3:20 am, Thursday, 19 September 2024

পোষা কুকুর বয়স্কদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়  

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৭:০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 38 ভিউ
শেয়ার করুন
কারুবাক ডেস্ক:

বার্ধক্যজনিত কিছু রোগ মস্তিষ্ককে ঠিকমত কাজ করতে দেয় না। এমন রোগে আক্রান্তদের কোনো কিছু মনে রাখা, চিন্তা করা বা ঠিকঠাক কথা বলা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি এমন রোগে আক্রান্তের আগে তারা যেমন ছিল, তেমন নাও থাকতে পারে। এসব সমস্যাজনিত রোগকে চিকিৎসকেরা ডিমেনশিয়া বলে থাকে।

 

আজকাল নানা কারণে মানুষ নানা মানসিক সমস্যার শিকার হচ্ছে যার মধ্যে অন্যতম ডিমেনশিয়া। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ কত কিছুই না করছে। কিন্তু আপনি জানেন কি, আপনার পোষা কুকুর এ রোগে ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারে? জ্বি, হ্যাঁ। টোকিও মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউট ফর জেরিয়াট্রিক্স অ্যান্ড জেরোন্টোলজির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষ যাদের পোষা কুকুর আছে তাদের ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কম।

১১ হাজারেরও বেশি লোককে নিয়ে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, কুকুরের মালিকরা সাধারণত শারীরিকভাবে বেশি সক্রিয় এবং সামাজিকভাবে বেশি সংযুক্ত। যা বার্ধক্যদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় আরও দেখা যায় পোষা কুকুর মালিকদের ০.৬ শতাংশ এবং পোষা বিড়াল মালিকদের ০.৯৮ শতাংশ ঝুঁকি থাকে ডিমেনশিয়া রোগটি হওয়ার। অন্যদিকে দেখা যায়, যাদের কোন পোষা প্রাণী নেই তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি সম্পূর্ণ ১ শতাংশ। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার পোষা কুকুর কীভাবে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়।

গবেষণায় শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়া প্রচারের ক্ষেত্রে কুকুরের মালিকানার অনন্য সুবিধাগুলোও তুলে ধরা হয়েছে, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার মূল চাবিকাঠি। আপনার যদি পোষা কুকুর থাকে তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মাত্রা কমায়। একটি কুকুর ও তার কার্যকলাপ অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায় যা মানসিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর। দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপকে বিশেষজ্ঞরা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করেন। এই পরিস্থিতিতে, কুকুর কুকুর আপনাকে মানসিক চাপ কমিয়ে ডিমেনশিয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

 

#
জনপ্রিয়

পোষা কুকুর বয়স্কদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়  

আপডেটের সময় : ০৭:০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন
কারুবাক ডেস্ক:

বার্ধক্যজনিত কিছু রোগ মস্তিষ্ককে ঠিকমত কাজ করতে দেয় না। এমন রোগে আক্রান্তদের কোনো কিছু মনে রাখা, চিন্তা করা বা ঠিকঠাক কথা বলা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি এমন রোগে আক্রান্তের আগে তারা যেমন ছিল, তেমন নাও থাকতে পারে। এসব সমস্যাজনিত রোগকে চিকিৎসকেরা ডিমেনশিয়া বলে থাকে।

 

আজকাল নানা কারণে মানুষ নানা মানসিক সমস্যার শিকার হচ্ছে যার মধ্যে অন্যতম ডিমেনশিয়া। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ কত কিছুই না করছে। কিন্তু আপনি জানেন কি, আপনার পোষা কুকুর এ রোগে ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারে? জ্বি, হ্যাঁ। টোকিও মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউট ফর জেরিয়াট্রিক্স অ্যান্ড জেরোন্টোলজির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষ যাদের পোষা কুকুর আছে তাদের ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কম।

১১ হাজারেরও বেশি লোককে নিয়ে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, কুকুরের মালিকরা সাধারণত শারীরিকভাবে বেশি সক্রিয় এবং সামাজিকভাবে বেশি সংযুক্ত। যা বার্ধক্যদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় আরও দেখা যায় পোষা কুকুর মালিকদের ০.৬ শতাংশ এবং পোষা বিড়াল মালিকদের ০.৯৮ শতাংশ ঝুঁকি থাকে ডিমেনশিয়া রোগটি হওয়ার। অন্যদিকে দেখা যায়, যাদের কোন পোষা প্রাণী নেই তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি সম্পূর্ণ ১ শতাংশ। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার পোষা কুকুর কীভাবে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়।

গবেষণায় শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়া প্রচারের ক্ষেত্রে কুকুরের মালিকানার অনন্য সুবিধাগুলোও তুলে ধরা হয়েছে, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার মূল চাবিকাঠি। আপনার যদি পোষা কুকুর থাকে তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মাত্রা কমায়। একটি কুকুর ও তার কার্যকলাপ অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায় যা মানসিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর। দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপকে বিশেষজ্ঞরা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করেন। এই পরিস্থিতিতে, কুকুর কুকুর আপনাকে মানসিক চাপ কমিয়ে ডিমেনশিয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।