঁজিয়ে তাড়ি হিসেবে বিক্রি করা হয়। তাড়ি যেহেতু নেশা জাতীয়, তাই এর চাহিদাও যেমন বেশি দামও তেমনি চড়া । তাই গুড় বানানোর মতো তালের রস বড় বেশি অবশিষ্ট থাকে না। তাছাড়া তালেরগুড়ের দর তাড়ির দরের সাথে পাল্লা দিয়ে পারবে কেনো?

যাহোক, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালেরগুড়ের বিজ্ঞাপন দেখে তাদের ইন-বক্সে লিখলাম প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড় প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বই-এর মতো পাইরেটেড না তো? লেখার সাথে সাথে ফিরতি বার্তায় প্রিমিয়াম তালেরগুড়ের মুল্য তালিকা, প্যাকেজিং, ডেলিভারির ধরণ, ঢাকার ভিতরে ও বাইরে ডেলিভারী চার্জ সব তথ্য জানিয়ে দিল।

সবশেষে আলাদা একটা বার্তায় জানিয়ে দিল ‘না’। মানে তাদের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড় পাইরেটেড নয়। আরও একটি মেসেজ দিয়ে জানালো যে একবার পরীক্ষা করে দেখুন। আসলেই। ন্যাড়া তো একবারই বেল তলায় যাওয়ার সুযোগ পায়। দ্বিতীয়বার তার বেল তলায় যাওয়ার সুযোগ নাও আসতে পারে।

নীলক্ষেত মার্কেটের তেঁতুল তলার রাস্তায় বহু বছর যাবৎ একজন ক্যানভ্যাসার মাইক বাজিয়ে ভ্যান-রিক্সায় ওষুধ বিক্রি করত। রাস্তায় যানবাহনের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর যাবৎ তাকে আর দেখি না। বেঁচে আছে কী-না তাও জানি না। একেকটা ওষুধের গুণাগুণ বর্ণনা করার পর সে সাজেসন দিত ‘একবার পরীক্ষা এজমায়েশ করিয়া দেখুন।’ যাই হোক, তার ওষুধ কখনো পরীক্ষা এজমায়েশ করে দেখা হয়নি। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড়ও পরীক্ষা এজমায়েশ করে দেখার কোনো ইচ্ছে নেই। বলা বাহুল্য ছোটোবেলা গ্রামের বাজারে ২৫ পয়সা গ্লাস তালের রস কিনে খেয়েছি। ১৯৮৪ সালে ঢাকায় চলে আসার পরে জেনেছি ওই সব তালগাছের তলায় সন্ধ্যাবেলায় তাড়িখোরদের আড্ডা বসে। জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেল, আজ পর্যন্ত কোনোদিন তালের গুড় খাওয়া হয়নি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অন-লাইন বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড় খাওয়ার বিন্দুমাত্র বাসনা নেই। বরং ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ যদি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড় একবার পরীক্ষা এজমায়েশ করে দেখেন তো ভালো হয়।

 

 

০৯/১০/২০২২

#
জনপ্রিয়

প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড়!

আপডেটের সময় : ১২:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন
মোঃ আবদুল মাজেদ

ফেসবুকে বিভিন্ন কোম্পানী বই বিক্রি করার সময় বিজ্ঞাপন দেয়, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বই সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে ইত্যাদি প্রকারের। একটা বই বহুদিন ধরে খোঁজ করেও বাজারে পাইনি। অবশেষে অনলাইন-বিজ্ঞাপন থেকে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এক কপি অর্ডার করলাম। বাসায় বই পৌঁছে দেয়ার পর খুলে দেখলাম এটা আসলে পাইরেটেড কপি। দাম রেখেছে অরিজিন্যালের মতই।

