“বাবা বলে ছেলে নাম করবে
সারা পৃথিবী তাকে মনে রাখবে”
আগুনের এই গানের কথা মনে আসলেই হাস্যোজ্জ্বল, সুদর্শন এক তরুণের কথা মনে পড়ে। যিনি তার মুখাবয়ব, সুমিষ্ট বাচনভঙ্গি, স্নিগ্ধ হাসি, ক্যারিশমেটিক অভিনয় দ্বারা জিতে নিয়েছিলেন হাজারো তরুণীর হৃদয়। ফ্যাশান আইকনে পরিণত হয়েছিলেন যুবসমাজের। ‘ভিনি-ভিডি-ভিসি’; এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। কথাগুলো যেন তাঁর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সে আর কেউ না তিনি হলেন। আমাদের সকলের প্রিয় মানুষ সালমান শাহ্। বৃশ্চিক রাশির জাতক সালমানের বিনোদনজগতে যাত্রা শুরু হয় বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে। তিনি ইস্পাহানি গোল্ডস্টার টি, মিল্ক ভিটা, কোকাকোলা, ফানটা এবং জাগুয়ার কেডসের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন। ১৯৮৫ সালের দিকে হানিফ সংকেতের ‘কথার কথা’ নামের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সালমান। তখন অবশ্য তিনি ইমন নামেই পরিচিত ছিলেন। গায়ক হিসেবেও সালমানের পরিচিতি ছিল। ছোটবেলা থেকেই শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি দারুণ আগ্রহ ছিল তাঁর। বন্ধুমহলে সবাই তাঁকে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে চিনতেন। ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লিগীতিতে উত্তীর্ণও হয়েছিলেন তিনি।
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র এক চরম দুঃসময় পার করছিল। ঠিক তখনই এ দেশের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে সালমান শাহ্র। ১৯৯৩ সালের মার্চ মাস। সালমান শাহ্ ছিল বাংলা তথা গোটা বাংলাদেশ এবং ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতাদের ফ্যাশান আইকন। যদি বলা যায় উত্তম কুমার আর আমাদের দেশের মধ্যে নায়ক রাজ্জাক, নায়ক আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চনদের পরে অভিনয় দক্ষতা ও সুদর্শন চেহারার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম ছিল সালমান শাহ্। যার শুরুটা ছিল শিশু শিল্পী থেকে। সে শিশু শিল্পী থেকে বিটিভিতে নাটক করেছে। ১৯৮৫/৮৬ সালের দিকে হানিফ সংকেতের গ্রন্থনায় ‘কথার কথা ‘নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান প্রচারিত হত। এর কোন একটি পর্বে ‘নামটি ছিল তার অপূর্ব’ নামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও পরিবেশিত হয়। হানিফ সংকেতের স্বকণ্ঠে গাওয়া এই গান এবং মিউজিক ভিডিও দুটোই অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত। একজন সম্ভাবনাময় সদ্য তরুণ তার পরিবারের নানারকমের ঝামেলার কারণে মাদকাসক্ত হয়ে মারা যায়, এই ছিল গানটির থিম। গানের প্রধান চরিত্র অর্পূব ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমেই সালমান শাহ মিডিয়াতে প্রথম আলোচিত হন। তখন অবশ্য তিনি ইমন নামেই পরিচিত ছিলেন। মিউজিক ভিডিওটি জনপ্রিয়তা পেলেও নিয়মিত টিভিতে না আসার কারণে দর্শক আস্তে আস্তে ইমনকে ভুলে যায়। আরও কয়েক বছর পর অবশ্য তিনি আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রযোজনায় ‘পাথর সময়’ নাটকে একটি ছোট চরিত্রে এবং কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছিলেন।
এরপর সালমান শাহ্ ১৯৮৫ সালে বিটিভির আকাশ ছোঁয়া নাটক দিয়ে অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেন। পরে দেয়াল (১৯৮৫), সব পাখি ঘরে ফিরে (১৯৮৫), সৈকতে সারস (১৯৮৮), নয়ন (১৯৯৫), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬) নাটকে অভিনয় করেন। নয়ন নাটকটি সে বছর শ্রেষ্ঠ একক নাটক হিসেবে বাচসাস পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া তিনি ১৯৯০ সালে মঈনুল আহসান সাবের রচিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত পাথর সময় ও ১৯৯৪ সালে ইতিকথা ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন। এরপর প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে সালমান শাহ্র চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩) ছবির মাধ্যমে। একই ছবিতে নায়িকা মৌসুমী ও গায়ক আগুনের অভিষেক হয়। জনপ্রিয় এই নায়ক নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশে সাড়া জাগানো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে।
তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে কপালে রুমাল বাঁধতেন। পরবর্তীতে আমরা দেখতে পারি যে রুমাল বাঁধা তৎকালীন তরুণ সমাজের মধ্যে ট্রেন্ডে পরিণত হয়ে যায়। তিনি ছিলেন পোশাক সচেতন। বাংলা চলচ্চিত্রে নিজস্ব ধারায় স্টাইল প্রতিষ্ঠাকারী তিনিই প্রথম তিনিই শেষ। মাথায় রুমাল বাঁধা, ডান হাতে ঘড়ি পরিধান, বাহারি ডিজাইনের টুপি, এমনকি নখ কামড়ানোকেও তিনি ফ্যাশনে রুপ দিয়েছেন। যার মৃত্যুর পর শুধু দেশীয় চলচ্চিত্রের তারকা নয়, বলিউড বাদশাহ থেকে শুরু করে অনেকেই সালমান শাহ্’র স্টাইল, ডিজাইন কপি করেছে। জন্ম বার্ষিকী, মৃত্যু বার্ষিকীতে দেশের সবকটি জাতীয় পত্রিকায় তাকে নিয়ে লেখা হয় শত শত নিউজ। বিভিন্ন চ্যানেলে তাকে নিয়ে হয় আয়োজন। ফেসবুক জুড়ে তো ভক্তদের লাখ লাখ পোস্ট। যা পৃথিবীর কোনো তারকার ক্ষেত্রে ঘটে বলে আমার জানা নেই।
এই সুদর্শন নায়ক যেমন ছিল পোশাকের সাথে খাবারের প্রতি তার দারুণ আগ্রহ। এই মহানায়ক সালমান শাহ্র জন্ম ১৯৭১ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সিলেট শহরে দাড়িয়া পাড়াস্থ তার নানা বাড়ি আবু এ হায়াত ভবনে, যা এখন সালমান শাহ্ ভবন হিসেবে পরিচিত। তার পিতা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পেশায় ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট,আর মা নীলা চৌধুরী ছিলেন রাজনীতিক ও সংগীত শিল্পী আর মাতামহ ছিলেন বাংলাদেশ এর প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশের অন্যতম উদ্যোক্তা ও অভিনেত্রী। পারিবারিক এরুপ সাংস্কৃতিক আবহেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেন তিনি। তিনি পরিবারের বড় ছেলে। তার প্রকৃত নাম চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন। কিন্তু চলচ্চিত্র জীবনে তিনি সবার কাছে সালমান শাহ্ নামে পরিচিত ছিলেন। টেলিভিশন নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হলেও ১৯৯০ এর দিকে তিনি চলচ্চিত্রে অন্যতম জননন্দিত শিল্পী হয়ে উঠেন। তিনি সর্বমোট ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন আর তার সবকটি ছবি ছিল ব্যবসা সফল। সালমান শাহ্ পড়াশোনা করেন খুলনার বয়রা মডেল হাই স্কুলে। একই স্কুলে পড়েন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তারা দুজন সহপাঠী ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ঢাকার ধানমন্ডি আরব মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্টিক পাস করেন। পরে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ধানমন্ডির মালেকা সায়েন্স কলেজ (বর্তমান ডক্টর মালিকা বিশ^বিদ্যালয় কলেজ) থেকে বি. কম পাস করেন। সালমান শাহ্ ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হিরার কন্যা সামিরাকে। সামিরা হক ছিলেন একজন বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী। তিনি আবার সালমান শাহ্র ২টি চলচ্চিত্রে তার পোশাক পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করেন।
পরবর্তী কালে ১৯৯৩ সালে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমনের। প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। আর প্রথম ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নিজেকে নিয়ে আসেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ইমন থেকে হয়ে যান সালমান শাহ্। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে সালমান শাহ্ চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির নায়িকা মৌসুমীকে নির্বাচিত করলেও নায়ক খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তখন নায়ক আলমগীরের সাবেক স্ত্রী খোশনুর আলমগীর ইমন নামে একটি ছেলের সন্ধান দেন। প্রথম দেখাতেই তাঁকেই পছন্দ করে ফেলেন পরিচালক এবং সনম বেওয়াফা ছবির জন্য প্রস্তাব দেন। কিন্তু যখন ইমন কেয়ামত সে কেয়ামত তক ছবির কথা জানতে পারেন। তার কাছে কেয়ামত সে কেয়ামত তক ছবি এতই প্রিয় ছিলো যে তিনি মোট ২৬ বার ছবিটি দেখেছেন বলে পরিচালককে জানান। শেষ পর্যন্ত পরিচালক সোহানুর রহমান তাঁকে নিয়ে কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন এবং ইমন নাম পরিবর্তন করে সালমান শাহ্ রাখা হয়। এরপরে মৌসুমীর বিপরীতে তিনি আরও তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ছবি তিনটি হলো- অন্তরে অন্তরে (১৯৯৪), স্নেহ (১৯৯৪) ও দেনমোহর (১৯৯৫)।
