দুবাই প্রতিনিধি :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো দুবাইয়ে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বইমেলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে মেলা ও বিজয় উৎসবের উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ও লেখক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। স্বাগত বক্তব্য দেন কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন। তিন দিনের এই মেলা চলবে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত।
মেলার প্রথম দিনে চারটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। কবি ও কূটনীতিক জামাল হোসেনের কাব্যগ্রন্থ ‘তাহার কথা খুব মনে পড়ে’, কামরুল হাসান জনি’র উপন্যাস ‘সন্ধ্যাতারার নামে’, ২৪ জন প্রবাসীর করোনার অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রবন্ধ ‘লকডাউন’ এবং ড. আব্দুস সালামের অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, দেশের ২৫টি প্রকাশনা সংস্থাসহ এবারের মেলায় স্থান পেয়েছে ৭০টি স্টল। কবি-লেখক পাঠকদের উপস্থিতিতে ভরপুর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। বড়দের পাশাপাশি এবার প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোররাও মেলায় এসেছে। শুধু বইয়ের স্টলেই নয়, মেলায় ভিড় জমেছে খাবারের দোকানেও। কেনাবেচা হয়েছে নারীদের পছন্দের পোশাক। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে কার্যক্রম ছিল এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর।
মেলায় বাংলাদেশি অতিথি ছাড়াও বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি, দুবাইয়ে নিযুক্ত ভারতের কনসাল জেনারেল সতীশ কুমার সিভান, শেখ জায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাবিবুল খন্দকার, দেশ থেকে আগত লেখক শিহাব শাহরিয়ার ও সাদাত হোসাইন প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর বলেন, ‘বইমেলার মাধ্যমে সৃজনশীল কর্মবিকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে। লেখালেখি সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। যাদের মধ্যে উৎসাহ, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা রয়েছে তারাই মূলত লেখালেখি করেন। দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট সেসব লেখকদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের কর্ম তুলে ধরার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছে বইমেলার মাধ্যমে।’
এসময় রাষ্ট্রদূত দেশের বাইরে বইমেলা ও দেশীয় আয়োজনগুলোতে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ দেন।
ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘বইয়ের মাধ্যমে পুরো পৃথিবী জানা হয়ে যায়। বিদেশের মাটিতে যখন বইমেলা হয় তখন প্রথম ভালো লাগার বিষয় দেশকে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি। দুবাইয়ের এই বইমেলা প্রতিবছর হোক যাতে প্রবাসীরা বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে পারেন।’