এগুলো নাকি অন-লাইন থেকে ডাউন লোড করে ফটোকপি কিংবা প্রিন্ট করে বাঁধাই করে দেয়। হার্ড কভার টা এমনভাবে করে যে ভিতরের গুণাগুণ সম্পর্কে আর সন্দেহ থাকে না। এ ধরণের বইয়ের প্রিন্ট কোয়ালিটি এমন হয় যা চোখের জন্য মোটেই আরামদায়ক নয়। তাই পড়ে স্বস্তি পাওয়া যায় না।

কোরবানীর গরু অন-লাইনে কেনা বরং এর চেয়েও ভাল। অন-লাইনে যেসব তরতাজা ষাঁড়ের ছবি দেখায় যা দেখে চোখে নেশা লাগে। অর্ডার দেয়ার পরে যখন বাসায় পৌঁছে দেয় তখন আশাহত হতে হয়। একেবারে হাড় জিরজিরে অর্ডারি-গরুর আধেক সাইজের । বই-এর বেলায়ও যে এমন হবে তা ভাবতে পারিনি।

প্রতিদিন বিকালে নিউমার্কেটে যে বইয়ের দোকানে আড্ডা দিই তাকে দেখলাম মোবাইল ফোনে এককপি বই তৈরি করে দেওয়ার জন্য অর্ডার দিল। সে বলল যে, বইটি সরাসরি আনা যাচ্ছে না। কিংবা আনতে গেলে যে সময়ের প্রয়োজন সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না। তাই সে পাইরেটেড করে দেয়ার জন্য অর্ডার দিচ্ছে। দেখাদেখি আমিও এককপি করে দিতে বললাম।

বই টা যেদিন আমার হাতে দেয়া হলো, বই-এর কলেবর দেখে আমার চোখ কপালে উঠল। ৬০-৬৫ পৃষ্ঠার একটা বই দাম নিল ৬৫০ টাকা। বই-এর সবগুলো পাতার সম্মিলিত ওজনের চেয়ে বই-এর কভারের ওজন বেশি। আমি দোকানদারকে বললাম আমি বই-এর কভারটা নেব না। কভার বাদে আমাকে বইটা দেন। আর একটা বই যখন তৈরি করবেন তখন এই কভারটা সেই বই-এর জন্য ব্যবহার করবেন। দোকানদারের সাফ জবাব, পাকাকলা খোসা ছাড়িয়ে বিক্রি করা হয় না। নিরূপায় হয়ে ৬৫০/- টাকায় ঐ বইটা নিতে হলো। অবসরে যাওয়ার পরে একটা বই-এর দোকান দেবো ভেবে রেখেছি। ঠকে ঠকে বই-এর ব্যবসার ফন্দি ফিকির শিখছি। আমদানীর সময় প্রাইস ট্যাগ এক-চতুর্থাংশ লিখে রাখতে হবে। তাতে কাস্টমস ডিউটি কমবে। স্টলে সাজানোর সময় বই-এর গায়ের দরের চেয়ে ৩০০% বেশি দাম লিখে প্রাইস ট্যাগ লাগিয়ে রাখতে হবে। খদ্দের দাম নিয়ে গাঁইগুঁই করলে বলতে হবে ডলারের অভাবে এলসি করা হয় না। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ২/৪ কপি বই আনতে গেলে বাজনার চেয়ে খাজনা বেশি পড়ে, লাভ হয় না, ব্যবসায় লাটে উঠবে ইত্যাদি।

যারা বই কিনতে আসে তাদের মধ্যে প্রায় সবাই জ্ঞানী-গুণী সন্দেহ নেই। কেবল আমার মত দুই একটা ব্যতিক্রম আছে। যারা বাতিকের কারণে বই কেনে। যে সব গুনীজন বই কেনেন তাদের সবার যে আয় বেশি তা কিন্তু নয়। কিন্তু এদের সবারই বৈষয়িক বুদ্ধি কম। ফলে দোকানদার তার সম্মোহনী বক্তৃতা দিয়ে প্রায় সবাইকে কনভিন্সড করে ফেলে।

