8:37 pm, Monday, 4 November 2024

রমজানে ৬শ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবে সরকার

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ০৪:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • 85 ভিউ
শেয়ার করুন

কারুবাকে ডেস্ক :

রমজানে ঢাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ ও মাংস বিক্রি করবে সরকার।  আগামী ১০ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাজধানীর ৩০টি জায়গায় তা পাওয়া যাবে।  সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪’ এর দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে কৃষি, খাদ্য, মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষে গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা ও সলিড ব্রয়লার ২৮০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এছাড়া ডিম বিক্রি হবে প্রতিটি ১০ টাকা ৫০ পয়সায়। এটাই হলো আমাদের একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা। আগামী ১০ মার্চ সেটা উদ্বোধন করা হবে।

এটা কী সারা দেশে করা হবে, জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ত্রিশটি জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে এ ব্যাপারগুলো আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করব।  ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ, আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।

ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাটকা ধরার জায়গা থেকে মৎস্যজীবীদের সরিয়ে আনতে হবে। এটা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে। যতক্ষণ পর্যন্ত মাছটি নদীতে থাকতে পারবে, ততই এর বৃদ্ধি ঘটবে।

মৎস্যমন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদন, প্রাণিসম্পদে আমরা সন্তোষজনক অবস্থায় আছি। এটার প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের মাথায় আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে, কারেন্ট জাল। এটা দিয়ে যত্রতত্র মাছ ধরা হয়। যেই মাছ থেকে মাছের বিস্তার হবে, সেটাও কারেন্ট জাল দিয়ে ধরা হয়। এ বিষয়টা আমরা ডিসিদের বলেছি। মাইকিং করে জালগুলো তুলে ফেলতে হবে। না করলে জেলাপ্রশাসকদের নেতৃত্ব আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জালগুলো আটক করতে হবে।

তিনি বলেন, জাটকা নিধন বন্ধে কিছুদিন ইলিশ ধরা বন্ধ রেখেছি। আগামী ১১ মার্চ থেকে এটা শুরু হবে। এই মধ্যবর্তী সময়ে যারা মৎস্যজীবী আছেন, তাদের একটা সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে রেশনিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থার কথা বলেছি। কারণ ওই সময়টায় তাদের যদি একটা প্রণোদনা দিই, তাহলে মাছ না ধরার কারণে তাদের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবে।

 

#
জনপ্রিয়

রমজানে ৬শ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবে সরকার

আপডেটের সময় : ০৪:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
শেয়ার করুন

কারুবাকে ডেস্ক :

রমজানে ঢাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ ও মাংস বিক্রি করবে সরকার।  আগামী ১০ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাজধানীর ৩০টি জায়গায় তা পাওয়া যাবে।  সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪’ এর দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে কৃষি, খাদ্য, মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষে গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা ও সলিড ব্রয়লার ২৮০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এছাড়া ডিম বিক্রি হবে প্রতিটি ১০ টাকা ৫০ পয়সায়। এটাই হলো আমাদের একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা। আগামী ১০ মার্চ সেটা উদ্বোধন করা হবে।

এটা কী সারা দেশে করা হবে, জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ত্রিশটি জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে এ ব্যাপারগুলো আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করব।  ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ, আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।

ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাটকা ধরার জায়গা থেকে মৎস্যজীবীদের সরিয়ে আনতে হবে। এটা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে। যতক্ষণ পর্যন্ত মাছটি নদীতে থাকতে পারবে, ততই এর বৃদ্ধি ঘটবে।

মৎস্যমন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদন, প্রাণিসম্পদে আমরা সন্তোষজনক অবস্থায় আছি। এটার প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের মাথায় আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে, কারেন্ট জাল। এটা দিয়ে যত্রতত্র মাছ ধরা হয়। যেই মাছ থেকে মাছের বিস্তার হবে, সেটাও কারেন্ট জাল দিয়ে ধরা হয়। এ বিষয়টা আমরা ডিসিদের বলেছি। মাইকিং করে জালগুলো তুলে ফেলতে হবে। না করলে জেলাপ্রশাসকদের নেতৃত্ব আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জালগুলো আটক করতে হবে।

তিনি বলেন, জাটকা নিধন বন্ধে কিছুদিন ইলিশ ধরা বন্ধ রেখেছি। আগামী ১১ মার্চ থেকে এটা শুরু হবে। এই মধ্যবর্তী সময়ে যারা মৎস্যজীবী আছেন, তাদের একটা সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে রেশনিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থার কথা বলেছি। কারণ ওই সময়টায় তাদের যদি একটা প্রণোদনা দিই, তাহলে মাছ না ধরার কারণে তাদের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবে।