জোকস-০১
পিচ্চি এক ছেলে দৌড়ে গিয়ে পুলিশকে বলছে_
ছেলে : পুলিশ ভাই, পুলিশ ভাই, শিগগির আমাদের বাড়িতে আসেন। একটা লোক আমার বাবাকে ধরে মারছে।
পুলিশ : তো এতক্ষণ ডাকোনি কেন?
ছেলে : এতক্ষণ তো আমার বাবাই ওদের ধরে আচ্ছামতো মারছিল!
জোকস-০২
গৃহকর্তা: (ঘুমের ঘোরে) কে ওখানে?
চোর: আমি হ্যাবলা চোর।
গৃহকর্তা: ওখানে কী করিস?
চোর: চুরি করছি।
গৃহকর্তা: চুরি করবি তো হারমোনিয়াম বাজাচ্ছিস কেন?
চোর: আমাদের সর্দার যা নেব সব বাজিয়ে (পরখ করে) নিতে বলেছে। তাই হারমোনিয়াম বাজিয়ে নিচ্ছি।
জোকস-০৩
আইফেল টাওয়ারের অদূরে এক অপূর্ব সুন্দরী পর্যটক হেঁটে বেড়াচ্ছে। তাকে অনুসরণ করছে এক স্থানীয় পুরুষ। উপায়ান্তর না দেখে মেয়েটি এগিয়ে গেল পুলিশের কাছে; বলল, ‘ওই লম্বামতন লোকটা আমার পিছু ছাড়ছে না। আমি যেখানে যাচ্ছি, সেও যাচ্ছে আমার পিছু পিছু।’
পুলিশ বলল, ‘ডিউটিতে না থাকলে আমিও একই কাজ করতাম।
জোকস-০৪
এক লোককে অতিরিক্ত স্পীডে গাড়ি চালানোর দায়ে ট্রাফিক পুলিশ দাঁড় করালো।
: কী ব্যপার এত স্পীডে চালাচ্ছিলেন কেন ? এখনতো জরিমানা দিতে হবে ।
: কী করব? আমারতো লাইসেন্স নেই,
:লাইসেন্স ছাড়াই রাস্তায় গাড়ী নিয়ে বেরিয়েছেন?
:কী আর করা । আমার স্ত্রীকে হঠাৎ খুন করে ফেল্লাম, এখন লাশটা গুম করতে যাচ্ছি।
(ট্রাফিক পুলিশ ভড়কে গিয়ে) লাশ কই?
: গাড়ীর বনেটে রখেছি
সাথে সাথে ট্রাফিক পুলিশ সবখানে খবরটা জানিয়ে দিলেন আর এইরকম একজন ভয়ংকর অপরাধী ধরার সাফল্যে প্রমোশনের আশা জেগে উঠল তার। পুলিশের বড় কর্তা সবাই এসে হাজির, সাথে মিডিয়া। ঐ লোককে চারদিক থেকে ঘিরে ধরা হল, আর লোকটা চেঁচাতে লাগল: এই ট্রাফিক একটা মিথ্যুক, ঘুষ না পয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে ।
বড় কর্টা সেদিকে কান না দিয়ে গাড়ীর বনেট-টা তুললেন, সেখানে কিছু নেই- ফাঁকা । রাগত দৃষ্টিতে তিনি এবার ট্রাফিক পুলিশটার দিকে তাকালেন ।
ঐ ব্যাটা আমাতা আমতা করে বলতে লাগল, ”লোকটা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালাচ্ছে” অপরাধী ড্রাইভার সাঠে সাথে চেঁচিয়ে উঠল- ব্যাটা মিঠ্যুক, এটা কী? বলে পকেট থেকে তার লাইসেন্সটা বের করে দিল ।
ওটা দেখে পুলিশটা আমাতা আমতা করে আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলো, তখন ড্রাইভার লোকটা চেঁচিয়ে উঠল ”বল, আরো বানিয়ে বানিয়ে বল। এবার নিশ্চয় বলবি জয আমি বেশী স্পীডে গাড়ী চালাচ্ছিলাম! ”
জোকস-০৫
মিনিট দশেক তাড়া করে গতিবিধি লঙ্ঘন করা এক ড্রাইভারকে থামাল ট্রাফিক পুলিশ, বলল, আমি থামতে বলা সত্ত্বেও কেন আপনি থামেননি?