আজ আবার ফেসবুকে তালের গুড়ের বিজ্ঞাপন দেখলাম। লিখেছে, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড়। পাঠকমাত্রই জানেন যে, ইদানিং খেজুরের রসে বানানো খেজুরের গুড় পাওয়া যায় না। অধিকাংশই চিনি কিংবা অন্যান্য কেমিকেল মিশিয়ে গুড় তৈরি করে। সেখানে তালের রস পাবে কোথায়।

অধিকাংশ পতিত জমি ও জঙ্গল পরিস্কার করে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ক্ষেতের আলেও পুরনো, বয়সী তালগাছ দেখা যায় না। যা দুয়েকটা চোখে পড়ে তা প্রতিবছর বাজ পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দু-চারটে যে গাছ দেখা যায় তার রস কিছুটা গ্লাস দরে বিক্রি হয়। এর অধিকাংশই গাঁজিয়ে তাড়ি হিসেবে বিক্রি করা হয়। তাড়ি যেহেতু নেশা জাতীয়, তাই এর চাহিদাও যেমন বেশি দামও তেমনি চড়া । তাই গুড় বানানোর মতো তালের রস বড় বেশি অবশিষ্ট থাকে না। তাছাড়া তালেরগুড়ের দর তাড়ির দরের সাথে পাল্লা দিয়ে পারবে কেনো?

যাহোক, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালেরগুড়ের বিজ্ঞাপন দেখে তাদের ইন-বক্সে লিখলাম প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড় প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বই-এর মতো পাইরেটেড না তো? লেখার সাথে সাথে ফিরতি বার্তায় প্রিমিয়াম তালেরগুড়ের মুল্য তালিকা, প্যাকেজিং, ডেলিভারির ধরণ, ঢাকার ভিতরে ও বাইরে ডেলিভারী চার্জ সব তথ্য জানিয়ে দিল।

সবশেষে আলাদা একটা বার্তায় জানিয়ে দিল ‘না’। মানে তাদের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড় পাইরেটেড নয়। আরও একটি মেসেজ দিয়ে জানালো যে একবার পরীক্ষা করে দেখুন। আসলেই। ন্যাড়া তো একবারই বেল তলায় যাওয়ার সুযোগ পায়। দ্বিতীয়বার তার বেল তলায় যাওয়ার সুযোগ নাও আসতে পারে।

নীলক্ষেত মার্কেটের তেঁতুল তলার রাস্তায় বহু বছর যাবৎ একজন ক্যানভ্যাসার মাইক বাজিয়ে ভ্যান-রিক্সায় ওষুধ বিক্রি করত। রাস্তায় যানবাহনের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর যাবৎ তাকে আর দেখি না। বেঁচে আছে কী-না তাও জানি না। একেকটা ওষুধের গুণাগুণ বর্ণনা করার পর সে সাজেসন দিত ‘একবার পরীক্ষা এজমায়েশ করিয়া দেখুন।’ যাই হোক, তার ওষুধ কখনো পরীক্ষা এজমায়েশ করে দেখা হয়নি। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড়ও পরীক্ষা এজমায়েশ করে দেখার কোনো ইচ্ছে নেই। বলা বাহুল্য ছোটোবেলা গ্রামের বাজারে ২৫ পয়সা গ্লাস তালের রস কিনে খেয়েছি। ১৯৮৪ সালে ঢাকায় চলে আসার পরে জেনেছি ওই সব তালগাছের তলায় সন্ধ্যাবেলায় তাড়িখোরদের আড্ডা বসে। জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেল, আজ পর্যন্ত কোনোদিন তালের গুড় খাওয়া হয়নি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অন-লাইন বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড় খাওয়ার বিন্দুমাত্র বাসনা নেই। বরং ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ যদি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির তালের গুড় একবার পরীক্ষা এজমায়েশ করে দেখেন তো ভালো হয়।

 

 

০৯/১০/২০২২