কারুবাক ডেস্ক :
শিল্প সুন্দর। সুন্দরই শিল্প। সাহিত্য সৌন্দর্যময়। সৌন্দর্যই সাহিত্য। শিশুসাহিত্য নিয়ে নতুন করে ভাবা দরকার। আমাদের শিশুসাহিত্য কোথায় আছে? কেমন তার অবস্থান? বিশ্বসাহিত্যে শিশুসাহিত্যের অবস্থান কোথায়? আমাদের শিশুসাহিত্য বিশ্বসাহিত্যেই বা কতটুকু অবস্থানে আছে?
এমন কথামালা দিয়ে শুরু হয় শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলা মটর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে কিশোর কাগজ সাহিত্যসভা-৮। তাৎপর্যপূর্ণ এই আড্ডায় গল্প, প্রবন্ধ, সায়েন্স ফিকশন, ছড়া, কিশোর কবিতা সবকিছুই পঠিত হয়েছে। আলোচনা হয়েছে গঠনমূলক ও দিকনির্দেশনামূলক। যা যুগিয়েছে নতুন চিন্তার খোরাক।
আলোচনায়ে উঠে এসেছে- কোনটা ছড়া, কোনটা কবিতা তা মেনে নিয়ে লেখা দরকার। লেখককে আগেই ঠিক করে নিয়ে লিখতে হয়। তা না হলে পাঠক বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। লেখায় শাব্দিক অর্থকে অতিক্রম না করলে ছন্দোবদ্ধ লেখা পদ্য ছাড়া আর কিছু হয় না। ছড়ার আলাদা কাঠামো আছে। কবিতার আলাদা কাঠামো আছে। ছন্দোবদ্ধ লেখায় শব্দের বাইরেও অর্থ থাকতে হয়।
আসরে একটা অসাধারণ ছড়ার উদ্ধৃতিতে মন নান্দনিক রসে ভরে গেছে।
‘অভিরাম সাহা রায়
অবিরাম সাহারায়
থাকে বালি পাহারায়
যাতে বালি না হারায়।’
এমন উদ্ধৃতি, কতো উদাহরণ, কতো স্বপ্নময় কথায় মধুময় হয়ে উঠেছে শিশুসাহিত্যের এই আসর।
একসময় ছড়াকে কবিতার অনুসংস্করণ মনে করা হতো। কিন্তু ছড়া অনেক রূপে রূপায়িত হয়েছে। সব মিলিয়ে ছড়ার পরিসমাপ্তিতে কার্টুনধর্মীতা প্রকাশ পায়।
প্রকৃষ্টরূপে বন্ধই প্রবন্ধ। কেউ হাস্যরস দিয়ে শুরু করেন। কেউ উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করেন।
ছড়া প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য। এতে কারও দ্বিমত নেই নিশ্চয়ই। উপদেশ বা শিক্ষা নয়, আনন্দই ছোটোদের সাহিত্যে আসা উচিত। শিশুসাহিত্য হবে অনুপম আনন্দের উৎস-এসব কথা আলোচনা হয়েছে কিশোর কাগজ সাহিত্যসভায়।
এতে সভাপতিত্ব করেন কবি হরষিত বালা। পঠিত লেখার ওপর আলোচনা করেন খ্যাতিমান লেখক সুজন বড়ুয়া। ‘ছড়ার শক্তি’ শিরোনামে প্রবন্ধ পাঠ করেন শিশুসাহিত্যিক মালেক মাহমুদ।
আসরে উপস্থিত, লেখা পাঠ করেন সুজন বড়ুয়া, হরষিত বালা, খন্দকার আতিক, রুহুল আমিন সজল, নেয়ামুল হক, খান কাওসার কবির, শরীফ খান দীপ, মালেক মাহমুদ, সরকার হুমায়ুন, হাসনাইন আহমদ, রমজান মাহমুদ প্রমুখ।
সাহিত্যসভা পরিচালনা করেন কিশোর কাগজ সম্পাদক রমজান মাহমুদ।