কারুবাক ডেস্ক :
মাহফুজুর রহমান রাব্বীর জন্য এমন দিন আসবে তা কল্পনা করতে পারেননি। নিজে অধিনায়ক হয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিততে পারবেন তা ভাবেননি। স্রেফ খেলোয়াড় হিসেবে মাহফুজুর শিরোপা জিতবেন তা ভেবেছিলেন ছয় মাস আগে। কীভাবে এশিয়ার ‘বিশ্বকাপ’ জিততে পারবেন তা ছিল তার পরিকল্পনায়।
কিন্তু এশিয়া কাপের আগে তার কাঁধে যখন অধিনায়কের দায়িত্ব পড়ে তখন থেকে পাল্টে যায় তার ভাবনার দুনিয়া। এখন তো শুধু নিজের নয়, গোটা দলের স্বপ্নকে সত্যি করার চ্যালেঞ্জ। দেশকে শিরোপা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ। লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে ধরার চ্যালেঞ্জ। মাহফুজুর সেই চ্যালেঞ্জ জিতে গেলেন অপ্রতিরোধ্য পথ চলায়। অপরাজিত থেকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যুব এশিয়া কাপে।
দেশে আসার পর সাফল্যের পেছনের গল্প শোনালেন মাহফুজুর, ‘পরিকল্পনা ছিল দেশের জন্য কিছু করবো। ছয় মাস আগ থেকে খেলোয়াড় হিসেবে আমার পরিকল্পনায় ছিল। এশিয়া কাপ কখনো পায়নি। যদি পায় তাহলে বড় প্রাপ্তি হবে।’
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব জিতে মাহফুজুর অপেক্ষায় বিশ্বকাপেও তাক লাগিয়ে দেওয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকায় কিছুদিন পরই বসবে বিশ্বকাপ। এশিয়ার মুকুট জিতে বিশ্বকাপে চোখ যুব দলের, ‘সামনে আমাদের বিশ্বকাপ আছে। আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। এই প্রস্তুতি আমরা এশিয়া কাপ থেকে শুরু করেছি। আমরা চেষ্টা করবো ভালো ক্রিকেট খেলার। আমাদের ব্যাটসম্যান, বোলার ফিল্ডার সবাই খুব ভালো ছন্দে আছে। এই ধারাবাহিকতা রাখতে পারলে আমরা বিশ্বকাপেও ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারব।’
এই শিরোপা সামনের পথ চলা মসৃণ করবে বলেই বিশ্বাস মাহফুজুরের, ‘এই (শিরোপা) জিনিসটা আমাদের অনুপ্রেরণা অবশ্যই দেবে। সামনে যে দিন আসছে…আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেমন হয়. আমাদের অনেক ভালো প্রস্তুতি, অনেক ভালো মানসিকতা ও শক্তিশালী থাকতে হয়। আমাদের আরো হার্ডওয়ার্ক করতে হবে। সেভাবেই কাজ করতে হবে।’
নিজেদের সাফল্যের পেছনের কারিগরদের ধন্যবাদ জানাতে ভুল করেননি মাহফুজুর, ‘প্রতিটি ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ। আমরা চেষ্টা করি ভালো খেলার জন্য। আমাদের গেম ডেভেলাপমেন্ট আমাদের ভালো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করছে। আমাদের জন্য বাইরের কোচ আছে। স্টুয়ার্ট ল আছেন। ওয়াসিম জাফর আছেন ব্যাটিং কোচ। তাদের থেকে ভালো টিপস পাচ্ছি। কঠিন সময়ে কিভাবে আমরা কামব্যাক করবো, কিভাবে মানসিকভাবে আরো দৃঢ় থাকবো সেই সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এজন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে এবং আমার টিম মেটদের ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা সহযোগিতা না করলে এই সফলতা আসতো না।’