এক মুহূর্ত ভেবে নিয়ে ড্রাইভার বলল, আসলে হয়েছে কি, গত সপ্তাহে আমার স্ত্রী এক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তো আপনাকে আমার পেছনে ছুটতে দেখে মনে হলো, আমার স্ত্রীকে ফেরত দিতেই আপনি আমার পিছু নিয়েছেন।
জোকস-০৬
এক দুষ্ট ছেলে থানায় ফোন করেছে।
– এইটা কি পুলিশ স্টেশন?
– হ্যাঁ।
– আপনি কি পুলিশ?
– হ্যাঁ।
– আপনার থানায় বাথরুম আছে?
– হ্যাঁ।
– আপনার বাথরুমে কমোড আছে?
– হ্যাঁ, আছে।
– তাহলে কমোডের মধ্যে মাথা ঢুকাইয়া বইসা থাকেন।
এই বলে ছেলেটি ফোন কেটে দিল।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ নাম্বার বের করে কলব্যাক করল।
ছেলেটির বাবা ফোন ধরল।
পুলিশ অভিযোগ করল, আপনার ছেলে আমাকে কমোডে মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকতে বলেছে!
– কতক্ষণ আগে বলেছে?
– এই ধরেন ১০ মিনিট।
– তাহলে এখন মাথা বের করে ফেলেন….
জোকস-০৭
পুলিশ : অস্ত্র কই রাখছিস বল?
আসামী : স্যার আমি অস্ত্রের খবর যানি না।
পুলিশ : বলবি নাকি ক্রসফায়ারে মরবি?
আসামী : স্যার ঐ দিক দিয়ে গেলে তিনটা তাল গাছ পাবেন।
পুলিশ : তাল গাছের গোঁড়ায় পুতে রাখছিস..?
আসামী : না স্যার প্রথম দুইটা তাল গাছ বাদ। তিন নাম্বারটার
পুলিশ : হুম ওখানে আছে?
আসামী : স্যার তিন নাম্বারটার পাশ দিয়ে তিনটা রাস্তা আছে। প্রথম দুইটা বাদ ৩ নাম্বার রাস্তা দিয়ে গিয়ে তিনটা বাড়ি পাবেন।
পুলিশ : কোন বাড়িতে বল শালা?
আসামী : প্রথম দুইটা বাদ তিন নাম্বার বাড়িতে গিয়ে তিনটা ঘর। প্রথম দুইটা বাদ তিন নাম্বার ঘরে তিনটা আলমারি আছে। প্রথম দুইটা বাদ তিন নাম্বারটাতে তিনটা ড্রয়ার আছে। তিন নাম্বার ড্রয়ারে….
পুলিশ : অস্ত্র আছে?
আসামী : স্যার তিনটা ছবি আছে আর তিন নাম্বার ছবিটা আমার মায়ের। ঐ ছবির কসম স্যার। আমি অস্ত্রের খবর যানি না স্যার।
পুলিশতো পুরাই টাসকি!!!
ফিলিং হা হা হা হি হি হি হু হু হ
জোকস-০৮
এক পুলিশ এবং তার পরিবার আনন্দঘন পরিবেশে ছুটি কাটানোর জন্য সমুদ্র তীরবর্তী একটা রিসোর্ট ভাড়া করলো। নির্ধারিত দিনে জরুরী কাজ পড়ে যাওয়া পুলিশ বাধ্য হয়ে তার বউ এবং সন্তাকে পাঠিয়ে দিল এবং দুদিনের মধ্যে কাজ সেরে সে নিজেও পৌছে গেল।
প্রাকৃতিক নিরিবিলি পরিবেশে অপরুপ সুন্দরী বউকে কাছে টেনে নিয়ে কানে কানে বলল- “চলো ভালোবাসা নির্মান করি”।
… বউ বলল- নো ডারলিং, এখান তো করা যাবে না, বাচ্চাটা দেখে ফেলবে।
স্বামী-তুমি ঠিকই বলেছ। চলো না বিচের এক কোনায় যাই, বিচতো খুবই নিরিবিলি মনে হচ্ছে।
কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে তার এক নিরিবিলতে ভালোবাসা নির্মানে ব্যস্ত হয়ে পরলো।
কিন্তু হঠাৎ করে কোথা থেকে এক পুলিশ এসে বলল- তাড়াতাড়ি কাপড় পড়ে নেন। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত এরকম পাবলিক প্লেসে অসামাজিক কাজ করছেন। লজ্জিত স্বামী তার পরিচয় দিয়ে বলল- দেখেন আমি একজন পুলিশ অফিসার, একটু নিরিবিলি একান্ত সময় কাটানোর জন্যই আমরা এসেছে, আমাদের ভুল হয়ে গেছে, আপনি যদি কেস ফাইল করেন তাহলে আর ইজ্জত থাকবে না।
পুলিশ অফিসার কিছুক্ষন ভাবলো, তারপর বলল- চিন্তার কিছু নেই – যেহেতু আপনি আমাদের একজন সহকর্মী আর এটা আপনার ফার্ষ্ট টাইম তাই আপনাকে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি কিন্তু এই মহিলাকে ছাড়া যাবে না কারন গত দুই দিনে তিন তিন বার তাকে ক্ষমা করা হয়েছে, আর সম্ভব না।
জোকস-০৯
মরুভূমিতে এক গাধা আর এক হাবিলদারের মধ্যে দেখা হলো। গাধা জিজ্ঞেস করল, “তুই কে রে??”
