এএফপি
দলের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলেন কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নির্বাচনী সভা-সমাবেশে সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এ নেতার। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সাহায্যে কণ্ঠ নকল করে তাঁর বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে।
দুর্নীতি-রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। গত আগস্ট থেকে কারাবন্দী আছেন তিনি। তাঁকে কারাগারে রেখেই দেশটির জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি হবে ভোট গ্রহণ। ইমরান কারাগারে থাকলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে পিটিআই।
নির্বাচন উপলক্ষে দেশজুড়ে প্রচার চালাচ্ছে পিটিআই। এর অংশ হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি ইমরানের ৪ মিনিটের একটি ভিডিও আজ সোমবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। এর আগে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত এ বক্তব্য পাঠিয়েছিলেন ইমরান। পরে ইমরানের কণ্ঠ নকল করে তাঁর বক্তব্য পাঠ করে শোনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘চ্যাটবট’।
বক্তব্যে ইমরান খানকে বলতে শোনা যায়, ‘ঐতিহাসিক এ কাজ যাঁরা করেছেন, প্রথমে তাঁদের ধন্যবাদ দিতে চাই।’ পাকিস্তানিদের সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়তো ভাবছেন, কারাগারে আমি কী করি। আপনাদের বলব, সত্যিকারের স্বাধীনতা অর্জনে আজ আমি বদ্ধপরিকর।’
ভিডিওটিতে ইমরান খানের ছবি ও আগে বিভিন্ন সময়ে পিটিআইয়ের সমাবেশে তাঁর দেওয়া বক্তব্যও যুক্ত করা হয়েছে। এটির শিরোনামে লেখা ছিল, ‘ইমরান খানের নোটের ভিত্তিতে তাঁর এআই কণ্ঠ’।
ইমরান খান ও তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারিভাবে দমন-পীড়ন চলছে অভিযোগ তুলে পিটিআইয়ের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান জিবরান ইলিয়াস বলেন, ‘রাজনৈতিক সমাবেশে হাজির হওয়ার সুযোগ ইমরানের খানের নেই। কিন্তু এ নিগ্রহের বিরুদ্ধে সরব হতেই আমরা এটা (ভিডিও) তৈরি করেছি। ইমরান খানকে ছাড়া তো পিটিআইয়ের কোনো নির্বাচনী সমাবেশই সম্পূর্ণ হবে না।’
এ ভিডিও দেখেও সন্তুষ্ট নন ইমরানের সমর্থকেরা। সৈয়দ মুহাম্মদ আশার নামের লাহোরের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘এটা যে খুব ভালো হয়েছে, তা বলা যায় না। কথা বলার ধরনটা অদ্ভুত। সত্যি কথা বলতে, সশরীর দেওয়া বক্তব্য ও সমাবেশের জায়গার বিকল্প কোনো কিছু হতে পারবে না।’