কারুবাক ডেস্ক :
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৮৮ তম জন্মদিন আজ। ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিনব্যাপী মেলা। বইমেলা, কবিতা আবৃত্তিসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কবির সমাধি চত্ত্বরে এই মেলার আয়োজন করা হয়। সৈয়দ শামসুল হক স্মৃতি পরিষদ, কুড়িগ্রাম দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করে।
সকালে ৮৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছেন কুড়িগ্রামের জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, সৈয়দ শামসুল হক স্মৃতি পরিষদ, কুড়িগ্রামসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন। এরপর এক আলোচনা সভায় কবির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করেন আলোচকেরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কবিপত্নী ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন, সাংবাদিক ইউসুফ আলমগীর, কবি সাম্য রাইয়ান সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
সৈয়দ শামসুল হকের বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও তার মা হালিমা খাতুন। সিদ্দিক হুসাইন ও হালিমা দম্পতির ৮ সন্তানের মধ্যে ১ম সন্তান ছিলেন তিনি। পারিবারিক জীবনে ১ ছেলে ও ১ মেয়ের বাবা তিনি। তার স্ত্রী ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক।
সৈয়দ শামসুল হকের স্কুলজীবন কাটে কুড়িগ্রামে। এরপর সোজা মুম্বাইতে গিয়ে কিছুদিন চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করেন। পরবর্তীতে জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে। সেখানে পড়ালেখা শেষ না করেই পুরোদমে লেখালেখি শুরু করেন। প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’।
তার লেখকজীবন প্রায় বাষট্টি বছরের। লেখালেখির জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অসাধারণ সৃষ্টিশীলতার সাক্ষর রাখেন। তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন। বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে এ পুরস্কার লাভ করেন।