হাবিলদার এদিক ওদিক তাকিয়ে আশপাশে কেউ নেই দেখে গর্বের… সঙ্গে বলল, “আমি মেজর জেনারেল!! তুই কে??”
গাধা এদিক ওদিক তাকিয়ে আশপাশে কেউ নেই দেখে বলল, “আমি ঘোড়া!!”
জোকস-১০
এক সৈন্য ভুল করে তার মগ উলটে রেখে গেলো টেবিলে। জেনারেলের তেষ্টা পেয়েছে, পেয়াদাকে হুকুম করলেন পানি আনার জন্য।
পেয়াদা অনেক ক্ষন দেখে ফিরে এসে রিপোর্ট করলো স্যার পানি আনতে পারবো না, মগের কোনো মুখ নেই। …
জেনারেল গেলেন টেবিলের কাছে অনেক ক্ষন গবেষনা করে বললেন কি আশ্চর্য এটার তো তলাও নেই।
জোকস-১১
এক উইং কমাণ্ডার আসলেন বিমান ঘাটি পরিদর্শনে। টেক অফ জোনে তিনি দেখতে পেলেন একটা আধখাওয়া সিগারেটের পুচ্ছদেশ তকতকে মেঝেতে পড়ে আছে।
ভীষণ দৃষ্টিকটু লাগলো জিনিসটা তাঁর কাছে। সেটা তুলে নিলেন তিনি। “এই সিগেরেটের পোঁদটা কার?”, বললেন তিনি। “কারও না স্যার।” জবাব দিলেন পার্শ্ববর্তী জুনিয়র অফিসার।
“আপনার ইচ্ছা হলে আপনি নিঃশংসয়ে খেতে পারেন।”
জোকস-১২
আর্মিদের ডিজগাইজ ট্রেনিং চলছে। এমন সময় আর্মির এক উচ্চপদস্থ জেনারেল এলেন পরিদর্শনে।
সাথে সাথে গাছের ছদ্মবেশে দাঁড়িয়ে থাকা এক সোলজার চিৎকার করে লাফ দিয়ে উঠল।
ভয়ঙ্কর রেগে গেলেন জেনারেল। রাগতস্বরে বল্লেন, ‘তোমার কোটমার্শাল হবে!’
মিনমিন করে বলতে লাগলো সোলজার….’স্যার আমার কি দোষ যখন আমার গাছের ডালে বসে থাকা পাখিকে একটা শিকারি গুলি করলো তখন আমি চিৎকার করিনি….চিৎকার করিনি যখন একটা বিষাক্ত সাপ আমার পয়ের উপর দিয়ে চলে গেল….কিন্তু..
‘কিন্তু কি??’ খেঁকিয়ে উঠলেন জেনারেল।
-’কিন্তু যখন দুইটা কাঠবেরালি আমার প্যান্টের ভেতর ঢুকে বলে উঠল,
‘একটা বাদাম এখন খাব আর আরেকটা খাব কাল…তখন আমার আর না
চিৎকার করে উপায় ছিল না.
জোকস-১৩
মেজর মজনু ছিলেন নৌবাহিনীর দায়িত্বে। তিনি একবার ঘুরতে গেলেন তার দোস্তলোগ মেজর বাকসুদের কর্মস্থলে, যিনি কিনা আছেন সেনাবাহিনীর দায়িত্বে। মেজর মজনু বন্ধু বাকসুদের সাথে হাত মিলিয়ে বললেন, “তো বন্ধু, কি অবস্থা? দিনকাল কেমন চলছে? সৈন্য-সামন্ত কেমন সামলাচ্ছ?”
