5:49 am, Monday, 23 December 2024

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 218 ভিউ
শেয়ার করুন
কারুবাক ডেস্ক :

বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলা। ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত এই মেলাকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কবি-লেখক-প্রকাশকদের। ফকিরাপুল, আরামবাগ, কাঁটাবন, বাংলাবাজারসহ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে কর্মযজ্ঞ। উৎসবমুখর একটি বইমেলার জন্য প্রহর গুনছেন তারা।

২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলা নিয়ে মাঝে একটু সংশয়ে ছিলেন কবি-লেখক-প্রকাশকরা। তবে সব ধরনের সংশয় কাটিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আগামী বইমেলা বরাবরের মতো ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমিও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

শোনা গিয়েছিল, গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ বছর বইমেলা করতে না দেওয়ার পক্ষে ছিল। কারণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরির কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। এখন তা আগামী বছরের মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। তাই আগামী বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হওয়ার নিশ্চয়তা মিলেছে।

এ বিষয়ে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বইমেলার সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ এবারও ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বইমেলার প্যাভিলিয়ন এবং স্টলের আবেদনের বিষয়গুলো পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানতে পারবেন।

প্রকাশকরা বলছেন, করোনার পরে মেলা নিয়ে বড় স্বপ্ন ছিল আমাদের। সেই স্বপ্ন ২০২৩ সালের বইমেলায় অনেকটা পূরণ হয়েছে। ২০২৪ সালের মেলার স্থান নিয়ে আশঙ্কায় ছিলাম সবাই, সেই আশঙ্কাও দূর হয়েছে। আশা করছি, গতবারের চেয়ে বাঙালির প্রাণের মেলা এবার আরও ভালো হবে, পরিবেশ ইতিবাচক হবে।

মূলত সাংস্কৃতিক বলয়ের কাজ সম্পন্ন হলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সব ধরনের সভা, সমাবেশ ও যেকোনো ধরনের বইমেলা নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। সে হিসেবে ২০২৫ সালে বইমেলার জন্য বিকল্প কোনো প্রাঙ্গণ খুঁজতে হতে পারে। তবে লেখক-পাঠক-প্রকাশকরা উদ্যানকেই উপযুক্ত মনে করে আসছেন।

 

#
জনপ্রিয়

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা

আপডেটের সময় : ০৫:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন
কারুবাক ডেস্ক :

বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলা। ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত এই মেলাকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কবি-লেখক-প্রকাশকদের। ফকিরাপুল, আরামবাগ, কাঁটাবন, বাংলাবাজারসহ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে কর্মযজ্ঞ। উৎসবমুখর একটি বইমেলার জন্য প্রহর গুনছেন তারা।

২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলা নিয়ে মাঝে একটু সংশয়ে ছিলেন কবি-লেখক-প্রকাশকরা। তবে সব ধরনের সংশয় কাটিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আগামী বইমেলা বরাবরের মতো ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমিও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

শোনা গিয়েছিল, গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ বছর বইমেলা করতে না দেওয়ার পক্ষে ছিল। কারণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরির কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। এখন তা আগামী বছরের মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। তাই আগামী বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হওয়ার নিশ্চয়তা মিলেছে।

এ বিষয়ে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বইমেলার সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ এবারও ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বইমেলার প্যাভিলিয়ন এবং স্টলের আবেদনের বিষয়গুলো পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানতে পারবেন।

প্রকাশকরা বলছেন, করোনার পরে মেলা নিয়ে বড় স্বপ্ন ছিল আমাদের। সেই স্বপ্ন ২০২৩ সালের বইমেলায় অনেকটা পূরণ হয়েছে। ২০২৪ সালের মেলার স্থান নিয়ে আশঙ্কায় ছিলাম সবাই, সেই আশঙ্কাও দূর হয়েছে। আশা করছি, গতবারের চেয়ে বাঙালির প্রাণের মেলা এবার আরও ভালো হবে, পরিবেশ ইতিবাচক হবে।

মূলত সাংস্কৃতিক বলয়ের কাজ সম্পন্ন হলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সব ধরনের সভা, সমাবেশ ও যেকোনো ধরনের বইমেলা নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। সে হিসেবে ২০২৫ সালে বইমেলার জন্য বিকল্প কোনো প্রাঙ্গণ খুঁজতে হতে পারে। তবে লেখক-পাঠক-প্রকাশকরা উদ্যানকেই উপযুক্ত মনে করে আসছেন।