তার দ্বিতীয় ছবি জহিরুল হক ও তমিজউদ্দিন রিজভী পরিচালিত তুমি আমার চলচ্চিত্রটি ব্যবসা সফল হয়। পরিচালক জহিরুল হক চলচ্চিত্রটির কিছু অংশ নির্মাণ করার পর মারা যান। পরে তমিজউদ্দিন বাকি কাজ শেষ করেন। এই চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো তার বিপরীতে অভিনয় করেন শাবনূর। পরে তার সাথে জুটি বেঁধে একে একে সুজন সখি (১৯৯৪), বিক্ষোভ (১৯৯৪), স্বপ্নের ঠিকানা (১৯৯৪), মহামিলন (১৯৯৫), বিচার হবে (১৯৯৬), তোমাকে চাই (১৯৯৬), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬), চাওয়া থেকে পাওয়া (১৯৯৬), প্রেম পিয়াসী (১৯৯৭), স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), বুকের ভিতর আগুন (১৯৯৭) সহ মোট ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। আর সবকটি চলচ্চিত্র ব্যবসা সফল হয়। প্রথম ছবিতে মৌসুমীর সঙ্গে জুটি বাঁধলেও পরে শাবনূরের সঙ্গেও একটি সফল জুটি গড়ে ওঠে সালমানের। সালমান-শাবনূর জুটির একেকটি ছবি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সোনালি অতীত হয়ে আছে। এ ছাড়া সালমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাবনাজ, শাহনাজ, লিমা, শিল্পী, শ্যামা, সোনিয়া, বৃষ্টি, সাবরিনা ও কাঞ্চি। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার সালমানের। সময়টা অল্প হলেও একাই রাজত্ব করে গেছেন তিনি। এই চার বছরে উপহার দিয়েছেন ব্যবসা সফল ২৭টি ছবি।
সালমান শাহ্ মৃত্যুর আগে মন মানে না ছবির ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছিলেন। তার মৃত্যুর পর চিত্রনায়ক রিয়াজকে দিয়ে ছবিটির বাকী অংশ করানো হয়। এছাড়াও কে অপরাধী, তুমি শুধু তুমি, প্রেমের বাজিসহ একাধিক মুভি সালমান শাহ্ অর্ধেক শুটিং করে মারা যান। পরবর্তীতে প্রেমের বাজি ব্যতীত বাকি সিনেমাগুলো অন্য নায়কদের দিয়ে আবার নতুন করে শুটিং করা হয়। সালমান শুধু অভিনেতাই ছিলেন না, চলচ্চিত্রে নতুন ধারার প্রবর্তকও ছিলেন। একক কৃতিত্বে সামাজিক-অ্যাকশনধর্মী ও নিটোল প্রেমের ছবির নতুন একটি ধারার সঙ্গে সবাইকে পরিচিত করেছিলেন তিনি। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ছিল রাজসিক। তাঁর কারণেই দেশীয় চলচ্চিত্র নতুন করে ঘুরে দাঁড়ায়। দর্শকেরা আবারও হলমুখী হন। যেসব প্রযোজক ছবিতে লগ্নি করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তাঁরা আবারও ব্যবসায় ফিরে আসেন। নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন সালমান শাহ। অভিনয়ের মাধ্যমে সালমান শাহ্ যেমন সবাইকে মোহাবিষ্ট করে রাখতেন, ঠিক তেমনি অমায়িক ব্যবহারের জন্য পেয়েছিলেন অনেকেরই প্রশংসা। চলচ্চিত্রে সালমানের জনপ্রিয়তা যখন আকাশচুম্বী, ঠিক তখনই মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হয় তাঁকে। ১৯৯৬ সালের আজকের দিনে হঠাৎ তাঁর মৃত্যুর সংবাদে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল সবাই। সালমানের মৃত্যুর পরও এ দেশে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের কাছেও প্রিয় একটি নাম সালমান শাহ। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ক্ষণজন্মা এ মানুষ ২৬ বছর আগে চলে গেলেও চলচ্চিত্রানুরাগীদের কাছে আজও সালমান শাহ সবচেয়ে বেশি আলোচিত একটি নাম।
সালমান শাহ্ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। ঢাকার ইস্কাটনে তার নিজ বাসার ভবনে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও তার মৃত্যু নিয়ে এখনো রহস্য থেকে যায়। অনেকেই সালমান শাহ্র মৃত্যুর জন্য স্ত্রী সামিরার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন, এমনকি পরবর্তীকালে সালমানের পরিবারের পক্ষ থেকে সামিরা ও আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়; তবে এই মামলার আর কোনো অগ্রগতি হয়নি ফলে সালমানের মৃত্যু নিয়ে রহস্য আর উঘাটিত হয়নি। শাহজালালের মাজারের পাশে সালমান শাহ এর সমাধি ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশের তদন্ত বিভাগ জানায় যে সালমান শাহ্ আত্মহত্যাই করেছিলেন।
তথ্যসুত্র : উইকিপিডিয়া, প্রথম আলো, ইতিবৃত্ত।