“দারূণভাবে।” বললেন মেজর বাকসুদ। “একেকটাকে এমন অকুতোভয় করে গড়েছি, যে একাই দুয়েকটা প্লাটুনকে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে।”
বন্ধুবরের স্পর্ধিত কথা শুনে বিস্ময়াপণ্ণ হলেন মজনু। “তাই নাকি! অবশ্য আমার লোকেরাও কম সাহসী না। তাদেরকেও আমি অনেক যত্নের সাথেই গড়েছি। বোঝোই তো, জলে নেমে হাঙরের সাথে কুস্তি লড়ে।”
“কিন্তু আমারগুলো সাহসিকতায় অদ্বিতীয়। নিঃসন্দেহে।”
“নমুনা দেখাতে পারবে?” শুধালেন মেজর মজনু।
মেজর বাকসুদ একজন সিপাহীকে ডাক দিলেন, “মানিক। এদিকে আসো।”
সিপাহী মানিক দৌড়ে সন্নিকট হলো।
“যাওতো” বললেন বাকসুদ। “ঐ যে যাচ্ছে ট্যাঙ্কটা, ওটাকে হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়ে আসোতো।”
“আপনার আক্কেলে কি কুত্তায় মুতেছে!” সপাটে বললো সিপাহী। “ওটার সামনে গিয়ে দাঁড়াই, আর ওমনি চ্যাপ্টে চাপাতি হয়ে যাই। মর্কট কোথাকার!” বলেই হনহনিয়ে ফেরৎ গেলো সিপাহীটা।
যেন ঘোরের মধ্যে সবকিছু দেখছিলেন মেজর মজনু। হা করে বন্ধু বাকসুদের দিকে তাকালেন তিনি।
গোঁফ মুচড়ে, হাসিমুখে মেজর বাকসুদ বললেন, “দেখলে বন্ধু। কলজেতে কতটা সাহস থাকলেই না একজন সিনিয়র অফিসারের মুখের উপর কথাগুলো এমনভাবে বলতে পারে!!”
জোকস-১৪
ক্যাপ্টেন গফুর দরাজ গলায় হাঁক পাড়লো, “সার্জেন্ট জলিল। একটু আগেই একটা টেলিগ্রাম পেলাম, সিপাহী বরকতের আম্মা নাকি মারা গেছে। তাকে গিয়ে দুঃসংবাদটা জানাও আর আমার সাথে দেখা করতে বলো।”
সার্জেন্ট জলিল সমবেত সিপাহী জনতার সামনে গিয়ে বললো, “রমজান, মেস হলের হাল হকিকত এক্ষুণি আমাকে রিপোর্ট করো। বাশেদ, দপ্তরের কেরাণীকে এক্ষুণি ক্যান্টনমেন্টের ফাইলগুলো পাঠাতে বলো। আর বরকত, ভালো কথা, তোমার আম্মা মারা গেছে। তুমি স্যারের সাথে গিয়ে দেখা করো।”
সেদিন সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন গফুর, সার্জেন্ট জলিলকে বললেন, “দ্যাখো জলিল। এমন একটা মানবিক ব্যাপার তুমি এমন আবেগহীন ভাবে সোজাসাপ্টা কীভাবে বললে! এইসব বিষয়ে…মানে বুঝলে তো- আরেকটু কৌশলী হলেই পারো।”
“ইয়েস স্যার।” পায়ে মেঝে ঠুকে, স্যালুট মেরে বললো সার্জেন্ট।
কিছু সপ্তা পর ক্যাপ্টেন গফুরের ফের দরাজ কণ্ঠ, “সার্জেন্ট জলিল। একটু আগেই একটা টেলিগ্রাম পেলাম, সিপাহী শমসেরের আম্মা নাকি মারা গেছে। তাকে গিয়ে দুঃসংবাদটা জানাও আর আমার সাথে দেখা করতে বলো। তবে রোসো, একটু কৌশলে।”
সার্জেন্ট জলিল আবারো সিপাহী জনতার সামনে এসে দাঁড়ালো।
“সমাবেশ! ফল ইন করো।” চড়া গলায় বললো সার্জেন্ট। “এবার, যাদের যাদের আম্মা জিন্দা আছে, তারা সবাই দুই কদম এগিয়ে এসো। শমসের, তুমি বাদে।”
জোকস-১৫
প্রচণ্ড গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল বল্টু। পথে ট্রাফিক পুলিশ তার পথ রোধ করে দাঁড়াল।
ট্রাফিক পুলিশ: তোমার মতো বেয়াড়াদের ধরতেই দিনভর এখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি, বুঝলে বাছাধন?
