4:26 pm, Monday, 11 November 2024

নজরুলের নাটক ‘সেতু-বন্ধ’

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৯:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 101 ভিউ
শেয়ার করুন

 রঙ্গমঞ্চ ডেস্ক :

বাঁধ দিয়ে পদ্মা নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে ১৯৩০ সালে কাজী নজরুল ইসলাম রচনা করেছিলেন নাটক ‘সেতু-বন্ধ’। আর সেই নাটকটি মঞ্চায়ন করলো বাঁশরী রেপার্টরি থিয়েটার।

গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি।

ড.ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামানের নাট্যভাবনায় জাতীয় কবি রচিত এই নাটকটি নির্দেশনায় ছিলেন গোলাম সরোয়ার। স্বর্গের দেবী পদ্মা জানতে পারে স্বচ্ছ জলরাশি নিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীতে যন্ত্রদানবকুল বাঁধ নির্মাণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পদ্মা দেবী এই অপমান সইবে না। পদ্মার গতিবেগ রুখে দিয়ে জলাশয়কে নষ্ট করে দেওয়া দানব কুলের অভিলাষকে রুখে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে মেঘরাজ পবন ও অন্যান্য দেবতাদের সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি। মেঘরাজ, পবন, ঝঞ্ঝা, তরঙ্গ সেনাদল নিয়ে পদ্মা দেবীর সহায়তায় এগিয়ে আসে মেঘদেবী। শুরু হয় তুমুল লড়াই। লড়াইয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায় দানবকুলের ষড়যন্ত্র, স্বর্গরাজ্য প্রবেশের সকল প্রচেষ্টা হয়ে যায় ব্যর্থ। তবুও মৃত্যু-কাতর কণ্ঠে যন্ত্রদানব উচ্চারণ করে আমার মৃত্যু নেই দেবী, আমি আবার নতুন দেহ নিয়ে ফিরে আসব। পদ্মা দেবীও জবাব দেয়- জানি যন্ত্ররাজ, তুমি বারেবারে আসবে কিন্তু প্রতিবারেই তোমার এভাবে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ফিরে যেতে হবে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনি।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শারমিন সঞ্চিতা খানম পিয়া, সুরভী রায়, চন্দ্রিমা দেয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপী, হাসিনা আক্তার নিপা, মেহরান সানজানা, মোনালিসা মোনা, জয়িতা মহলানবীশ, শিবলী সাদিক প্রমুখ।

 

#

নজরুলের নাটক ‘সেতু-বন্ধ’

আপডেটের সময় : ০৯:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

 রঙ্গমঞ্চ ডেস্ক :

বাঁধ দিয়ে পদ্মা নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে ১৯৩০ সালে কাজী নজরুল ইসলাম রচনা করেছিলেন নাটক ‘সেতু-বন্ধ’। আর সেই নাটকটি মঞ্চায়ন করলো বাঁশরী রেপার্টরি থিয়েটার।

গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি।

ড.ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামানের নাট্যভাবনায় জাতীয় কবি রচিত এই নাটকটি নির্দেশনায় ছিলেন গোলাম সরোয়ার। স্বর্গের দেবী পদ্মা জানতে পারে স্বচ্ছ জলরাশি নিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীতে যন্ত্রদানবকুল বাঁধ নির্মাণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পদ্মা দেবী এই অপমান সইবে না। পদ্মার গতিবেগ রুখে দিয়ে জলাশয়কে নষ্ট করে দেওয়া দানব কুলের অভিলাষকে রুখে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে মেঘরাজ পবন ও অন্যান্য দেবতাদের সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি। মেঘরাজ, পবন, ঝঞ্ঝা, তরঙ্গ সেনাদল নিয়ে পদ্মা দেবীর সহায়তায় এগিয়ে আসে মেঘদেবী। শুরু হয় তুমুল লড়াই। লড়াইয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায় দানবকুলের ষড়যন্ত্র, স্বর্গরাজ্য প্রবেশের সকল প্রচেষ্টা হয়ে যায় ব্যর্থ। তবুও মৃত্যু-কাতর কণ্ঠে যন্ত্রদানব উচ্চারণ করে আমার মৃত্যু নেই দেবী, আমি আবার নতুন দেহ নিয়ে ফিরে আসব। পদ্মা দেবীও জবাব দেয়- জানি যন্ত্ররাজ, তুমি বারেবারে আসবে কিন্তু প্রতিবারেই তোমার এভাবে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ফিরে যেতে হবে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনি।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শারমিন সঞ্চিতা খানম পিয়া, সুরভী রায়, চন্দ্রিমা দেয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপী, হাসিনা আক্তার নিপা, মেহরান সানজানা, মোনালিসা মোনা, জয়িতা মহলানবীশ, শিবলী সাদিক প্রমুখ।