2:41 pm, Sunday, 10 November 2024

ঝর্না রহমানের একগুচ্ছ ছড়া

  • কারুবাক
  • আপডেটের সময় : ১২:৩২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 78 ভিউ
শেয়ার করুন

ভূতরা কেমন

 

সন্ধ্যে বেলা বাঁশবাগানে আঁধার হয়ে এলে

ভূত্রা নাকি দাঁড়ায় তখন দুই পা দুদিক মেলে

মাম্দো ভূতের হুমদো মামার কুলোর মত কান

মূলোর মত দাঁত খিঁচিয়ে গায় নাকি সে গান!

পেত্নী নামের ভ্ত্নূীগুলোর শনের গোছা চুল

ভূত প্রেতিনীর গপ্পগুলো আজগুবি সব, ভুল!

শুনবে তুমি, ভূতরা কেমন? ভূত দেখতে চাও?

বলবো আমি মিথ্যে এসব, ভূত তো নেই কোথাও।

 

চাঁদের টিপ

 

চাঁদটি ওঠে আকাশে

গোল অথবা বাঁকা সে

চাঁদ নাকি হয় খোকার মামা

টিপ নাকি দেয় কপালে

চাঁদে বসেই চরকা বুড়ি

সুতো কাটে সকালে

আমি বলি গপ্পো এসব

এসব শুধুই কল্পনা

চাঁদ হলো এক উপগ্রহ

মোটেই এটা গল্প না।

 

মেঘ বৃষ্টি

 

দল বেঁধে হাতি নাকি ভেসে চলে আকাশে

শুঁড় দিয়ে জল তুলে ছুঁড়ে মারে বাতাসে

তাই নাকি ঝর ঝর ঝরে বৃষ্টির জল!

আসলে মিথ্যে এটা গল্পের কৌশল!

মেঘ দেখে লোকে বলে মনগড়া কাহিনী

বলে, ওটা মেঘ নয়, হাতিদের বাহিনী।

আমি বলি, শোনো তবে, মেঘ হয় কী করে

রোদ্দুরে জলকণা উড়ে যায় ওপরে!

জলীয় বাষ্পগুলো জমে জমে মেঘ হয়

মেঘ থেকে বৃষ্টি যেÑ অন্য কিছু তো নয়।

 

রাক্ষস খোক্কসের গপ্পো

 

হাঁউ মাঁউ খাঁউ

তাজা তাজা মাংসের ঘ্রাণ কেন পাঁউ? ”

নাকী সুরে কথা বলে, ওরে বাবা! কারা?

কুলো-কান মূলো-দাঁত ভয়াল চেহারা !

ওরা হলো রাক্ষস-খোক্কস দল

মানুষের হাড় খেতে সবাই পাগল

তলোয়ার হাতে নিয়ে এলো দুই ভাই

দৈত্যের সাথে করে তুমুল লড়াই।

দারুণ মজার এই রূপকথাগুলি

কল্পিত গল্পের ঠাকুমার ঝুলি!

নেই কোনো লাল নীলকমলের দেশ

রাক্ষস-খোক্কস গপ্পো যে শেষ!

এই সব মিছে কথা, আমি বলি, শোনো

রাক্ষস দেও-দানো ছিল না কখনো।

#
জনপ্রিয়

ঝর্না রহমানের একগুচ্ছ ছড়া

আপডেটের সময় : ১২:৩২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শেয়ার করুন

ভূতরা কেমন

 

সন্ধ্যে বেলা বাঁশবাগানে আঁধার হয়ে এলে

ভূত্রা নাকি দাঁড়ায় তখন দুই পা দুদিক মেলে

মাম্দো ভূতের হুমদো মামার কুলোর মত কান

মূলোর মত দাঁত খিঁচিয়ে গায় নাকি সে গান!

পেত্নী নামের ভ্ত্নূীগুলোর শনের গোছা চুল

ভূত প্রেতিনীর গপ্পগুলো আজগুবি সব, ভুল!

শুনবে তুমি, ভূতরা কেমন? ভূত দেখতে চাও?

বলবো আমি মিথ্যে এসব, ভূত তো নেই কোথাও।

 

চাঁদের টিপ

 

চাঁদটি ওঠে আকাশে

গোল অথবা বাঁকা সে

চাঁদ নাকি হয় খোকার মামা

টিপ নাকি দেয় কপালে

চাঁদে বসেই চরকা বুড়ি

সুতো কাটে সকালে

আমি বলি গপ্পো এসব

এসব শুধুই কল্পনা

চাঁদ হলো এক উপগ্রহ

মোটেই এটা গল্প না।

 

মেঘ বৃষ্টি

 

দল বেঁধে হাতি নাকি ভেসে চলে আকাশে

শুঁড় দিয়ে জল তুলে ছুঁড়ে মারে বাতাসে

তাই নাকি ঝর ঝর ঝরে বৃষ্টির জল!

আসলে মিথ্যে এটা গল্পের কৌশল!

মেঘ দেখে লোকে বলে মনগড়া কাহিনী

বলে, ওটা মেঘ নয়, হাতিদের বাহিনী।

আমি বলি, শোনো তবে, মেঘ হয় কী করে

রোদ্দুরে জলকণা উড়ে যায় ওপরে!

জলীয় বাষ্পগুলো জমে জমে মেঘ হয়

মেঘ থেকে বৃষ্টি যেÑ অন্য কিছু তো নয়।

 

রাক্ষস খোক্কসের গপ্পো

 

হাঁউ মাঁউ খাঁউ

তাজা তাজা মাংসের ঘ্রাণ কেন পাঁউ? ”

নাকী সুরে কথা বলে, ওরে বাবা! কারা?

কুলো-কান মূলো-দাঁত ভয়াল চেহারা !

ওরা হলো রাক্ষস-খোক্কস দল

মানুষের হাড় খেতে সবাই পাগল

তলোয়ার হাতে নিয়ে এলো দুই ভাই

দৈত্যের সাথে করে তুমুল লড়াই।

দারুণ মজার এই রূপকথাগুলি

কল্পিত গল্পের ঠাকুমার ঝুলি!

নেই কোনো লাল নীলকমলের দেশ

রাক্ষস-খোক্কস গপ্পো যে শেষ!

এই সব মিছে কথা, আমি বলি, শোনো

রাক্ষস দেও-দানো ছিল না কখনো।