বল্টু: সে জন্যই তো যত দ্রুত সম্ভব আপনার কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছিলাম!
জোকস-১৬
সর্দারজি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এমন সময় ট্রাফিক পুলিশ থামতে ইশারা করল।
সর্দারজি: দুঃখিত, স্যার, আমরা ইতিমধ্যেই তিনজন উঠে বসে আছি, আপনাকে ওঠানোর মতো জায়গা নেই!
জোকস-১৭
ঝুম বৃষ্টি। এর মধ্যে প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল গাড়িটা। সংগত কারণেই গাড়িটার পথ রোধ করে দাঁড়াল কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ।
পুলিশ: এই বেকুব! এই বৃষ্টিতে কেউ এত জোরে গাড়ি চালায়?
চালক: আমি তো গাড়ির ভেতর বসে আছি, গায়ে বৃষ্টির ছিটাফোঁটাও লাগছে না। বেকুব আমি—না যে বাইরে দাঁড়িয়ে বোকার মতো বৃষ্টিতে ভিজছে, সে?
জোসক-১৮
সেদিন এক লোক সিঙ্গাপুরের রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে। একটা সিগন্যাল অতিক্রম করার সময় সে দেখল, রাস্তার পাশে রাখা ক্যামেরা তার ছবি তুলেছে। লোকটা তড়িঘড়ি করে স্পিডমিটার চেক করল।
না, সবই ঠিক আছে। তাহলে ছবি তুলল কেন? লোকটার মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না। সে ভাবল, কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। তাই সে বিষয়টা আরেকটু পরীক্ষা করার জন্য একটু ঘুরে আবার ওই রাস্তায় এল।
ক্যামেরা তার ছবি তুলল। এবার গাড়ির গতি গতবারের চেয়ে কম ছিল। তার কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। সে ভাবল, নিশ্চয় কোথাও কোনো বড় রকমের ঝামেলা হয়েছে।
সে আরও তিনবার একই সিগন্যাল অতিক্রম করল। প্রতিবার গতি আগেরবারের চেয়ে কমিয়ে দিয়ে। কিন্তু ক্যামেরা প্রতিবারই তার ছবি তুলল।
এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর লোকটার ঠিকানায় তার নামে পাঁচটা চিঠি এল। সিটবেল্ট না বেঁধে ড্রাইভিং করার অপরাধে পাঁচটা চিঠিতেই তাকে জরিমানা করা হয়েছে!
জোকস-১৯
ভদ্রলোক এসে পুলিশকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি এখানে গাড়িটা পার্ক করতে পারি?’
না।
তাহলে এই গাড়িগুলো এখানে কেন?
যারা রেখেছে, তারা কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেনি।
জোকস-২০
জনি গাড়ি নিয়ে মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিল। তার গাড়ির গতিসীমা তখন ঘণ্টায় ৬০ কিমির বেশি অতিক্রম করছে।
এমন সময় সে লক্ষ করল, পেছন থেকে একটা পুলিশের গাড়ি তাকে ধাওয়া করছে। জনি বুঝল, সে সর্বোচ্চ গতিসীমা অতিক্রম করে ফেলেছে।
এখন উপায়? গাড়ি থামালেই একগাদা টাকা জরিমানা গুনতে হবে। মনে মনে সে একটা বুদ্ধি আঁটল।
গাড়ির গতি না কমিয়ে সে আরও বাড়িয়ে দিল। পুলিশের গাড়িটাও তখন ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসছে।
হঠাৎ একটা পেট্রলপাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে গেল জনি। গাড়ি থেকে নেমে এক ছুটে ঢুকে গেল পেট্রলপাম্পের বাথরুমে।
পাঁচ মিনিট পর জনি যখন বের হলো, পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলেছে। জনি পেটে হাত বোলাতে বোলাতে বলল, ‘বুঝতেই পারছেন, বেগটা একটু বেশি পেয়েছিল!’